আবু বকর সিদ্দীক - মধুপুর, টাঙ্গাইল

প্রশ্ন

(ক) মৃত্যু সন উল্লেখ করার সময় অনেক তালেবে ইলম ভাইকে سن وفات  শব্দ ব্যবহার করতে শুনি। হুজুরের কাছে জানার বিষয় হল, এর সঠিক উচ্চারণ কী?

سن وفات (بفتح السين) না (بكسر السين) سن وفات ফীরুযুল লুগাতে কোনো যবত দেয়া হয়নি। ফার্সী-উর্দূ অভিধান لغات کشوری-এর মধ্যে سِن (بکسرالسین) লেখা হয়েছে। ফরহাঙ্গে রব্বানীতে সিনআছে। তবে ফরহাঙ্গে কাসেমী ফরহাঙ্গে জাদীদে সন্রয়েছে। কিন্তু এর আরবী উচ্চারণ তো بكسر السين অভিধানগুলোতে দেখা যায়, শব্দটি আরবী ভাষা থেকেই উর্দূতে এসেছে। বিষয়টি জানালে কৃতজ্ঞ হব। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।

(খ) হিজরী বর্ষের ষষ্ঠ মাসের নাম কি جمادى الآخرة না جمادى الأخرى? ‘প্রচলিত ভুলকিতাবের ১৪৯ নং পৃষ্ঠায় এই মাসের সঠিক উচ্চারণجمادى الأخرى বলা হয়েছে। جمادى الآخرة -এর ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু বেশ কিছু অভিধানে جمادى الآخرة উল্লেখ করা হয়েছে। এবং ১৪৩৬ হিজরীর উক্ত মাসের আলকাউসারের প্রচ্ছদ পৃষ্ঠাতেও জুমাদাল আখিরাহলেখা হয়েছে। কিন্তু ১৪৩৬ -এর যিলহজ্ব সংখ্যার ৩য় পৃষ্ঠার ২য় কলামের শেষে জুমাদাল উখরালেখা হয়েছে।

 

 

উত্তর

ক) سَن/سنہ এবং سِن (بکسرالسینভিন্ন ভিন্ন অর্থের আলাদা দুটি শব্দ। سن/سنہ (بفتح السین)-এর অর্থ সন বা তারিখ। আরবীতে ব্যবহৃত سَنَة শব্দটি উর্দূতেও سنہ রূপে একই অর্থে ব্যবহার হয়। তবে سنہ -এর উচ্চারণ سَن’ (সন্), ‘সানাহনয়। উচ্চারণ সন্হওয়াতে কেউ কেউ শব্দটিকে (হা ছাড়া) سَن রূপেও লিখে থাকেন। তাই سَن وفات লেখা হোক বা سنہ وفات উচ্চারণ একই হবে- ‘সন্بفتح السین তবে অনেক ভাষাবিদ মনে করেন, শব্দটি سَن রূপে লেখা বিশুদ্ধ নয়। সম্ভবত এজন্যই কোনো কোনো অভিধানে সন-তারিখের সমার্থক উদুর্ শব্দটি سَن বানানে লেখা হয় না, বরং سنہ বানানে লেখা হয়। দেখুন, ‘ফীরুযুল লুগাত’ (বর্ধিত সংস্করণ), সায়্যিদ আবদুর রশীদ বিন আবদুল গফুর কর্তৃক মুনতাখাবুল লুগাত’, ইতিকাদ পাবলিকেশন্স হাউস থেকে প্রকাশিত উর্দূ হাসনুল লুগাত ফরহঙ্গ--রব্বানী

আরেকটি হল سِن (بکسر السین ) আরবীর মতো উর্দূতেও এর অর্থ বয়স’; সন বা তারিখ নয়।

কোনো কোনো লুগাতে سِن (بکسر السین) শব্দের অর্থ سال লেখা হলেও সেখানে سال শব্দের সাথে عمر  (বয়স) বা এর সমার্থক শব্দও থাকে। এখানে سال শব্দ বয়সঅর্থে; ‘সনবা তারিখ অর্থে নয়। আর উদুর্তে বয়সঅর্থে سال -এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।

বিষয়গুলো যেহেনে রেখে উর্দূ অভিধানগুলো মুরাজাআত করলে আশা করি আপনার ইশকালের হল পেয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কয়েকটি উদ্ধৃতি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে :

1۔ فرہنگ تلفظ (مؤلفہ: شان الحق حقی،  ناشر: وزارت اطلاعات، نشریات وقومی ورثہ، حکومت پاکستان)   ص: 466

سَنسال،  جنتری کا ایک سال، اصلا سنہ کی تخفیف  ۔ [ع: سنة]۔

سِنعمر، پیدائش یا تخلیق سے موت تک یا کسی خاص وقت تک کا عرصہ۔

2۔ مختصر اردو لغت (قومی کونسل برائے فروغ اردو زبان نئی دہلی، طبع 2013 ص : 597)

