মুহতারাম, আশা করি আল্লাহ আপনাকে সুস্থ রেখেছেন, আমি ইতিহাস সম্পর্কে কিছু জানতে চাই।
(ক) একজন আলিমের জন্য ইতিহাস জানা কতটুকু প্রয়োজন, জানতে হলে তা কোন্ ধরনের ইতিহাস হতে হবে।
(খ) ইতিহাসের কিতাবাদীতে অনেক এমন ঘটনার বর্ণনা পাওয়া যায় যা অসম্ভব কিংবা অবাস্তব মনে হয়। তাই এমন কিছু ইতিহাসের কিতাবের নাম জানতে চাই যেগুলোতে নির্ভরযোগ্য ইতিহাস পাওয়া যাবে এবং সেসব কিতাবের হাওয়ালা দিয়ে ঘটনা বলা বা লেখা যাবে।
(গ) ইতিহাসের কিতাবাদীতে যখন কোনো ঘটনা বর্ণনা করা হয়, দেখা যায়, অনেক ব্যক্তিদের নাম উল্লেখ করা হয় এবং বলা হয়- অমুকে এ কাজ করেছেন, অমুকে প্রধান ছিলেন, তাদের সংখ্যা এত ছিল ইত্যাদি। এবং সন, তারিখ ও বারের নামও উল্লেখ করা হয়। এখন জানার বিষয় হলো, ইতিহাস কখন থেকে লেখা শুরু হয়?
(ঘ) আর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আগমনের পর যেসব ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর সনদ তো সাহাবা-তাবেয়ীন পর্যন্ত পৌঁছে। আবার দেখা যায় পৃথিবীর শুরু থেকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানার মধ্যবর্তী সময়ের যেসব ইতিহাস লেখা হয় সেগুলোর সদনও সাহাবা-তাবেয়ীন পর্যন্ত পৌঁছে। প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাদের থেকে বর্ণনা করেছেন সেই সনদ কোথায়, সেই সনদ তো কোনো কিতাবেই পাওয়া যায় না, তাহলে ঐ সব ঘটনা বা ইতিহাস তাঁদের কাছে কীভাবে পৌঁছলো- আমরা এ সনদহীন বিষয় কীভাবে বর্ণনা করবো বা সঠিক মনে করবো?
(ক) তারীখ ও ইতিহাসশাস্ত্রের বিভাগ ও উপবিভাগ অনেক। ইসলামী ইতিহাস, বিশ্ব-ইতিহাস, দেশীয় ও আঞ্চলিক ইতিহাস,সভ্যতা ও সংস্কৃতির ইতিহাস, জ্ঞান ও শাস্ত্রের ইতিহাস, জীবন-চরিত ইত্যাদি। প্রয়োজন ও গুরুত্বের বিচারে এসবের মাঝে তারতম্য রয়েছে।
শুধু ইসলামী ইতিহাসেরও রয়েছে অনেক শাখা-প্রশাখা। যেমন, সীরাত, মাগাযী, সালাফ তথা সাহাবা, তাবেয়ীন, আইম্মায়ে দ্বীন প্রমুখের জীবনী, দ্বীনের দায়ী ও মুজাহিদদের জীবনী, খেলাফাত ও সালতানাতের ইতিহাস, আসমাউর রিজাল বা রিজালশাস্ত্রীয় ইতিহাস, কাসাসুল কুরআন, কাসাসুল আম্বিয়া, তারীখু আরাদিল কুরআন, তারীখু আরাদিল হাদীস, তারীখু আরাদিত তারীখিল ইসলামী। ইসলামী ইতিহাসশাস্ত্রের এসব শাখা-প্রশাখার প্রয়োজনীয়তা ও অপরিহার্যতা অনস্বীকার্য। এগুলোর প্রত্যেকটির নিজস্ব গুরুত্ব ও মর্যাদা রয়েছে।
দ্বীনী, ঈমানী, ফিকরী, আখলাকী এবং ইলমী বহুবিধ ফায়েদা ও প্রয়োজনীয়তা এগুলোর সাথে জড়িত। আর এ ছাড়া মানব জাতির দ্বীন ও দুনিয়ার বহুমুখী কল্যাণের উৎস হিসেবে পৃথিবীর সাধারণ ইতিহাস ও ভূগোলশাস্ত্রেরও স্বতন্ত্র স্থান ও মর্যাদা রয়েছে। উম্মতের স্মরণীয় বরণীয় আলিমগণ মানব জাতির উত্থান-পতন, সভ্যতার ক্রমবিকাশ, দেশ-শাসক ও জ্ঞান সেবক স্মরণীয় ব্যক্তিদের বিচিত্র জীবনকাহিনী এবং বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ-মহাদেশের বিবরণ সম্বলিত সাধারণ ইতিহাস ও ভূগোল চর্চায় মনোনিবেশ করে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছিলেন। হাফেয আব্দুর রহমান সাখাবী রাহ. (মৃত্যু: ৯০২হি.) الإعلان بالتوبيخ لمن ذم التاريخ গ্রন্থে ইতিহাসের বিভিন্ন কল্যাণ ও উপকারিতা এবং এ সম্পর্কে উলামায়ে উম্মতের বিভিন্ন মন্তব্য ও বক্তব্য এবং অবদান ও কীর্তি অত্যন্ত চমৎকারভাবে তুলে ধরেছেন। ইসলামে ইতিহাসের স্থান ও গুরুত্ব সম্পর্কে মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.-এর সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ আলোচনা, যা তিনি ‘মাকামে সাহাবা’ পুস্তিকার শুরুতে উল্লেখ করেছেন তাও পড়ে দেখার মত।
(খ) আপনি নির্ভরযোগ্য এমন কিছু ইতিহাসগ্রন্থের নাম জানতে চেয়েছেন, যাতে কোনো অবাস্তব কিছু থাকবে না। তো এখানে প্রথমে মনে রাখতে হবে, সাধরণভাবে ইতিহাসের উৎস গ্রন্থগুলোতে নির্বিচারে সহীহ-গায়রে সহীহ ও সবল-দুর্বল বর্ণনা সংকলিত হয়েছে। কারণ সাধারণভাবে ইতিহাস সংকলকদের উদ্দেশ্য থাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সব ধরনের বর্ণনারাজি একত্র করা। রেওয়ায়েত ও বর্ণনার যাচাই-বাছাই এবং সহীহ-যয়ীফের পার্থক্য নিরূপণের প্রতি তারা লক্ষ রাখেন না। অনেক ইতিহাস গ্রন্থের রচয়িতাগণ স্পষ্ট বলেছেন যে, “বিষয়বস্তুর সাথে সম্পর্কযুক্ত যত বর্ণনা ও তথ্য তাঁরা পেয়েছেন সবই সন্নিবেশিত করেছেন। বর্ণনার শুদ্ধাশুদ্ধি বিচারের কাজ তারা করেননি। এসব বর্ণনা দ্বারা যারা কোনো বিষয় প্রমাণ করতে চায় বর্ণনার শুদ্ধাশুদ্ধি যাচাই করে নেওয়া তাদের দায়িত্ব।”
তবে তারীখ ও রিজালশাস্ত্রের কোনো কোনো বরেণ্য ইমাম ইতিহাস সংকলণের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিত তথ্য-উপাত্ত সংকলন করেছেন। ফলে তাদের সংকলিত ইতিহাসগ্রন্থ অন্যান্য ইতিহাসগ্রন্থের তুলনায় অধিক নির্ভরযোগ্য। কিন্তু এটাও বাস্তব সত্য যে, ইতিহাসের সনদের ক্ষেত্রে তারা হাদীসশাস্ত্রের ন্যায় কঠিন বিচার বিশ্লেষণ প্রয়োগ করেননি। অধিকন্তু কোনো কিতাব নির্ভরযোগ্য হওয়ার অনিবার্য অর্থ এই নয় যে, এ কিতাবে উল্লেখিত প্রত্যেক কথাই সঠিক ও নির্ভরযোগ্য;বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর অর্থ এই যে, সার্বিক বিচারে কিতাবটি নিভর্রযোগ্য। এজন্য আকাঈদ ও আহকামের সঙ্গে নিকটবর্তী বা দূরবর্তী সম্পর্ক রয়েছে এমন কোনো বিষয় সেখানে আসলে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তাহকীক করা জরুরি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মাকামে সাহাবা, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.; হযরত মুয়াবিয়া আওর তারীখী হাকাইক,মাওলানা মুহাম্মাদ তাকী উসমানী এবং শহীদে কারবালা মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.-এর ভূমিকা ও পরিশিষ্ট অংশ অধ্যয়ন উপকারী হবে।
সমষ্টিগত বিবেচনায় নির্ভরযোগ্য প্রসিদ্ধ কয়েকটি ইতিহাসগ্রন্থের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হল।
১. আল-কামিল ফীত তারীখ, ইযযুদ্দীন ইবনুল আছীর (মৃত্যু : ৬৩০ হি.)
২. আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনু কাসীর ( মৃত্যু : ৭৪৪ হি.)
৩. তারীখুল ইসলাম, হাফেজ যাহাবী (মৃত্যু : ৭৪৮ হি.)
৪. দুয়ালুল ইসলাম, হাফেজ যাহাবী (মৃত্যু : ৭৪৮ হি.)
৫. ইমবায়ুল গুমর ফী আমবায়িল উমর, ইবনু হাজার আসকালানী (মৃত্যু : ৮৫২ হি.)
৬. শাযারাতুয যাহাবা, ইবনুল ইমাদ, আলহাম্বলী (মৃত্যু : ১০৮৯ হি.)
৭. ‘আখতাউন ইয়াজিবু আন তুসাহহাহা ফিত তারীখ’-এর সিরিজসমূহ, যা জামাল আব্দুল হাদী ও ওয়াফা মুহাম্মাদ রিফাআত জুমুআহ কর্তৃক রচিত।
৮. আলী মুহাম্মাদ সাল্লাবী রচিত ইতিহাসের কিতাবসমূহ
৯. তারীখে দাওয়াত ওয়া আযীমাত, মাওলানা আবুল হাসান আলী নদভী
(গ) ইতিহাস কখন থেকে লেখা শুরু হয়? আপনার এ প্রশ্নটি যদি ব্যাপক এবং সারা পৃথিবী সম্পর্কে হয় তবে তার সুনির্দিষ্ট ও সুনিশ্চিত জবাব দেয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। ইতিহাসের ঘটনাবলী সংগ্রহ ও সংরক্ষণের ধারা অতি প্রাচীন। দেশ-জাতি-অঞ্চল নির্বিশেষে পৃথিবীর সর্বত্র মানুষের অতীত ঘটনা ও কাহিনী তাদের মুখে মুখে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে চলে এসেছে। ক্ষেত্রবিশেষ লিপিবদ্ধ আকারেও সংরক্ষিত হয়েছে।
যুগে যুগে আল্লাহ তাআলা নবীদের উপর যেসব কিতাব নাযিল করেছেন তাতে উপদেশ ও শিক্ষাগ্রহণের উদ্দেশ্যে অতীতের বিভিন্ন ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। সর্বশেষ আসমানী কিতাব আল-কুরআনুল কারীমের অন্যতম আলোচ্য বিষয় কাসাসুল আম্বিয়া এবং অতীতের বিভিন্ন জাতির ঘটনাবলি। এছাড়া ইসলামী ইতিহাসের প্রধান ও মৌলিক অংশ সীরাতে নববী। সীরাতের সবচেয়ে বড় ও সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য উৎস হাদীস শরীফ। আর হাদীস শরীফ গ্রন্থাকারে সংকলন শুরু হয়েছে অনেক আগে। সাহাবা-তাবিয়ীনের যুগে সতন্ত্রভাবে সীরাত সংকলকদের মধ্যে বিশিষ্ট তাবিয়ী উরওয়া ইবনুয যুবাইর রা. (জন্ম : ২২ হি.-মৃত্যু : ৯৪ হি.) অন্যতম।
ইসলামপূর্ব যুগেও ইতিহাসের চর্চা ছিল। আরব ভূখণ্ডে আরবদের মাঝে আইয়ামুল আরব এবং ইলমুল আনসাবের চর্চা হত। প্রধানত আরবী পদ্য আকারে আবার কখনো গদ্য আকারে। এগুলোকে তারা প্রধানত সংরক্ষণ করত স্মৃতিতে এবং কখনো লিপিতে। এভাবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তাদের মাঝে এসবের চর্চা ছিল। সে সময় আরবে আহলে কিতাব- ইয়াহুদী খ্রীস্টানদেরও বসবাস ছিল। তাদের কাছেও ছিল ইতিহাসের লিখিত ও মৌখিক বিভিন্ন উপাদান। এ ছাড়া সে সময়ের রাজা-বাদশাহদের রাজনামা, রাজ ফরমান, রাজকীয় দলীল-দস্তাবেজ ছাড়াও তাদের রাজপ্রাসাদে এবং রাজগ্রন্থাগারে ইতিহাসের নানা উপাদান ছিল। এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানাবার জন্য ‘আলমুফাসসাল ফী তারীখিল আরব কবলাল ইসলাম, ড. জাওয়াদ আলী; ‘নাশআতু ইলমিত্ তারীখ ইনদাল আরব’, ড. আব্দুল আযীয আদদুরী; ‘আলমাদখাল ইলাত তারীখিল ইসলামী’, ড. মুহাম্মাদ ফাতহী উছমান দেখা যেতে পারে।
(ঘ) সাহাবা-তাবিয়ীগণ থেকে ইসলামপূর্ব যুগের যেসব ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে সেগুলো কয়েক ভাগে বিভক্ত।
১. যেসব রেওয়ায়েতের সনদ সাহাবী-তাবিয়ী পর্যন্ত সহীহ নয়, এ ধরনের রেওয়ায়েতগুলো যদি ভিন্ন সূত্রেও প্রমাণিত না হয়, বরং অসত্যতা প্রমাণিত হয় তবে তো তা পরিত্যাজ্য এবং বর্ণনাযোগ্য না হওয়া স্পষ্ট।
২. এ ধরনের অনেক রেওয়ায়েতের উৎস হল, ইসরাঈলী রেওয়ায়েত। ইসরাঈলী রেওয়ায়েত বলা হয় সেসব রেওয়ায়েতকে, যেগুলো ইহুদী বা নাসারা থেকে এসেছে। সেগুলো কিছু সরাসরি বাইবেল বা তালমুদ থেকে গৃহীত, কিছু এসবের ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে, আর কিছু আছে মৌখিক রেওয়ায়েত যা আহলে কিতাবের মাঝে আগে থেকেই বর্ণিত হয়ে আসছিল এবং আরবের ইহুদী-নাসারাদের মাঝে প্রচলিত ও প্রসিদ্ধ ছিল।
আর ইসরাঈলী রেওয়ায়েতের হুকুম হল, যেসব রেওয়ায়েতের অসারতা কুরআন-হাদীস বা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য দলীলের মাধ্যমে প্রমাণিত সেগুলো বিশ্বাস করা জায়েয নেই। আর যেসব ইসরাঈলী রেওয়ায়েত এমন, কুরআন হাদীসে সেসবের স্বপক্ষেও কোনো কিছু নেই আবার বিপক্ষেও কোনো কিছু নেই, এসব রেওয়ায়েতের ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করা জরুরি। এ ধরনের রেওয়ায়েত সম্পর্কে এই ঈমান রাখা জরুরি যে, এর প্রকৃত ইলম আল্লাহ তাআলাই জানেন। দৃঢ়তার সঙ্গে আমরা একে না সত্য বলব না মিথ্যা।
ঈসরাঈলী রেওয়ায়েত সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানার জন্য ড. মুহাম্মদ আবু শাহবাহকৃত আলইরাঈলিয়্যাত ওয়াল মাউযূআত ফী কুতুবিত তাফাসীর এবং মারকাযুদ দাওয়াহ থেকে প্রকাশিত ‘এসব হাদীস নয়’ প্রথম খ-/ প্রথম খণ্ডের ভূমিকা মুতালাআ করতে পারেন। সাহাবা-তাবিয়ীন থেকে বর্ণিত বিভিন্ন ঈসরাঈলী রেওয়ায়েত সম্পর্কে হাফেয ইবনু কাসীর রাহ. তাঁর তাফসীরগ্রন্থে এবং আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া গ্রন্থে আলোচনা করেছেন।
