يوم الاثنين -এর হামযা কি হামযায়ে ওয়াসলি না হামযায়ে কতয়ী? আননাহবুল ওয়াফী কিতাবে (১/৩০৬) আছে, যেহেতু শব্দটি ‘আলামে’ রূপান্তর হয়েছে, তাই এর হামযা কতয়ী হবে। বিষয়টি জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন।
يوم الاثنين -এর হামযা কি হামযায়ে ওয়াসলি না হামযায়ে কতয়ী? আননাহবুল ওয়াফী কিতাবে (১/৩০৬) আছে, যেহেতু শব্দটি ‘আলামে’ রূপান্তর হয়েছে, তাই এর হামযা কতয়ী হবে। বিষয়টি জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন। আমীন।
اثنين শব্দের মত يوم الاثنين -এর হামযাও হামযায়ে ওয়াসলি। বিখ্যাত ভাষাবিদ আল্লামা ইবনে সীদাহ (৪৫৮হি.) রাহ. বলেন-
والثاني (من أيام الأسبوع في الإسلام): الاثنان، كأنه تثنية الاثْن من التثنية، وألفه وصلٌ كابْن على ما هو عليه قبل التسمية. (المخصص لابن سيده 386:2، (أسماء الأيام في الإسلام).
নাহুর প্রসিদ্ধ ইমাম আবুল আব্বাস মুবাররিদ (২৮৫হি.) রাহ. বলেন-
وتقول فيما كان عَلَماً في الأيام كذلك، في تصغير سَبْت: سُبيت، وفي تصغير أحد: أحيد، وفي الاثنين: ثُنيَّان؛ لأن الألف ألف وصل فهي بمنزلة قولك في ابن: بُني، وفي اسم: سُميّ.
দেখুন : আলমুকতাযাব ২/ ২৭৫-২৭৬
হামযায়ে ওয়াসলি দ্বারা শুরু হওয়া ‘ফেয়েল’ আলামে রূপান্তর হলে উক্ত হামযা কতয়ী হয়ে যায়; পক্ষান্তরে হামযায়ে ওয়াসলি দ্বারা শুরু হওয়া ‘ইসম’ ‘আলামে’ রূপান্তর হলেও সাধারণত তা ওয়াসলিই থাকে।
ইমাম সীবাওয়াইহ (১৮০ হি.) রাহ. বলেন-
وإذا سميت رجلاً بـ>إضرب<، أو >أقتل< أو >إذهب< لم تصرفه وقطعت الألفات حتى يصير بمنزلة الأسماء، لأنك قد غيَّرتها عن تلك الحال...
...لأنك نقلت فعلاً إلى اسم. ولو سميته >انطلاقا< لم تقطع الألف، لأنك نقلت اسما إلى اسم<. (كتاب سيبويه 3/198ـ199، (باب أفعل إذا كان اسماً وما أشبه الأفعال من الأسماء التي في أوائلها الزوائد)
অতএব, আননাহবুল ওয়াফীতে উল্লেখিত কায়েদাটি ব্যাপকভাবে প্রযোজ্য নয়। আর يوم الاثنين -কে এ কায়েদার মেছাল স্বরূপ পেশ করা মুতাকাদ্দিমীনের উপরোক্ত উদ্ধৃতিগুলোর আলোকে সঠিক নয়।
শেয়ার লিংক
আমি হেদায়াতুন নাহু জামাতের একজন তালিবে ইলম। ইনশাআল্লাহ কিছুদিনের মধ্যেই সালানা ইমতিহান আরম্ভ হবে। এরপর লম্বা বিরতি। এই দীর্ঘ সময় আমি কীভাবে অতিবাহিত করব? আশা করি আপনি নেক মশওয়ারা দিয়ে আমাকে ধন্য করবেন।
বিরতির (ছুটির) দিনগুলো তলাবায়ে কেরাম কীভাবে অতিবাহিত করবেন- এ বিষয়ে মাসিক আলকাউসারের এই বিভাগে একধিকবার লেখা হয়েছে। সারকথা এই- কোনো তালিবে ইলমের হালত বিবেচনা করে যদি আসাতিযায়ে কেরামের তার প্রতি খাস মশওয়ারা থাকে, সে তার উপর আমল করবে। নতুবা আম হেদায়েত হল, বার্ষিক বিরতিতে যেহেতু পুরো রমযানুল মুবারক অন্তভুর্ক্ত সেহেতু হাফেয-গায়রে হাফেয সকল তালিবে ইলমকে রমযান মাসে কুরআন কারীম হিফয করা, হিফয পাকা করা, কোনো সংক্ষিপ্ত তরজমা-তাফসীর মুতালাআ করা এবং বেশি থেকে বেশি কুরআন মাজীদ তিলাওয়াত করার মাঝে সময় অতিবাহিত করা উচিত। কিছু সময় বাবা-মা’র খেদমত ও সোহবতে ব্যয় করবে। রমযানে মাদরাসা, বাড়ি বা চিল্লার সফর যেখানেই অবস্থান করুক, সর্বাবস্থায় অধিক সময় তিলাওয়াতে কুরআন, দুআ ও আযকারে ব্যয় করা উচিত। তারাবীহ ও কিয়ামুল লাইলের প্রতি যত্নবান হওয়া উচিত। আপনার কাছে যদি আকাবিরের রাসায়েল থাকে, সেখান থেকেও কিছু মুতালাআ করতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ হযরত মাওলানা মনযুর নোমানী রাহ. ও হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী দামাত বারাকাতুহুম-এর কেনো রিসালা মুতালাআ করবেন। কিংবা যদি অন্য আকাবিরের কোনো রিসালা থাকে, যেটা আপনার ইসতি‘দাদের ভেতর পড়ে তাহলে সেটাও মুতালাআ করবেন।
শেয়ার লিংক
আমি শরহে জামী জামাতের তালিবে ইলম। সামনের বছর শরহে বেকায়া জামাতে পড়ব ইনশাআল্লাহ। রমযানে আগামী বছরের প্রস্তুতি হিসেবে আমি কী কিতাব মুতালাআ করতে পারি?
রমযানের সময়গুলো তো রমযানেরই বিশেষ আমলসমূহে লাগানো উচিত। অন্যান্য কাজ কেবল জরুরত পরিমাণ করবে।
আপনি সবোর্চ্চ ‘উমদাতুর রিয়ায়াহ’-এর মুকাদ্দিমা মুতালাআ করতে পারেন। শরহে বেকায়ার উপর হযরত মাওলানা আবদুল হাই লখনবী রাহ. (১৩০৪ হি.)-এর আরবী হাশিয়াটির নাম ‘উমদাতুর রিয়ায়াহ’। তার শুরুতে একটি দীর্ঘ ভূমিকা রয়েছে। সেখানে মাশাআল্লাহ অনেক উপকারী আলোচনা আছে।
শেয়ার লিংক