سَن/سنہسال۔ سن جلوس: (اضافت کے ساتھ) کسی بادشاہ کی تخت نشینی کا سال۔

سِن : عمر، عمر کی مقدار۔ سِن بلوغ/تمیز/ شعور: (اضافت کے ساتھ): سمجھ کی عمر، جوانی کی عمر۔ سِن تمیز کو پہنچنا: بالغ ہونا، سیانا ہونا۔

3۔ نور اللغات (مؤلفہ: نور الحسن نیّر، سنگ مل پبلیکشنز ، طبع 2014 ج : 2 ص : 364)

سَن: سال، اس کا املا سنہ ہے۔

سِنبالکسر وتشدید نون (فارسی اردو میں تنہا بغیر تشدید مستعمل ہے): عمر، عمر کی مقدار۔

4۔ مختصر اردو لغت(اردو لغت بورڈ، قومی تاریخ وادبی ورثہ ڈویژن، حکومت پاکستان ج 2 ص : 50ـ51)

سَن: عرصے اور زمانے کے شمار کا ایک قاعدہ سال، برس، سَنِ عیسوی،  سَنِ ہجری

سِن : عمر، عمر کی میعاد، زندگی کے سال۔]ع[

5۔ فیروز اللغات ( فیروز سنز لمیٹڈ) ص 431، 434

سن  :  عمر، سال، مقدار عمر۔

سنہ:  (سَنسال،  برس، سمبت۔

আরো দেখুন :

 نئی اردو لغت (مؤلفہ: نجیب رامپوری) ص 59، جہانگیر اردو لغت، ص902، علمی اردو لغت جامع (مؤلفہ: وارث سر ہندی) ص 1414

উপরোক্ত উদ্ধৃতির আলোকে বলা যায় যে, ‘ফরহাঙ্গে জাদীদএবং ফরহাঙ্গে কাসেমীতে বয়সঅর্থের সমার্থক উর্দূ শব্দ سن -এর উচ্চারণে সন্লেখা তাসামুহ হয়েছে।

নিম্নোক্ত রেসালাদুটি থেকেও এ বিষয় সংশ্লিষ্ট অংশ দেখে নিতে পারেন-

1۔ لغات روزمرہ  مؤلفہ: شمس الرحمن فاروقی (ص 216)

2۔ عبارت کیسے لکھیں مؤلفہ: رشید حسن خان  (76-77)

দ্বিতীয় কিতাব থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি :

سنہ: عربی میں سنة تھا، جو قاعدے کے مطابق سنہ بن گیا، مگر اس کا تلفظ وہی رہا جو  'سَنکا ہوتا ہے۔ اس لفظ کے لکھنے میں یہ لحاظ رکھنا چاہیے کہ جب اس کے ساتھ عدد بھی لکھے جائیں جیسے 1993 ؁  ، تب اس کے بعد نون کا نقطہ نہیں رکھا جائےگا۔ اگر یہ لفظ اعداد کے بغیر آئے، تب نقطہ ضرور رکھا جائےگا، جیسے: اسی سنہ میں انھوں نے دسویں درجے کا امتحان پاس کیا تھا

جب یہ لفظ اضافت کے ساتھ آئےگا، تب بھی اس لفظ کا یہی املا رہےگا، ہاں اضافت کا زیر لگادیا جائےگا، جیسے: " سنِہ ہجری میں یہ تاریخ لکھی ہے میں نے"

بعض لوگ سال کے معنی میں'سن ' لکھ دیتے ہیں،  یہ درست نہیں۔'سنمیں ' سکے نیچے زیر ہے اور اس کے معنی ہیں: عمر، ('ہم سنمیں یہی لفظ ہے)۔ اگر کوئی شخص مثلا سن 1857  لکھے تو کہا جائے گا کہ املا غلط ہوگیا،   1857 ؁ء لکھنا چاہیے۔

 

খ) হিজরী বর্ষের ষষ্ঠ মাসের নাম জুমাদাল আখিরাহجمادى الآخرةজুমাদাস সানিয়া’, ‘জুমাদাস সানীবা জুমাদাল উখরানয়। যুগ যুগ ধরে মুসলিমগণ এ মাসকে জুমাদাল আখিরানামে ব্যবহার করে আসছেন। সীরাত, তারীখ এবং তারাজিমের কিতাবে ব্যাপকভাবে এ মাসের নাম এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। আরবী ভাষার প্রাচীন অভিধান এবং মাস-দিবসের নাম সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বর্ণনাগুলোতেও এ মাসের নাম জুমাদাল আখিরাহলেখা হয়েছে।

প্রসিদ্ধ নাহুবিদ ইমাম আবু যাকারিয়া আলফার্রা রাহ. (মৃত্যু : ২০৭ হি.) কিতাবুল আইয়ামি ওয়াল লায়ালী ওয়াশ শুহুরকিতাবে এ মাসের নাম জুমাদাল আখিরাহলিখেছেন।

ইমাম আবু জাফর আননাহ্হাস রাহ. (মৃত্যু : ৩৩৮ হি.) উমদাতুল কুত্তাব’ (পৃষ্ঠা ১০০) গ্রন্থে লেখেন-

فإن قيل: لم لم يقل: شهر ربيع الثاني، وقيل: الآخر؛ وكذا جمادى الآخرة، ولم يقل: الثانية؛ كما يقال: السنة الأولى والثانية؟ فالجواب: إنه يقال الثاني والثانية لما له ثالثٌ وثالثةٌ، فلما لم يكن لهذين ثالثٌ ولا ثالثةٌ قيل فيهما: الآخر والآخرة، كما قيل: الدنيا والآخرة.

ইমাম রযীউদ্দীন আস্তারাবাযী (মৃত্যু : আনুমানিক ৬৮৬ হি.) বলেন-

وهي (جمادى) غير مصروفة للتأنيث والعلمية، والأُولى والآخرة صفة لها،فإن الآخرة بمعنى المتأخرة، ولا يقال: الأخرى؛ لأن الأخرى بمعنى الواحدة فتتناول المتقدمة والمتأخرة، فيحصل اللبس. (شرح شافية ابن الحاجب 4:280).

আরো দেখুন :

كتاب الأيام والليالي والشهور للإمام النحوي أبي زكريا الفراء (ت 207 هـ) ص 43.

وكتاب الألفاظ لابن السِّكِّيت (ت 244 هـ) ص : 291)

المخصَّص لابن سيدة (ت 458 هـ) 2:387

وتثقيف اللسان وتلقيح الجنان لأبي حفص عمر بن خلف الصقلي (ت 501 هـ) ص 221

والمصباح المنير للفيومي (ت نحو 770 هـ) ص 72.

বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আপনাকে মোবারকবাদ। আল্লাহ তাআলা আপনার ইলম, আমল এবং যিন্দেগীতে বরকত দান করুন- আমীন।

শেয়ার লিংক

জিহাদ আলআবদি - মাদরাসা বাইতুল উলূম, ঢাকা

প্রশ্ন

ইমাম রাগেব আসফাহানী রাহ. আলমুফরাদাতকিতাবে هلك শব্দের তাহকীক করতে গিয়ে বলেন-

وذلك لفائدة يختص ذكرها بما بعد هذا الكتاب.

অনুরূপ سجن শব্দের অধীনে বলেন-

وفي هذه لطيفة موضعها الكتب التي تتبع هذا الكتاب إن شاء الله تعالى.

এখানে লেখক কোন্ কিতাবের দিকে ইশারা করেছেন? জানালে কৃতজ্ঞ থাকব।

উত্তর

ইমাম রাগেব আসফাহানী রাহ. আলমুফরাদাতকিতাবে এই দুই স্থান ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় উপরোক্ত কিতাবের কথা বলেছেন। এসব জায়গার সিয়াক থেকে বুঝা যায়, এতে তিনি ঐ কিতাবের কথা বলছেন, যে কিতাব সংকলনের ইচ্ছা তিনি আলমুফরাদাতকিতাবেরই মুকাদ্দিমায় ব্যক্ত করেছেন এবং কিতাবের বিষয়বস্তুর প্রতিও ইশারা করেছেন, তিনি বলেন-

وأتبع هذا الكتابَ (المفردات) ـ إن شاء الله تعالى ونسأ في الأجل ـ بكتاب ينبئ عن تحقيق الألفاظ المترادفة على المعنى الواحد، وما بينها من الفروق الغامضة، فبذلك يعرف اختصاص كل خبر بلفظ من الألفاظ المترادفة دون غيره من أخواته، نحو ذكر القلب مرة، والفؤاد مرة والصدر مرة...

তবে পরবর্তীতে এ বিষয়ে তিনি স্বতন্ত্র কোনো কিতাব সংকলন করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। হাঁ, তাঁর সংকলিত তাফসীর গ্রন্থেও এ বিষয়ক অনেক তথ্য রয়েছে। যার কিছু অংশ تفسير الراغب  الأصفهاني নামে মাদারুল ওয়াতান রিয়াযথেকে দুই খণ্ডে ড. আদেল শিদ্দির তাহকীকে ছেপেছে। এর আগে তাঁর তাফসীরের মুকাদ্দিমাসহ সূরা ফাতেহা ও সূরা বাকারার শুরুর কয়েকটি আয়াতের তাফসীর কুয়েতের দারুদ দাওয়াথেকে ড. আহমাদ হাসান ফারহাতের তাহকীকে-

مقدمة جامع التفاسير مع تفسير الفاتحة ومطالع البقرة.

