...?
...?
আপনি অনুগ্রহ করে আপনার জওয়াব ফোনে বা সরাসরি সাক্ষাতে জেনে নিন। আল্লাহ তাআলা আপনার সকল নেক আশা পূরণ করুন এবং সব ধরনের অকল্যাণ থেকে আপনাকে মাহফুজ রাখুন। আমীন।
শেয়ার লিংক
(ক) আমি বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলার লোহাগড়া থানার অন্তর্গত চুনতি হাকিমিয়া কামিল মাদ্রাসার ফাজিল দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু হেদায়া, নুরুল আনওয়ার ও তাফসীরে জালালাইন ভালোভাবে বুঝতে পারছি না। বিগত আলিম ক্লাসের শরহে বেকায়াও ভালোভাবে বুঝিনি। এর কারণ হিসেবে আমি মনে করছি শিক্ষকগণই আমাদেরকে একশ ভাগ কিতাব বুঝাতে পারছেন না। তাই উক্ত কিতাবগুলো একশ ভাগ বুঝার জন্য আমাকে কিছু পরামর্শ দানের জন্য হুজুরের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে আমি ছাত্রদেরকে কিতাবগুলোর হক আদায় করে পড়াতে পারি।
(খ) সুনানে আরবাআর যয়ীফ হাদীসগুলো চেনার উপায় কী?
(গ) আমি ভবিষ্যতে একজন মুজতাহিদ আলেম হতে চাই এবং কুরআনের তাফসীর, হাদীসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ, ফিকহের কিতাব ও ফতোয়ার কিতাবসহ অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ লিখতে চাই। তাই আমি নিয়ত করেছি, কামিলে হাদীস বিভাগ পড়ে পরবর্তীতে সম্ভব হলে ফিকহ বিভাগে পড়ব। এখন হুজুরের কাছে আমার প্রশ্ন হল উক্ত কাজগুলো করার জন্য আমি যে পরিমাণ লেখাপড়ার নিয়ত করেছি তা যথেষ্ট, না আরও লেখা-পড়া করতে হবে? সুপরামর্শ দানে উপকৃত করবেন।
(ক) আপনার চিঠির উত্তরে প্রথম কথাটি হল, আপনি আল্লাহ্ সর্বশক্তিমান-এই বাক্য দ্বারা আপনার পত্রের সূচনা করেছেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ্ তাআলাই সর্বশক্তিমান তবে এ বাক্য দ্বারা চিঠি-পত্র আরম্ভ করা সুন্নত তরিকা নয়। চিঠি-পত্র
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِیْمِ
দ্বারা শুরু করাই মাসনূন।
আপনার চিন্তা ও অনুভূতি মোবারকবাদ পাওয়ার যোগ্য। তবে না বোঝার দায় আসাতিযায়ে কেরামের উপর আরোপ করা বেআদবী তো বটেই, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা অবাস্তবও হয়ে থাকে। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে নিজেদের ত্রট্টটিগুলোর প্রতি নজর দেওয়ার তাওফীক দান করুন এবং আসাতিযায়ে কেরামের হুকুক ও আদাব অনুধাবন করে তা আদায় করার তাওফীক নসীব করুন। আমীন ।
প্রশ্নোক্ত কিতাবগুলো বোঝার জন্য আপনার করণীয় কী- এ প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দেওয়ার জন্য আপনার কিতাব বোঝার যোগ্যতা সম্পর্কে জানা জরুরি। এটা আমার জানা নেই। তবে এ প্রসঙ্গে মৌলিক কথা হল, প্রথমে নাহব ছরফ ও লুগাতে আরাবিয়া এবং ইবারত বোঝার যোগ্যতা মজবুত করতে হবে। এরপর এই কিতাবগুলো যে ফন বা শাস্ত্রের- তার কিছু সহজ কিন্তু নির্ভরযোগ্য কিতাব দরসে পড়ে কিংবা ব্যক্তিগত অধ্যয়নের মাধ্যমে সেই শাস্ত্রের সঙ্গে সম্পর্ক সৃষ্টি করতে হবে। এরপর উপরোক্ত কিতাবগুলো পড়তে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে এসব কিতাবের কিছু নির্ভরযোগ্য আরবী শরহও মুতালাআয় রাখতে হবে।
(খ) জামে তিরমিযীতে সাধারণত হাদীসসমূহের সনদের মান উল্লেখ করা থাকে। সুনানে আবু দাউদের জন্য
مختصر سنن أبي داود، للمنذري
সুনানে ইবনে মাজার জন্য
مصباح الزجاجة، لشهاب الدين البوصيري
মুতালাআ করতে পারেন। সুনানে নাসায়ীতে যদি কোনো রেওয়ায়াত থাকে, তবে সাধারণত ইমাম নাসায়ী নিজেই তা উল্লেখ করে দেন।
এই চার কিতাবের জন্য মিসরের শায়খ সাঈদ মামদূহ-এর কিতাব
التقريف بأوهام من قسم السنن إلى صحيح وضعيف.
