শাওয়াল ১৪৪৬ || এপ্রিল ২০২৫

ইয়াহইয়া মাহমুদ - সাভার, ঢাকা

৬৬৯৬. প্রশ্ন

শীতের মৌসুমে কারো যদি ফজরের আগ দিয়ে গোসল ফরয হয় এবং অসুস্থতার কারণে ডাক্তার ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করতে নিষেধ করে এদিকে নামাযের সময়ও এত অল্প বাকি যে, গরম পানি করে গোসল করতে গেলে নামাযের সময় শেষ হয়ে যাবে এক্ষেত্রে তার করণীয় কী? তায়াম্মুম করে কি নামায পড়ে নেবে?

উত্তর

না, এক্ষেত্রে গরম পানির ব্যবস্থা করা গেলে নামায কাযা হওয়ার আশঙ্কায়ও তায়াম্মুম করা বৈধ হবে না; বরং গরম পানি দ্বারা গোসল করেই নামায পড়তে হবে কেননা সে পানি (গরম করে হলেও) ব্যবহারে সক্ষম আর পানি ব্যবহারে সক্ষম ব্যক্তির জন্য তায়াম্মুম বৈধ নয়

উল্লেখ্য, ফরয নামায যেন কিছুতেই কাযা না হয় এ ব্যাপারে সুস্থতা-অসুস্থতা সর্বক্ষেত্রেই সতর্কতা জরুরি অসুস্থতাবশত অবহেলার আদৌ সুযোগ নেই; বরং অসুস্থতার সময়ও নিজ অবহেলায় নামায কাযা করে ফেলা গুনাহ

* >بدائع الصنائع< /১৭১ : ولو أجنب في ليلة باردة يخاف على نفسه الهلاك لو اغتسل، ولم يقدر على تسخين الماء ولا على أجرة الحمام في المصر، أجزأه التيمم في قول أبي حنيفة. وقال أبو يوسف ومحمد: إن كان في المصر لا يجزئه. ... حتى لو قدر على الاغتسال بوجه من الوجوه لا يباح له التيمم.

কিতাবুল আছল ১/১০৫; আলমুহীতুল বুরহানী ১/৩৬০; আলজাওহারাতুন নাইয়িরা ১/৩১; আলবাহরুর রায়েক ১/১৪১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩১; আদ্দুররুল মুখতার ১/২৪৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন