উসামা - চট্টগ্রাম
৬৬৬১. প্রশ্ন
আমি একজন প্রবাসী। তিন মাস আগে প্রবাসে থাকাবস্থায় দেশের একটি মেয়ের সাথে আমার বিবাহ সম্পন্ন হয়। আমার পক্ষ থেকে আমার পিতা ওকীল হয়ে এ বিয়ের কার্য সম্পাদনা করেন। আমাদের দুজনেরই এটি প্রথম বিবাহ। বিয়ের মোহর হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা ধার্য হয়। এক লক্ষ টাকা নগদ দেওয়া হয়। অবশিষ্ট টাকা পরে দেওয়ার কথা হয়। বিয়ের পর মাসখানেক আমার স্ত্রীর সাথে শুধু ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। মাসখানেক পর সে হঠাৎ এক অসুস্থতায় মৃত্যুবরণ করে। এ ঘটনার দেড় মাস পর আমি দেশে ফিরি। কিছুদিন যাবৎ মেয়ের অভিভাবকরা আমার কাছে মেয়ের মোহরের অবশিষ্ট টাকা দাবি করছে।
মুহতারামের কাছে জানতে চাচ্ছি, তার সাথে যেহেতু আমার ঘর সংসারই হয়নি, তাই এ অবস্থায়ও কি মোহরের বাকি চার লাখ টাকা আদায় করা জরুরি? যদি জরুরি হয় তবে কাকে দিব?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিবাহের পর স্ত্রীর সাথে আপনার কোনো দেখা-সাক্ষাৎ না হলেও স্ত্রীর মৃত্যুর পর ধার্যকৃত পূর্ণ মোহর আদায় করা আপনার ওপর আবশ্যক হয়ে গেছে। কারণ বিবাহের পর স্বামী-স্ত্রী উভয়ের কোনো একজন মারা গেলে এর পূর্বে তাদের পরস্পর নির্জনবাস না হলেও এক্ষেত্রে ধার্যকৃত পূর্ণ মোহরই স্বামীর ওপর ওয়াজিব হয়ে যায়। অবশ্য অনাদায়ী মোহরের টাকা যেহেতু এখন আপনার স্ত্রীর মীরাছ সম্পত্তি হয়ে গেছে, আর মীরাছ অনুযায়ী স্বামী হিসেবে আপনি তার অর্ধেক সম্পদের হকদার, তাই এক্ষেত্রে মোহরের বাকি চার লাখ টাকা পুরোটাই আপনাকে আদায় করতে হবে না; বরং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে এর অর্ধেক অর্থাৎ দুই লাখ টাকা রেখে দিয়ে তার ওয়ারিশদেরকে শুধু বাকি দুই লাখ টাকা দিলেই হবে।
* >المحيط البرهاني< ৪/১৫৪ : وكما يتأكد جميع المهر بالدخول، وبالخلوة الصحيحة، يتأكد بموت أحدهما.
* >شرح الجامع الصغير< لقاضي خان ২/৫২০ : فإن علم أنها ماتت أولا فنصيب الزوج من ذلك يسقط؛ لأنه ورث دينا على نفسه، فيسقط بقدر ما ملك.
–বাদায়েউস সানায়ে ২/৫৮৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/৫৩৮; ফাতহুল কাদীর ৩/২৫৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৩০৬