৩. আম্বিয়ায়ে কেরাম এবং পূর্ববর্তী কোনো কওম সম্পর্কে তাদের যেসব রেওয়ায়েতের উৎস হল মারফূ হাদীস। অর্থাৎ তারা তা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন। তবে কোন রেওয়ায়েতটির ভিত্তি মারফূ হাদীস তার স্বপক্ষে ভিন্ন কোনো সহীহ মারফূ রেওয়ায়েত বা অন্য কোনো গ্রহণযোগ্য দলীল থাকা আবশ্যক। আর এ বিষয়ে একমাত্র নাকিদ মুহাদ্দিসগণের সিদ্ধান্তই গ্রহণযোগ্য।
৪. যেসব রেওয়ায়েতের সম্পর্ক আরব জাহিলিয়্যাতের যামানা- আইয়ামূল আরব ও আনসাবুল আরবের সাথে, কিংবা ভিন্ন কোনো জাতি ও অঞ্চলের ঘটনা ও ইতিহাসের সাথে; এসব রেওয়ায়েতে বর্ণিত বিষয়াবলীর কোনো কোনোটা তারা নিজেরা প্রত্যক্ষ করেছেন বা প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে শুনেছেন। অনেক দূরবর্তী যামানার বিষয় হলে সেগুলোকে তারা তাদের মধ্যে প্রচলিত মৌখিক বর্ণনা পরম্পরা থেকে জেনেছেন বা ভিন্ন কোনো উৎস থেকে জেনেছেন। যা হোক এ সবই হল সাধারণ ইতিহাসের উপাদান। ইতিহাস বিচারের যে নীতিমালা সে আলোকে এসবের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে।
ইতিহাসের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছায়ের উসূল ও নীতিমালা, ঐতিহাসিকের মধ্যে কী কী গুণ ও বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরি এবং ইতিহাস লেখার আদব ও নিয়ম-কানুন- এগুলো স্বতন্ত্র ও দীর্ঘ আলোচনার বিষয়। এসব বিষয়ে অনেক কিতাব ও বই-পুস্তক রয়েছে।
কয়েকটির নাম এখানে উল্লেখ করা হল-
১. مقدمة ابن خلدون
২. الإعلان بالتوبيخ لمن ذم التاريخ
৩. مقدمة السيرة النبوية الصحيحة، للدكتور أكرم ضياء العمري
৪. مقدمة سيرة النبي، للعلامة شبلي النعماني والسيد سليمان الندوي
৫. المدخل إلى التاريخ الإسلامي، للدكتور محمد فتحي عثمان
৬. المسلمون وكتابة التاريخ، للدكتور عبد العليم عبد الرحمن خضر، المنشور من المعهد العالمي للفكر الإسلامي
৭. المفصل في تاريخ العرب قبل الإسلام، للدكتور جواد علي ১॥৩৭-১৪০
৮. مقام صحابہ، مفتي محمد شفيع رحمه الله
৯. حضرت معاويہ اور تاريخى حقائق، مفتي محمد تقي عثماني
১০. شهيد كربلاء، مفتى محمد شفيع (مقدمه اور خاتمه)
১১. مقدمات رسائل مولانا محمد عبد الرشيد النعمانى : يزيد كى شخصيت اهل سنت كے نظر مين، ناصبيت تحقيق كے بهيس مين، حضرت على اور قصاص عثمان، شهداء كربلاء پر افتراء