রজব ১৪৪৬ || জানুয়ারি ২০২৫

রায়হান রাফী - মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা

৬৬৪০. প্রশ্ন

নামাযের মধ্যে প্রায় সময়ই আমার হাই আসে। এক্ষেত্রে আমার কী করা উচিতজানালে কৃতজ্ঞ হব ।

উত্তর

হাই নামাযের ভেতর আসুক বা বাইরে, সর্বাবস্থায় প্রথমেই তা রোধ করার চেষ্টা করবে।

হাদীস শরীফে এসেছে, আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

وَأَمَّا التَّثَاؤُبُ: فَإِنَّمَا هُوَ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَإِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فَلْيَرُدَّهُ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنَّ أَحَدَكُمْ إِذَا تَثَاءَبَ ضَحِكَ مِنْهُ الشَّيْطَانُ.

অর্থাৎ, হাই শয়তানের তরফ থেকে হয়। সুতরাং তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন যথাসাধ্য তা রোধ করে। কেননা কেউ হাই তুললে শয়তান তাকে নিয়ে হাসে। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২২৬)

অন্য এক হাদীসে বিশেষভাবে নামাযের ক্ষেত্রেও এ হুকুম এসেছে। আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন

إِذَا تَثَاءَبَ أَحَدُكُمْ فِي الصَّلَاةِ، فَلْيَكْظِمْ مَا اسْتَطَاعَ، فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَدْخُلُ.

অর্থাৎ, নামাযের মধ্যে তোমাদের কারো হাই আসলে সে যেন যথাসম্ভব তা রোধ করে। কেননা, শয়তান এ সময় (মুখ দিয়ে) প্রবেশ করে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৯৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ১১২৬২)

অতএব নামাযে হাই আসলে তা রোধ করার চেষ্টা করা আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং হাই আসলে প্রথমেই যদি ঠোঁট চেপে তা পুরোপুরি রোধ করা সম্ভব হয়, তবে সেটিই করবে। আর এভাবে (নামাযের ভেতর বা এর বাইরে) হাই রোধ করা সম্ভব হোক বা না হোক, সর্বাবস্থায় হাই যদি এসেই যায়, তাহলে তখন এক হাত দ্বারা মুখ ঢেকে নেবে।

বাদায়েউস সানায়ে ১/৫০৬; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৪১১; হালবাতুল মুজাল্লী ২/২৩১; মারাকিল ফালাহ, পৃ. ১৯৪; আদ্দুররুল মুখতার ১/৬৪৫; ফাতহুল বারী ১০/৬৭২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন