(ক) মৃত্যু সন উল্লেখ করার সময় অনেক তালেবে ইলম ভাইকে سن وفات শব্দ ব্যবহার করতে শুনি। হুজুরের কাছে জানার বিষয় হল, এর সঠিক উচ্চারণ কী?
سن وفات (بفتح السين) না (بكسر السين) سن وفات ফীরুযুল লুগাতে কোনো যবত দেয়া হয়নি। ফার্সী-উর্দূ অভিধান لغات کشوری-এর মধ্যে سِن (بکسرالسین) লেখা হয়েছে। ফরহাঙ্গে রব্বানীতে ‘সিন’ আছে। তবে ফরহাঙ্গে কাসেমী ও ফরহাঙ্গে জাদীদে ‘সন্’ রয়েছে। কিন্তু এর আরবী উচ্চারণ তো بكسر السين। অভিধানগুলোতে দেখা যায়, শব্দটি আরবী ভাষা থেকেই উর্দূতে এসেছে। বিষয়টি জানালে কৃতজ্ঞ হব। আল্লাহ আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করুন।
(খ) হিজরী বর্ষের ষষ্ঠ মাসের নাম কি جمادى الآخرة না جمادى الأخرى? ‘প্রচলিত ভুল’ কিতাবের ১৪৯ নং পৃষ্ঠায় এই মাসের সঠিক উচ্চারণجمادى الأخرى বলা হয়েছে। جمادى الآخرة -এর ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। কিন্তু বেশ কিছু অভিধানে جمادى الآخرة উল্লেখ করা হয়েছে। এবং ১৪৩৬ হিজরীর উক্ত মাসের আলকাউসারের প্রচ্ছদ পৃষ্ঠাতেও ‘জুমাদাল আখিরাহ’ লেখা হয়েছে। কিন্তু ১৪৩৬ -এর যিলহজ্ব সংখ্যার ৩য় পৃষ্ঠার ২য় কলামের শেষে ‘জুমাদাল উখরা’ লেখা হয়েছে।
ক) سَن/سنہ এবং سِن (بکسرالسین) ভিন্ন ভিন্ন অর্থের আলাদা দুটি শব্দ। سن/سنہ (بفتح السین)-এর অর্থ সন বা তারিখ। আরবীতে ব্যবহৃত سَنَة শব্দটি উর্দূতেও سنہ রূপে একই অর্থে ব্যবহার হয়। তবে سنہ -এর উচ্চারণ ‘سَن’ (সন্), ‘সানাহ’ নয়। উচ্চারণ ‘সন্’ হওয়াতে কেউ কেউ শব্দটিকে (হা ছাড়া) سَن রূপেও লিখে থাকেন। তাই سَن وفات লেখা হোক বা سنہ وفات উচ্চারণ একই হবে- ‘সন্’ بفتح السین। তবে অনেক ভাষাবিদ মনে করেন, শব্দটি سَن রূপে লেখা বিশুদ্ধ নয়। সম্ভবত এজন্যই কোনো কোনো অভিধানে সন-তারিখের সমার্থক উদুর্ শব্দটি سَن বানানে লেখা হয় না, বরং سنہ বানানে লেখা হয়। দেখুন, ‘ফীরুযুল লুগাত’ (বর্ধিত সংস্করণ), সায়্যিদ আবদুর রশীদ বিন আবদুল গফুর কর্তৃক ‘মুনতাখাবুল লুগাত’, ইতিকাদ পাবলিকেশন্স হাউস থেকে প্রকাশিত ‘উর্দূ হাসনুল লুগাত’ ও ‘ফরহঙ্গ-ই-রব্বানী’।
আরেকটি হল سِن (بکسر السین )। আরবীর মতো উর্দূতেও এর অর্থ ‘বয়স’; সন বা তারিখ নয়।
কোনো কোনো লুগাতে سِن (بکسر السین) শব্দের অর্থ سال লেখা হলেও সেখানে سال শব্দের সাথে عمر (বয়স) বা এর সমার্থক শব্দও থাকে। এখানে سال শব্দ ‘বয়স’ অর্থে; ‘সন’ বা তারিখ অর্থে নয়। আর উদুর্তে ‘বয়স’ অর্থে سال -এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
এ বিষয়গুলো যেহেনে রেখে উর্দূ অভিধানগুলো মুরাজাআত করলে আশা করি আপনার ইশকালের হল পেয়ে যাবেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কয়েকটি উদ্ধৃতি এখানে উল্লেখ করা হচ্ছে :
1۔ فرہنگ تلفظ (مؤلفہ: شان الحق حقی، ناشر: وزارت اطلاعات، نشریات وقومی ورثہ، حکومت پاکستان) ص: 466
سَن : سال، جنتری کا ایک سال، اصلا سنہ کی تخفیف ۔ [ع: سنة]۔
سِن : عمر، پیدائش یا تخلیق سے موت تک یا کسی خاص وقت تک کا عرصہ۔
2۔ مختصر اردو لغت (قومی کونسل برائے فروغ اردو زبان نئی دہلی، طبع 2013 ص : 597)
سَن/سنہ: سال۔ سن جلوس: (اضافت کے ساتھ) کسی بادشاہ کی تخت نشینی کا سال۔
سِن : عمر، عمر کی مقدار۔ سِن بلوغ/تمیز/ شعور: (اضافت کے ساتھ): سمجھ کی عمر، جوانی کی عمر۔ سِن تمیز کو پہنچنا: بالغ ہونا، سیانا ہونا۔
3۔ نور اللغات (مؤلفہ: نور الحسن نیّر، سنگ مل پبلیکشنز ، طبع 2014 ج : 2 ص : 364)
سَن: سال، اس کا املا سنہ ہے۔
سِن : بالکسر وتشدید نون (فارسی اردو میں تنہا بغیر تشدید مستعمل ہے): عمر، عمر کی مقدار۔
4۔ مختصر اردو لغت(اردو لغت بورڈ، قومی تاریخ وادبی ورثہ ڈویژن، حکومت پاکستان ج 2 ص : 50ـ51)
سَن: عرصے اور زمانے کے شمار کا ایک قاعدہ سال، برس، سَنِ عیسوی، سَنِ ہجری
سِن : عمر، عمر کی میعاد، زندگی کے سال۔]ع[
5۔ فیروز اللغات ( فیروز سنز لمیٹڈ) ص 431، 434
سن : عمر، سال، مقدار عمر۔
سنہ: (سَن) سال، برس، سمبت۔
আরো দেখুন :
نئی اردو لغت (مؤلفہ: نجیب رامپوری) ص 59، جہانگیر اردو لغت، ص902، علمی اردو لغت جامع (مؤلفہ: وارث سر ہندی) ص 1414
উপরোক্ত উদ্ধৃতির আলোকে বলা যায় যে, ‘ফরহাঙ্গে জাদীদ’ এবং ‘ফরহাঙ্গে কাসেমী’ তে ‘বয়স’ অর্থের সমার্থক উর্দূ শব্দ سن -এর উচ্চারণে ‘সন্’ লেখা তাসামুহ হয়েছে।
নিম্নোক্ত রেসালাদুটি থেকেও এ বিষয় সংশ্লিষ্ট অংশ দেখে নিতে পারেন-
1۔ لغات روزمرہ مؤلفہ: شمس الرحمن فاروقی (ص 216)
2۔ عبارت کیسے لکھیں مؤلفہ: رشید حسن خان (76-77)
দ্বিতীয় কিতাব থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কিছু অংশ উদ্ধৃত করছি :
سنہ: عربی میں سنة تھا، جو قاعدے کے مطابق سنہ بن گیا، مگر اس کا تلفظ وہی رہا جو 'سَن' کا ہوتا ہے۔ اس لفظ کے لکھنے میں یہ لحاظ رکھنا چاہیے کہ جب اس کے ساتھ عدد بھی لکھے جائیں جیسے 1993 ، تب اس کے بعد نون کا نقطہ نہیں رکھا جائےگا۔ اگر یہ لفظ اعداد کے بغیر آئے، تب نقطہ ضرور رکھا جائےگا، جیسے: اسی سنہ میں انھوں نے دسویں درجے کا امتحان پاس کیا تھا
