সাহেব আলী - যশোর
৬৬৯০. প্রশ্ন
আমার বন্ধু রাশেদ টাইলসের দোকানে দীর্ঘদিন কর্মচারী হিসেবে কাজ করেছে। এখন আমরা দুইজন প্রত্যেকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট দশ লক্ষ টাকা দিয়ে টাইলসের দোকান দিতে চাচ্ছি। দুজনই সমানভাবে ব্যবসায় শ্রম দিব। রাশেদের যেহেতু এ ব্যবসায় পরিচিতি ও অভিজ্ঞতা বেশি, তাই সে লাভের ৬৫% নিতে চাচ্ছে, আর আমাকে দিবে ৩৫%।
প্রশ্ন হল, উভয়ের পুঁজি তো সমান। শ্রমও দুজনই দিব। সেক্ষেত্রে কেবল পরিচিতি ও অভিজ্ঞতা বেশি থাকার কারণে কি তার জন্য মূলধন থেকে বেশি হারে লভ্যাংশ নির্ধারণ করা শরীয়তসম্মত হবে?
উত্তর
হাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার বন্ধু রাশেদের জন্য মুনাফার অনুপাত বেশি ধার্য করা সহীহ হবে। কেননা যৌথ মূলধনী কারবারে শরীকদের সবাই শ্রম দিলেও এবং তাদের পুঁজি সমান হলেও মুনাফা সমান হওয়া আবশ্যক নয়; বরং অংশীদারগণ সমঝোতার মাধ্যমে তাতে তারতম্য করে চুক্তি করতে পারে।
তাই এক্ষেত্রে আপনাদের এভাবে মুনাফা বণ্টনের চুক্তি বৈধ হবে। তবে কোনো কারণে ব্যবসায় লোকসান হলে তা উভয়কে নিজেদের মূলধনের অনুপাতে বহন করতে হবে। এক্ষেত্রে পুঁজির অনুপাত থেকে কম-বেশি করে লোকসান বহন করার চুক্তি করলেও তা ধর্তব্য হবে না।
* >المبسوط< للسرخسي ১১/১৫৬ : إذا تساويا في رأس المال واشترطا أن يكون الربح بينهما ثلاثا، أو تفاوتا في رأس المال، فكان لأحدهما ألف وللآخر ألفان، واشترطا أن يكون الربح بينهما نصفين: يجوز عندنا.
–মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ২০৩৩৬; কিতাবুল আছল ৪/৬২; বাদায়েউস সানায়ে ৫/৮৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/২৪৪; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৭৪; মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া, মাদ্দাহ ১৩৪৫