নামে ছেপেছে। এতেও এ বিষয়ের কিছু মাওয়াদরয়েছে।

শেয়ার লিংক

নাম উল্লেখ নেই - None

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমি হেদায়াতুন্নাহু জামাতের একজন ছাত্র। কুদূরী পড়ার সময়ে একটি ইবারতে অস্পষ্টতা দেখা দেয়, ইবারতটি হল-

وليس في الفصلان والحملان والعجاجيل صدقة عند أبي حنيفة ومحمد، إلا أن يكون معها كبار. وقال أبو يوسف: تجب فيها واحدة منها.

আমরা জানি যে, উট, গরু ও বকরির বাচ্চার যাকাত আসে না। সেগুলোর যখন এক বছর পূর্ণ হয় তখন যাকাত আসে। আর বছর পূর্ণ হলে তো সেগুলো আর বাচ্চা থাকে না। সুতরাং আমার প্রশ্ন হল, ইমাম আবু ইউসুফ রাহ.-এর মতে বাচ্চাগুলোর মধ্য হতে যাকাত হিসেবে একটি বাচ্চা দেয়া কীভাবে ওয়াজিব হয়। জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

আপনার প্রশ্ন যথাযথ। কারো কাছে নেসাব পরিমাণ শুধু উট, গরু বা বকরির বাচ্চা আছে; বড় কোনো পশু নেই। ইমাম অবু ইউসুফ রহ.-এর মতে এগুলোরও যাকাত ফরয। কিন্তু প্রশ্ন হল, তা কীভাবে? যাকাত তো এক বছরের আগে দেওয়া ফরয নয়। আর এক বছর হয়ে গেলে সেগুলো বাচ্চাই থাকল না; ‘মুসিন্নাহয়ে গেল। এবং এক্ষেত্রে সবার নিকটই এগুলোর উপর যাকাত ফরয। তাহলে শুধু এই বাচ্চাগুলোতে যাকাত ফরয হওয়ার অর্থ কী? যদি এগুলোর সাথে বড় পশুও থাকে তাহলে তো সহজ বিষয়। বড়গুলোর বয়স হিসেবে বছর শেষে যাকাত আদায় করবে। কিন্তু যখন শুধু বাচ্চা রয়েছে; সেগুলোর উপর যাকাত ফরয- এ কথার কী অর্থ? মোটকথা, এই মাসআলার বাস্তব সূরত কী, যাতে ইমামদের ইখতেলাফ হয়েছে এবং ইমাম আবু ইউসুফ রাহ. যাতে যাকাত ফরয হওয়ার কথা বলেছেন?

প্রশ্নটি নিয়ে ফুকাহায়ে কেরাম ভিন্নভাবে আলোচনা করেছেন এবং এর সমাধানও তাঁরা দিয়েছেন। ইমাম কাসানী রাহ. প্রশ্নটি এভাবে উল্লেখ করেছেন-

وأما صورة هذه المسألة فقد تكلم المشايخ فيها؛ لأنها مشكلة؛ إذ الزكاة لا تجب قبل تمام الحول، وبعد تمامه لا يبقى اسم الفصيل والحمل والعجول بل تصير مسنة.

এই প্রশ্নের সমাধান ইমাম কুদূরী রাহ.-এর আরেক কিতাবেই বিদ্যমান রয়েছে। তিনি আত্তাজরীদকিতাবে বলেন-

قال أبو حنيفة ومحمد: لا زكاة في الفصلان والحملان والعجاجيل. وصورة المسألة: أن يكون له نصاب من الكبار فتتوالد كعددها، ثم تموت الأمهات

فيحول الحول وهي صغار. وقال أبو يوسف: فيها واحدة منها، وبه قال الشافعي رحمه الله.

অর্থাৎ কারো কাছে যদি নেসাব পরিমাণ উঁট, গরু বা বকরি থাকে। পরবর্তীতে সেগুলো সে পরিমাণ বাচ্চাও দেয়  (অথবা অন্য কোনোভাবে মালিক হয়) এবং বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই কোনো দুর্ঘটনায় বড় পশুগুলো মারা যায়, তাহলে এক্ষেত্রে মৃত পশুগুলোর যাকাতবর্ষ যখন পূর্ণ হবে, তার হুকুম ছোট বাচ্চাগুলোর ক্ষেত্রেও আসবে কি না। ইমাম আবু ইউসুফ রাহ. (এবং ইমাম শাফিয়ী রাহ.)-এর রায় হল, মৃত বড় পশুগুলোর বছরপূর্তির হুকুম ছোট বাচ্চাগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে এবং সে হিসেবে এগুলোর যাকাত দিতে হবে। (আততাজরীদ ৩/১১৭৯)

ইমাম জাস্সাস রাহ. আরো কিছুটা স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন-

والمسألة في الحملان أن يكون له أربعون شاة في أول الحول، فتوالدت أو استفاد أربعين حملاً قبل الحول بشهر أو نحوه، ثم ماتت المسان، وبقيت الحملان، لا تصح مسألة الحملان إلا على هذا، لأنها لو بقيت في ملكه حولاً، كان مسان، تجب فيها الصدقة عند الجميع إذا حال عليها حول بعد ما صارت مسان.

দেখুন : শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ২/২৬৯)

খুলাসা কথা, এই মাসআলার সূরত হচ্ছে, বছরের শুরুতে কারো কাছে নেসাব পরিমাণ বড় পশু ছিল এবং বছরের ভেতর সে নেসাব পরিমাণ বাচ্চারও মালিক হয়। কিন্তু বছর শেষে তার কাছে শুধু বাচ্চাগুলোই থেকে গেছে, বড় পশু থাকেনি। এক্ষেত্রে ইমাম আবু ইউসুফ রাহ.-এর মত হল, বড় পশুগুলো এখন তার কাছে না থাকলেও সেগুলোর হিসেবে যখন বছর পূর্ণ হবে তখন বাচ্চাগুলোর যাকাত আদায় করতে হবে।

আরো দেখুন : বাদায়েউস সানায়ে ২/১২৮; আলমুহীতুল বুরহানী ৩/১৭৫-১৭৬; আলইয়ানাবীফী মারিফাতিল উসূলি ওয়াত তাফারী১/২০২; শরহু মুশকিলাতিল কুদূরী ১/৩৫৪

শেয়ার লিংক

মুহাম্মাদ নুরুদ্দীন - ফেনী

প্রশ্ন

আমি হেদায়া জামাতের ছাত্র, আমার প্রশ্ন হল, সূরা আম্বিয়ার ৪৭ নং আয়াতের অংশবিশেষ وَ كَفٰی بِنَا حٰسِبِیْنَ -এর মধ্যে   كفى ফেয়েল, ب যায়েদা, আর نا ফায়েল। إعراب القرآن বিষয়ক কিতাবগুলোর মধ্যে এভাবে তারকীব করা হয়েছে। আমার জানার বিষয় হল, এখানে ফেয়েল-ফায়েলের تطابق কোথায়? وكفى بهم قدوة -এর মধ্যেও একই প্রশ্ন।

উত্তর

كَفى (التي بمعنى حسب، والتي هي فعل لازم)

ফেয়েলের ফায়েলের শুরুতে কখনো باء زائدة আসে। এক্ষেত্রে كفى ফেয়েল সর্বদা واحد مذكر غائب সিগার রূপে থাকে। ফেয়েলের মধ্যে কোনো যমীর থাকে না এবং ফায়েল মুআন্নাছ, তাছনিয়া বা জমা যা-ই হোক ফেয়েল অপরিবর্তিতই থাকে। ইমাম ইবনে সীদাহ (৪৫৮ হি.) রাহ. كفى শব্দের ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রসিদ্ধ ভাষাবিদ ইমাম ইবনুল আরাবী রাহ. (২৩১ হি.)-এর বক্তব্য উদ্বৃত করে বলেন-

وحكى ابن الأعرابي: كفاك بفلان، وكَفْيُك به، وكِفاك مكسور مقصور، وكُفاك مضموم مقصور أيضا. قال: ولا يثنى ولا يجمع ولا يؤنث.(المحكم والمحيط الأعظم لابن سيده //৮৪ )

আর كفى به ফেয়েলের এরাব মূলত    أكْرِمْ بزيدٍْ ,اَسْمِعْ بِهِمْ  ফেয়েলে তাআজ্জুবের এরাবের মত।  যেখানে (ইমাম সীবাওয়াই রাহ.-এর মতে) বা’-এর মাজরুরটাই ফায়েল। أكرم ফেয়েলে যমীর উহ্য থাকে না এবং ফায়েল মুয়ান্নাছ বা জমা হলেও ফেল একই রূপে থাকে। 

ইমাম ইবনে সীদাহ (৪৫৮ হি.) রাহ. বলেন-

وأما زيادتها (الباء) في الفاعل فنحو قولهم: كفى بالله، وقوله تعالى: (وَ كَفٰی بِنَا حٰسِبِیْنَ) إنما هو كفى الله، وكفينا.

فالباء وما عمِلتْ فيه في موضع مرفوع بفعله،ونحوه قولُهم في التعجب: أحسن بزيد! فالباء وما بعدها في موضع مرفوع بفعله، ولا ضمير في الفعل.

দেখুন, আলমুহকাম ওয়াল মুহীতুল আযম ফিল লুগাহ ৭/৮৪-৮৫; লিসানুল আরব ১৩/ ৯৩ (মাদ্দা كفى)

শেয়ার লিংক

আব্দুল্লাহ আলমারূফ - ঢাকা

প্রশ্ন

আমি হেদায়াতুন্নাহু জামাতের একজন ছাত্র। আমার সাথীদের অনেকে মাশাআল্লাহ ইবারত পড়তে পারে। আমার সমস্যা হল, আমি তরজমা বোঝা ছাড়া ইবারত পড়তে পারি না। তরজমা জানলে ইবারত মোটামুটি সহজে পড়তে পারি। ইবারত থেকে মুবতাদা-খবর, হাল, মুতাআল্লিক ইত্যাদি নির্ণয় করতে দেরি হয়।

উত্তর

কিছুটা বিলম্বে হলেও তো চিন্তাভাবনার দ্বারা আপনি আমিল, মামূল ও মামূলের প্রকার বুঝতে পারছেন। এটাও তো সামান্য নয়। আর তরজমার মোটামুটি ধারণা না থাকলে তো যে কোনো ইবারতই পড়া কঠিন। মুতালাআ যত বাড়বে এবং যত বেশি চিন্তাভাবনা করা হবে ততই তা সহজ হতে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

শেয়ার লিংক

উবাইদুল্লাহ - ফরিদপুর

প্রশ্ন

মিশকাতুল মাসাবীহ কিতাবে কতগুলো মাওযু বা ওয়াহী হাদীস রয়েছে? এবং সবগুলো একসাথে কোথায় পাওয়া যাবে? আল্লাহ তাআলা আপনাকে জাযায়ে খায়ের দান করুন।

উত্তর

মিশকাতুল মাসাবীহের প্রত্যেক বাবের প্রথম দুই فصل -এর রেওয়ায়েতগুলো মিশকাতের মূল মাসাবীহুস সুন্নাহথেকে  নেওয়া। মাসাবীহুস সুন্নাহর কিছু হাদীসের বিষয়ে কোনো কোনো আলেম আপত্তি করেছেন। কিছু হাদীস এমন আছে, যেগুলোকে ইমাম ইবুনল জাওযী রাহ. আলমাওযূআতকিতাবে শামিল করেছেন। হাফেয সালাহুদ্দীন আলায়ী (৭৬১ হি.) রাহ.-

النقد الصحيح لما اعترض عليه من أحاديث المصابيح.

কিতাবে এসব বর্ণনার সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা করেছেন। ড. আবদুর রহীম আলকশকরীর তাহকীকে এটি জামিয়া ইসলামিয়া মদীনা মুনাওয়ারা থেকে ছেপেছে। ইমাম আবু হাফস সিরাজুদ্দীন কাযবীনী (৭৫০ হি.) রাহ.-ও মাসাবীহের কিছু হাদীসকে মাওযূ আখ্যা দিয়েছেন। হাফেজ ইবনে হাজার রাহ.তার বক্তব্য খ-ন করে সেগুলোর জওয়াব দিয়েছেন, যা-

أجوبة الحافظ ابن حجر العسقلاني عن أحاديث المصابيح.

শিরোনামে শায়েখ আলবানী রাহ.-এর তাহকীককৃত মিশকাতুল মাসাবীহ’-এর শেষে সংযুক্ত হয়েছে।

হাঁ, মিশকাতের فصل ثالث -এর হাদীসসমূহে صحيح حسن -এর পাশাপাশি ضعيف হাদীসও আছে, যেগুলোর মধ্যে কিছু রেওয়ায়েত এমন আছে, যা منكر, তবে এ রেওয়ায়েতগুলোর উপর স্বতন্ত্র কোনো সংকলনের বিষয়ে আমাদের জানা নেই। এ হাদীসসমূহের মান ও পর্যায় জানার জন্য এ বিষয়ক কিতাবাদির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এজন্য-

هداية الرواة إلى تخريج أحاديث المصابيح والمشكاة، مرعاة المفاتيح شرح مشكاة المصابيح، تنقيح رواة المشكاة.

ইত্যাদি কিতাবগুলো থেকেও সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে।

শেয়ার লিংক

তামীম - মুহাম্মাদপুর, ঢাকা

প্রশ্ন

আমি এ বছর শরহে জামি জামাতে পড়ি। উক্ত জামাতে আমাদেরকে শরহে জামী, শরহে তাহযীব ও তালখীসুল মিফতাহ কিতাব পড়ানো হয়। কিতাব তিনটি কঠিন হওয়ায় ভালোভাবে আয়ত্ত করতে পারছি না। হুজুরের কাছে আবেদন, কিতাবগুলি কীভাবে অধ্যয়ন করব- সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে বাধিত করবেন।

 

উত্তর

শরহে জামির জন্য প্রথমত কাফিয়ার মূল মাসআলাগুলো ভালোভাবে আত্মস্থ করুন। এরপর লফযী তাদকীকাতে সময় ও মেধা ব্যয় না করে মাসায়েল ও মাসায়েলের ইলালমূল কিতাব থেকে বোঝার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে আরবী হাশিয়ার সাহায্য নিন।