মুতালাআ করাও উপকারী হবে। এটির كتاب الحج পর্যন্ত ছয় খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়া তাখরীজ ও শুরূহে হাদীসের দীর্ঘ কিতাবগুলোতেও সুনানে আরবাআসহ হাদীসের অন্যান্য কিাতবের হাদীস ও রেওয়ায়াতের মান উল্লেখিত থাকে। যথা
نصب الراية لأحاديث الهداية، جمال الدين الزيعلي (৭৬২ هـ)
التلخيص الحبير، ابن حجر العسقلاني (৮৫২هـ)
ইত্যাদি।
(গ) আপনাকে প্রথমে শারায়েতুল ইজতিহাদ ও মাক্বামুল ইজতিহাদ সম্পর্কে খুব চিন্তাভাবনা সহকারে অধ্যয়ন করতে হবে। এরপর আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এ উদ্দেশ্যে সফল হওয়ার জন্য আপনাকে কী কী করতে হবে এবং কী পরিমাণে করতে হবে। এ প্রসঙ্গে আপনি উসূলে ফিকহের কিতাবসমূহে ইজতিহাদ ওতাক্বলীদ-এর আলোচনা এবং
جامع بيان العلم وفضله، ابن عبد البر (৪৬৩ هـ)
الفقيه والمتفقه الخطيب البغدادي (৪৬৩ هـ)
ও শায়খ মুহাম্মাদ আউয়ামা কৃত أثر الحديث الشريف في اختلاف الأئمة الفقهاءও أدب الاختلاف في مسائل العلم والدين মুতালাআ করতে পারেন। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।
শেয়ার লিংক
আমি একজন মিযান জামাতের ছাত্র। বর্তমানে আমি যে নেসাবে লেখা ও পড়া করছি সেটি হচ্ছে বেফাক কতৃর্ক প্রণীত নেসাব। বর্তমানে আর একটি নতুন নেসাব রয়েছে যা হযরত মাওলানা আবু তাহের মিছবাহ সাহেব প্রণীত যাকে মাদানী নেসাব বলা হয়।
এখন আমার প্রশ্ন হল এই দুটি নেসাবের মধ্যে বর্তমান যুগের চাহিদা অনুযায়ী কোন নেসাবটা প্রযোজ্য। বিষয়টি নিয়ে কিছু দিন ধরে দ্বিধা-দ্বন্দে ভুগছি। তাই সঠিক সিদ্ধান্তটি জানালে উপকৃত হতাম।
মেরে দোস্ত, এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনায় পড়তে তোমাকে কে বলেছে? এ বিষয়ে চিন্তা গবেষণার জন্য বড়রা রয়েছেন। তোমার যদি ইচ্ছা হয় তাহলে তোমার তালীমী মুরব্বীর পরামর্শক্রমে আগামী বছর মাদরাসাতুল মাদীনায় ভর্তি হয়ে যেও। কিন্তু কোন নেসাব বর্তমান যুগে বেশি উপযোগী তা নির্ণয় করার বিষয়টি বড়দের উপর ছেড়ে দাও।
শেয়ার লিংক
বাদ তাসলীম আরয এই যে, আমি এ বছর জামাতে হেদায়াতুন্নাহবতে হেদায়াতুন্নাহব ও বোস্তাঁ কিতাব পড়াই, হুজুরের খেদমতে যে বিষয়টি জানাতে চাই সেটি হল, উল্লেখিত কিতাব দুইটির জন্য কোন কোন শরহ মুতালাআ করলে আমি নিজেও সহজভাবে বুঝতে পারব এবং ছাত্রদেরকেও বুঝাতে পারব। সঠিক পরামর্শ দিয়ে উপকৃত করবেন।
হিদায়াতুন্নাহব-এর আরবী শরহ দিরায়াতুন্নাহব বেশ প্রচলিত। তবে ছাত্রদেরকে কিতাব বুঝিয়ে কিতাবের কায়েদাগুলো ভালোভাবে বুঝিয়ে দেওয়া এবং অধিক পরিমাণে তামরীন করানো প্রয়োজন। কায়েদাগুলোর ইল্লত ও দালায়েলের ব্যাপারে অতটুকুতেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত যা কিতাবে উল্লেখিত হয়েছে। আর আপনি আপনার নিজের জন্য শুধু দেরায়াতুন্নাহব কেন নাহব শাস্ত্রের অন্যান্য কিতাবও অধ্যয়নে রাখুন। যেমন হিদায়াতুন্নাহব এর মাসআলাগুলো কাফিয়া ও তার শাস্ত্রীয় শরহসমূহে এবং শরহু কাতরিননাদা ও তার উপরের কিতাবগুলোতে দেখুন।
