আশরাফুয যামান - লালবাগ, ঢাকা
৬৭০১. প্রশ্ন
আমার দাদির বয়স প্রায় ৯৫ বছর। শারীরিকভাবে তিনি অনেক দুর্বল হয়ে পড়েছেন। স্মৃতিশক্তিও দুর্বল হয়ে গেছে। ফলে নামাযে দাঁড়ালে ঠিকমতো সূরা-কেরাত পড়তে পারেন না। নামাযের আমলগুলো ধারাবাহিকভাবে আদায় করতে পারেন না। এজন্য নামাযের সময় হলে আমার বোন তাকে ওযু করিয়ে নামাযে দাঁড় করিয়ে দেয় এবং নামাযের আমলগুলো একের পর এক স্মরণ করিয়ে দেয়। তিনি এখন এভাবে নামায পড়েন।
জানার বিষয় হল, এভাবে পড়লে কি তার নামায আদায় হবে?
উত্তর
হাঁ, প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিতে আপনার দাদির নামায আদায় সহীহ হচ্ছে। কেননা অসুস্থতা বা বয়সের কারণে যার স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়ে গেছে, ফলে নামাযের ফরয ওয়াজিবগুলো ধারাবাহিকভাবে স্মরণ করে নিজে নিজে নামায আদায় করতে পারে না, তাকে পাশ থেকে কেউ যদি বলে বলে দেয় আর সে অনুযায়ী তার সাধ্যমতো যতটুকু সম্ভব নামায পড়ে নেয়, তবেও তার নামায আদায় হয়ে যাবে। পরবর্তীতে এর ফিদইয়া আদায় করতে হবে না।
বিশিষ্ট তাবেয়ী রুকাইন ইবনে রাবী রাহ. বলেন–
دَخَلْتُ عَلَى أَسْمَاءَ وَهِيَ تُصَلِّي وَهِيَ عَجُوزٌ، وَامْرَأَةٌ تَقُولُ لَهَا: ارْكَعِي وَاسْجُدِي.
একবার আমি আসমা রা.-এর কাছে গেলাম। তখন তিনি বয়োবৃদ্ধ হয়ে গেছেন। দেখলাম, তিনি নামায পড়ছেন আর একজন মহিলা তাকে বলে দিচ্ছেন, এখন রুকু করুন। এখন সিজদা করুন। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৪৯৭)
* >نفع المفتي والسائل< ص ১২৯ : في >القنية<: (شم) : أي شرف الأئمة المكي: مريض يشتبه عليه أعداد الركعات والسجدات لا يلزمه الأداء، ولو أداها بتلقين غيره، ينبغي أن يجزيه، ... قلت: وبهذا يخرج حكم جواز صلاة الشيخ الفاني الذي وصل إلى أرذل العمر ويشتبه عليه أعداد الركعات في الصلاة، فينبغي أن تجوز بتلقين غيره.
–আলবাহরুর রায়েক ২/১১৬; আননাহরুল ফায়েক ১/৩৩৪; আদ্দুররুল মুনতাকা ১/২২৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/১০০