শরহে তাহযীব পড়ার আগে আশা করি আপনি মেরকাতের মুসতালাহাতআয়ত্ত করেছেন। এখানেও শরাহ হলকরার জন্য আপনি প্রথমত তাহযীবুল মানতিকএর মূল বক্তব্য আয়ত্ত করে নিন। মতনের কোনো জায়গা কঠিন মনে হলে হযরত মাওলানা মুফতী সাঈদ আহমাদ পালনপুরী রাহ.-এর মিফতাহুত তাহযীবথেকে ইস্তিফাদা করতে পারেন। এরপর শরাহ পড়তে শুরু করুন। প্রথমে নিজে ইবারতে ফিকির করে বোঝার চেষ্টা করুন। কোথাও বুঝতে কষ্ট হলে তখন শরাহ বা হাশিয়ার সহযোগিতা নিন। তুহফায়ে শাহজাহানীবা আবদুল হাই লাখনভী রাহ. -এর হাশিয়া তাযহীবুত তাহযীবদেখতে পারেন।

মনে রাখবেন, প্রথম মুতালাআতেই সব ইবারত পুরোপুরি হলহয়ে যাবে- তা জরুরি নয়। চেষ্টা মেহনতের পরও যে ইবারতগুলো হলহয়নি সেগুলো নোট রাখুন। পরবর্তী সুযোগে মুযাকারা, মুরাজাআত কিংবা ফনের অন্য কিতাব থেকে মুতালাআর মাধ্যমে হল হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।

বাহাউদ্দীন সুবকী রাহ. (৭৭৩ হি.)-এর  عروس الأفراح شرح تلخيص المفتاح তালখীসুল মিফতাহ-র সাবলীল ও ফন্নী শরাহ। প্রথম প্রথম কিতাবের সাথে উন্স হতে দেরি হলেও নিয়মিত মুতালাআ করলে আজনাবিয়্যত কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।

শেয়ার লিংক

ابن مخلص - نواپارا، نواکھالی

প্রশ্ন

تفسیر جلالین (ص ১৯২) میں سورۂ یوسف کے ২৪ نمبر آیت کریمہ کی تفسیر یوں کی گئی ہے:{وَلَقَدْ هَمَّتْ بِه} (قصدتْ منه الجماع) {وَهَمَّ بِهَا} (قصد ذلك) {لَوْلا أَنْ رَآى بُرْهَانَ رَبِّه} (قال ابن عباس: مُثِّل له يعقوبُ فضرب صدره، فخرجتْ شهوته من أنامله، وجواب لولا: لجامعها).

سوال یہ ہے کہ کیا یہ تفسیر صحیح ہے؟ اور اس میں حضرت عبد اللہ بن عباس  کے حوالے سے جو بات نقل کی گئی ہے کیا وہ ان سے ثابت ہے؟

উত্তর

ماشاء اللہ آپ نے بہت اہم سوال کیا ہے، کوئی شک نہیں کہ یہ ان نازک مواقع میں سے ہے جس میں جلال الدین سیوطی رحمۃ اللہ علیہ سے تسامح ہوگیا، سامحه الله تعالى وجزاه على خدماته أحسن الجزاء.

پہلا تسامح تو یہ ہے کہ انہوں نے >هَمَّ< کی تفسیر >قصد< سے کی ہے، حالانکہ بلاغت کے قاعدے کے مطابق یہاں  >هَمَّ< کا لفظ علی سبیل المشاکلۃ آیا ہے، اس لیے دونوں جگہ معنی ایک نہیں ہوگا،  اس لیے دوسری جگہ >هَمَّکا معنی  >قصدنہیں بلکہ یہاں هَمَّ  کا معنی ہے بتقاضائے طبیعت دل میں صرف خطرہ گذرنا، مگر اللہ تعالی نے سیدنا یوسف علیہ السلام کو اس سے بھی محفوظ رکھا ہے، اللہ تعالی کی طرف سے برہان دیکھنے کی وجہ سےادنی درجہ کے اس هَمَّ سے بھی وہ محفوظ رہ گئے، جیسا کہ ارشاد ہوا:  {وَهَمَّ بِهَا لَوْلا أَنْ رَآى بُرْهَانَ رَبِّه} ملاحظہ ہو: تفسیر جمل، تفیسر صاوی، اور فتوح الغیب علامہ طیبی ২৯৫/৮، مجموع الفتاوی، ابن تیمیہ ৭৪০/১০۔

دوسرا تسامح یہ ہے کہ انہوں نے  >لولاکے جواب کو محذوف قرار دے کر ان کے زعم کے مطابق اس محذوف کا ذکر بھی کیا ہے!! حالانکہ رب العالمین نے تو امرأۃ العزیز کے گناہ کا تذکرہ کنایۃً فرمایا، اور مصنف سیدنا یوسف علیہ السلام کی عصمت پر مشتمل آیت کی تفسیر میں ایسی صریح عبارت ذکر کررہے ہیں؟!