বোসতাঁর শরহগুলোর মধ্যে কিতাব বোঝার ক্ষেত্রে আমার ধারণা মতে মুফতী ফয়জুল্লাহ রহ.-এর শরহই বেশি উপকারী হবে। তবে এ কিতাবটি যে ফন বা বিষয়ের (অর্থাৎ فن الأخلاق والتصوف وأدب الدنيا والدين)
সে দৃষ্টিকোণ থেকে তা বোঝার জন্য আমাদের এ অঞ্চলের প্রচলিত তরজমা ও শরহগুলো যথেষ্ট নয়।
শেয়ার লিংক
মুহতারাম, আমি উর্দূ শরাহ মোটামুটি বুঝি। কিন্তু আরবী শরাহ বুঝতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। এদিকে আমার আরবীর প্রতি আগ্রহও রয়েছে অত্যন্ত বেশি। এখন জানতে চাই এঅবস্থায় আমার করণীয় কী? উর্দূ বর্জন করে আরবী বোঝার যোগ্যতা অর্জনে ব্রতী হব, না উর্দূর দ্বারা বর্তমানে কাজ চালানোর পাশাপাশি আরবী বোঝার প্রতি মনোনিবেশ করব? আর এও জানতে চাই যে,অনেকে বলে বাংলা নোট, শরাহ বের হওয়ার কারণে দুনিয়া থেকে ইলম দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে -এ কথাটি কতটুকু সঠিক।
(খ) মুখতারাত ও লামিয়াতুল মু’জিযাত কিতাবদ্বয় কীভাবে পড়লে ভালো হবে, জানিয়ে উপকৃত করবেন।
(ক) কিতাবী ইসতি’দাদ অর্জন করার প্রচেষ্টা অবশ্যই জারি রাখতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। তবে এই যোগ্যতা অর্জিত হওয়া পর্যন্ত কোনো উর্দূ শরহের সাহায্য নেওয়ার প্রয়োজন হলে তাতেও কোনো বাধা নেই; উর্দূ ভাষায লিখিত যেসব শরহে বিশেষ কোনো বৈশিষ্ট্য রয়েছে কিংবা ইলমী ফাওয়াইদ রয়েছে তা তো সবাই পড়তে পারে।
‘বাংলা ভাষায় লিখিত নোট বা শরহের মাধ্যমে ইলমের ক্ষতি হচ্ছে’ এ কথাটির সঠিক ভাষা হল, ছাত্রদের অমনোযোগিতা, স্বাভাবিক যোগ্যতার অভাব এবং শিক্ষাব্যবস্থার জটিলতার কারণে তালিবে ইলমদের যে পরিমাণ যোগ্যতা সৃষ্টি হওয়া প্রয়োজন ছিল তা যখন হচ্ছে না তখন এর সমাধানের জন্য উর্দূ বা বাংলা ভাষায় শরহ লেখা আরম্ভ হল। অথচ এটি রোগের প্রতিষেধক নয়। ফল এই হল যে, রোগ প্রতিকার তো দূরের কথা রোগের অনুভূতিও বিলুপ্ত হতে লাগল। তো রোগীর যদি রোগের অনুভূতিই না থাকে তখন যে এটা ক্রমান্বয়ে কঠিনরূপ ধারণ করবে তা তো বলাই বাহুল্য।
উপরন্তু অধিকাংশ উর্দূ ও বাংলা শরহের অবস্থা হল, এগুলো এতটাই অবহেলা ও অমনোযোগিতার সঙ্গে প্রস্তুত করা হয়েছে যে, এগুলোতে তালিবে ইলমদের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে না এবং প্রয়োজনীয় স্থানগুলোতে তাদের কাজে আসে না; বরং অনেক ক্ষেত্রে বিষয়বস্তুকে আরও কঠিন করে তোলে।
আমরা উর্দূ বা বাংলা ভাষায় লিখিত শরহের বিরোধিতা এজন্য করি না যে, এগুলো উর্দূ বা বাংলা ভাষায় রচিত; বরং এজন্য করি যে, এগুলোর মধ্যে অধিকাংশ শরহই মানোত্তীর্ণ নয়। বরং এগুলো উপকারিতাশূন্য ও নানা সমস্যায় পরিপূর্ণ। এবং এগুলোকে অনুচিত উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়।
অন্যথায় মাতৃভাষায় সিলেবাসের কিছু কিতাব তৈরি হওয়া এবং কিছু সিলেবাসভুক্ত কিতাবের মানসম্পন্ন শরহ ভালো বাংলায় তৈরি হওয়া একটি বাস্তব প্রয়োজন। তদ্রূপ মাতৃভাষায় বা অন্য যেকোনো ভাষায় রচিত কোনো মানসম্পন্ন কিতাব থেকে উপকৃত হতেও কোনো বাধা নেই।