جب یہ لفظ اضافت کے ساتھ آئےگا، تب بھی اس لفظ کا یہی املا رہےگا، ہاں اضافت کا زیر لگادیا جائےگا، جیسے: " سنِہ ہجری میں یہ تاریخ لکھی ہے میں نے"
بعض لوگ سال کے معنی میں'سن ' لکھ دیتے ہیں، یہ درست نہیں۔'سن' میں ' س' کے نیچے زیر ہے اور اس کے معنی ہیں: عمر، ('ہم سن' میں یہی لفظ ہے)۔ اگر کوئی شخص مثلا سن 1857 لکھے تو کہا جائے گا کہ املا غلط ہوگیا، 1857 ء لکھنا چاہیے۔
খ) হিজরী বর্ষের ষষ্ঠ মাসের নাম ‘জুমাদাল আখিরাহ’ جمادى الآخرة। ‘জুমাদাস সানিয়া’, ‘জুমাদাস সানী’ বা ‘জুমাদাল উখরা’ নয়। যুগ যুগ ধরে মুসলিমগণ এ মাসকে ‘জুমাদাল আখিরা’ নামে ব্যবহার করে আসছেন। সীরাত, তারীখ এবং তারাজিমের কিতাবে ব্যাপকভাবে এ মাসের নাম এভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে। আরবী ভাষার প্রাচীন অভিধান এবং মাস-দিবসের নাম সংক্রান্ত ঐতিহাসিক বর্ণনাগুলোতেও এ মাসের নাম ‘জুমাদাল আখিরাহ’ লেখা হয়েছে।
প্রসিদ্ধ নাহুবিদ ইমাম আবু যাকারিয়া আলফার্রা রাহ. (মৃত্যু : ২০৭ হি.) ‘কিতাবুল আইয়ামি ওয়াল লায়ালী ওয়াশ শুহুর’ কিতাবে এ মাসের নাম ‘জুমাদাল আখিরাহ’ লিখেছেন।
ইমাম আবু জাফর আননাহ্হাস রাহ. (মৃত্যু : ৩৩৮ হি.) ‘উমদাতুল কুত্তাব’ (পৃষ্ঠা ১০০) গ্রন্থে লেখেন-
فإن قيل: لم لم يقل: شهر ربيع الثاني، وقيل: الآخر؛ وكذا جمادى الآخرة، ولم يقل: الثانية؛ كما يقال: السنة الأولى والثانية؟ فالجواب: إنه يقال الثاني والثانية لما له ثالثٌ وثالثةٌ، فلما لم يكن لهذين ثالثٌ ولا ثالثةٌ قيل فيهما: الآخر والآخرة، كما قيل: الدنيا والآخرة.
ইমাম রযীউদ্দীন আস্তারাবাযী (মৃত্যু : আনুমানিক ৬৮৬ হি.) বলেন-
وهي (جمادى) غير مصروفة للتأنيث والعلمية، والأُولى والآخرة صفة لها،فإن الآخرة بمعنى المتأخرة، ولا يقال: الأخرى؛ لأن الأخرى بمعنى الواحدة فتتناول المتقدمة والمتأخرة، فيحصل اللبس. (شرح شافية ابن الحاجب 4:280).
আরো দেখুন :
كتاب الأيام والليالي والشهور للإمام النحوي أبي زكريا الفراء (ت 207 هـ) ص 43.
وكتاب الألفاظ لابن السِّكِّيت (ت 244 هـ) ص : 291)
المخصَّص لابن سيدة (ت 458 هـ) 2:387
وتثقيف اللسان وتلقيح الجنان لأبي حفص عمر بن خلف الصقلي (ت 501 هـ) ص 221
والمصباح المنير للفيومي (ت نحو 770 هـ) ص 72.
বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য আপনাকে মোবারকবাদ। আল্লাহ তাআলা আপনার ইলম, আমল এবং যিন্দেগীতে বরকত দান করুন- আমীন।