بہر حال اس تسامح کا ایک منشأ  تو یہ ہے کہ اس موضوع سے متعلق بعض منکر اسرائیلی روایات کو ان لوگوں نے آثار سمجھ کر نادانستہ بد گمانی میں مبتلا ہوئے، دوسرا منشأ یہ ہے کہ متاخرین میں دائر سائر کتب نحو میں ذکر کردہ قاعدے کے مطابق >لولا< کا جواب مقدم نہیں ہوا کرتا، اس لیے وہ >وَهَمَّ بِهَا< کو>لَوْلَا< کا جواب قرار دینے کے لیے تیار نہیں، بعض اور مفسرین نے بھی یہی کام کیا ہے، حالانکہ >لولا< کا جواب مقدم ہونا یہ بھی عربیت کا ایک فصیح اسلوب ہے جسے بتقاضائے مقتضی الحال جہاں اختیار کرنا چاہیے اختیار کرنا ہی عین بلاغت ہے۔

بہرحال سوال یہ ہے کہ اگر >لولاکا جواب محذوف ہی ہو تو کیا وہ محذوف یہی ہے جس کا ذکر مصنف نے کیا ہے؟! محذوف تو وہی ہوتا جس پر  سیاق دال ہو، یہاں تو ظاہری سیاق وسباق اور معنوی سیاق وسباق اس پر دال ہےکہ یہاں جواب محذوف >هَمَّ<   ہے،   يدل عليه ما قبله.

ملاحظہ ہو: مفسر ابو حیان (৭৪৫ھ) رحمۃ اللہ علیہ کا نورانی ارشاد، ان کا محققانہ اور ایمان افروز بیان “البحر المحیط” ৩৮৪-৩৮৩/৫ میں، جس کا تھوڑاسا حصہ 'الطریق الی تفسیر القرآن الکریم' ২০০/২ میں نقل کیا گیا، مزید ملاحظہ ہو  حضرت پالنپوریکی شاندار تفسیر “ھدایت القرآن” ১৬৪-১৬৩/৪۔

آپ نے حضرت عبد اللہ بن عباس رضی اللہ تعالی عنہما کی طرف منسوب بات کے بارے میں بھی پوچھا ہے، جواب یہ ہے کہ بعض روایت میں اگرچہ یہ بات سیدنا ابن عباس کی طرف منسوب ہے لیکن راجح روایات کے مطابق مذکورہ مقولہ سعید بن جبیر کا بیان ہے، ملاحظہ ہو تفسیر عبد الرزاق اور تفسیر الطبری میں مذکور  متعلقہ روایات۔

لیکن اصل بات سمجھنے کی  یہ ہے کہ کسی بھی روایت کے مطابق یہ مقولہ 'أثرکی حیثیت نہیں رکھتا ہے، کیونکہ یہ  اسرائیلیات سے حکایت کردہ ہے، اس سے بھی زیادہ منکر وہ اسرائیلی روایات ہیں جو 'الدر المنثور' میں منقول ہیں۔ افسوس کہ وہ بعض خطبات ومواعظ میں بھی نقل ہوتی آئی ہیں!! بس کسی صحابی یا  تابعی کا نام دیکھ کر انھیں آثار اور اقوال سلف سمجھ لیا گیا، حالانکہ ان میں سے بعض قائل سے ثابت ہی نہیں، اور بعض ایسی ہے جسے قائل نے اسرائیلیات سے حکایت کردی ہے!!

ان اسرائیلیات کی طرف اشارہ کرکے امام ابو حیان رحمۃاللہ علیہ نے فرمایا:

>طوَّل المفسرون (أي طائفة منهم) في تفسير هذين الهمَّين، ونَسَب بعضُهم ليوسف ما لا يجوز نسبتُه لآحاد الفساق، ...، وأما (ما زعم ابن عطية من) أقوال السلف (في ذلك) فنعتقد أنه لا يصح عن أحد منهم شيء من ذلك (قولاً لهم)، لأنها أقوال متكاذبة يناقض بعضها بعضاً، مع كونها قادحة في بعض فساق المسلمين، فضلا عن المقطوع لهم بالعصمة...، وقد طهَّرنا كتابنا هذا عن نقل ما في كتب التفسير (من أمثال ذلك) مما لا يليق ذكره، واقتصرنا على ما دلَّ عليه لسان العرب، ومساق الآيات التي في هذه السورة مما يدل على العصمة وبراءة يوسف عليه السلام من كل ما يشين<. (البحر المحيط  ৩৮৩-৩৮৪ :৫).

مزید دیکھیں تفسیر ابی السعود ৩৮১/৩، روح المعانی ২১৫/৭، الإسرائيليات والموضوعات في كتب التفسير للدكتور محمد أبو شہبۃ ص ২২২-২২১ (وجزاه الله تعالى خيرا على شدة غيرتہ)، اورمجموع الفتاوی ابن تیمیہ ১৭/ ৩০-৩১  (فقد نصَّ على كون هذه الأقوال إسرائيلياتٍ، وأنها مخالفة لبيان القرآن الكريم).

শেয়ার লিংক