(খ) কিতাব পড়তে হয় কিতাবটি রচিত হওয়ার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। একটি কিতাব সফলভাবে পড়ার অর্থ হল, এ কিতাব থেকে ওই বিষয়গুলো অর্জন করতে সক্ষম হওয়া, যা লেখক পাঠককে দিতে চেয়েছেন। তবে কোনো কোনো কিতাব রচনার একাধিক উদ্দেশ্য থাকে কিংবা উদ্দেশ্য একটা তবে খুব উঁচু। এমন কিতাবের সফল পাঠের জন্য তা বারবার মনোযোগ সহকারে অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।
‘মুখতারাত’ কিতাবটির রচনার উদ্দেশ্য সংক্ষেপে বললে এই যে, এর মাধ্যমে আরবী সাহিত্যের তুলনামূলক অধ্যয়নে সক্ষম হওয়া এবং আরবী সাহিত্যের বিভিন্ন যুগ ও রুচির সঙ্গে পরিচিত হওয়া।
আমাদের এ অঞ্চলে যে শ্রেণীতে এই কিতাব পড়ানো হয় কিংবা বলুন যে যোগ্যতা অর্জিত হওয়ার পর ছাত্ররা এ কিতাব পড়ে থাকে সে বিচারে এর পঠনপদ্ধতি কী হতে পারে এ সম্পর্কে আমি মাওলানা আবু তাহির মিছবাহ দামাত বারাকাতুহুম এর সঙ্গে আলোচনা করেছি। তিনি যা বলেছেন তার খুলাসা হল—
১. সুন্দর বাক্যগুলিকে বারবার পড়ে মুখস্থ করা। অন্তত মুখস্থের মতো হয়ে যাওয়া তো অবশ্যই দরকার, যাতে আরবীতে কথা বলার সময় কিংবা লেখার সময় তা সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায়।
২. প্রয়োজনীয় শব্দ বিশ্লেষণ মুখস্থ করা। এ ক্ষেত্রে এটুকু করবে যে, শব্দটি ‘মুজাররাদ’ থেকে হলে ‘মুজাররাদ’-এর মধ্যেই ‘সিলাহ’ অর্থের যে পরিবর্তন হয় তা মুখস্থ করবে এবং শব্দটি ‘মাযিদ ফীহ’ থেকে হলে ‘মাযিদ ফীহ-এর মধ্যেই ‘সিলাহ’ পরিবর্তনে যে অর্থগত পরিবর্তন হয় তা মুখস্থ করা। এক শব্দের সকল ‘মুশতাক্কাত’ মুখস্থ করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এর জন্য পেরেশান হওয়ার দরকার নেই। তবে কোনো হিম্মতওয়ালা মেধাবী ছাত্রের পক্ষে যদি তা সম্ভব হয় তাহলে তার জন্য বাধাও নেই।
৩. সাধারণ তারকীবগুলো বুঝে নেওয়া। কঠিন ও নতুন তারকীব যদি বুঝে না আসে এতেও তেমন ক্ষতি নেই।
৪. মাতৃভাষায় তরজমা বোঝা এবং ইয়াদ করার ব্যাপারে পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া। প্রথমে প্রতিটি শব্দ ও প্রতিটি বাক্যের তরজমা বোঝার চেষ্টা করবে এরপর পুরো কথাটি সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষায় অনুবাদ করবে।
৫. আরও একটি কাজ যা এ কিতাবের আগেই হয়ে যাওয়া উচিত ছিল কিন্তু সাধারণত না—হওয়ার কারণে এখানেও তা করা প্রয়োজন। তা হল, আকর্ষণীয় বাক্যগুলোকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন কাঠামোতে ব্যবহারের মশক করা।
এ প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা হল, ‘মুখতারাত’ এর ভূমিকা অংশটি খুব প্রয়োজনীয় হওয়া সত্ত্বেও আমাদের এ অঞ্চলে তা সাধারণত পড়ানো হয় না। সপ্তাহে দুইদিন অল্প অল্প করে ভূমিকা অংশটির দরস হওয়া দরকার। এভাবে একবার শেষ হওয়ার পর পুনরায় পড়া দরকার। মাদরাসায় এই ব্যবস্থা না থাকলে তালিবে ইলম নিজেও দু’চার লাইন করে প্রতিদিন তা পড়তে পারে।
এতটুকু হল এই কিতাব অধ্যয়নের প্রথম পর্যায়। এর পরবর্তী পর্যায়গুলো সম্পর্কে প্রয়োজনের সময় আবার মশোয়ারা করতে পারবেন।
আপনি ‘লামিয়াতুল মু’জিযাত’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। এ প্রসঙ্গে আগামী কোনো সংখ্যায় লিখব ইনশাআল্লাহ।
শেয়ার লিংক