আবূ হানীফা - নিরালা, খুলনা
৬৬৩১. প্রশ্ন
বাজারে যে সাধারণ পদ্ধতিতে মুরগি ড্রেসিং করা হয়, তখন মুরগিকে রক্তমিশ্রিত ফুটন্ত পানিতে ডুবিয়ে তারপর মেশিনে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, উক্ত লাল পানি মুরগির চামড়ার ভেতর ঢুকে।
প্রশ্ন হল, এর কারণে ঐ মুরগি খাওয়া কি জায়েয হবে? এবং উক্ত পানি কি নাপাক পানির হুকুমে হবে? দলীল প্রমাণসহ জানালে বাধিত হব।
উত্তর
বাজারে ড্রেসিংয়ের জন্য মুরগিকে যে পানিতে ভেজানো হয় তা সাধারণত প্রবাহিত রক্ত মিশ্রিত হওয়ার কারণে নাপাক থাকে। তাই বাড়িতে এনে ঐ মুরগির চামড়া ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
তবে রক্তমিশ্রিত গরম পানিতে যেহেতু সামান্য সময়ই মুরগি রাখা হয়, তাই ঐ নাপাক পানির কারণে মুরগিটির গোশত হারাম হয়ে যায় না। শরীয়তসম্মতভাবে জবাই হয়ে থাকলে এ ধরনের মুরগির গোশত খাওয়া নিঃসন্দেহে হালাল।
উল্লেখ্য, যদি কারো দ্বারা নিজ বাড়িতে এনে মুরগি জবাই, ড্রেসিং ইত্যাদি করা সম্ভব হয়, তবে তা করাই উত্তম হবে।
* >فتح القدير< ১/১৮৬ : ولو ألقيت دجاجة حالة الغليان في الماء قبل أن يشق بطنها لتنتف أو كرش قبل الغسل لا يطهر أبدا، لكن على قول أبي يوسف يجب أن تطهر على قانون ما تقدم في اللحم.
قلت: ـ وهو سبحانه أعلم ـ هو معلل بتشربهما النجاسة المتحللة في اللحم بواسطة الغليان، وعلى هذا اشتهر أن اللحم السميط بمصر نجس لا يطهر، لكن العلة المذكورة لا تثبت حتى يصل الماء إلى حد الغليان، ويمكث فيه اللحم بعد ذلك زمانا يقع في مثله للتشرب والدخول في باطن اللحم، وكل من الأمرين غير متحقق في السميط الواقع؛ حيث لا يصل الماء إلى حد الغليان، ولا يترك فيه إلا مقدار ما تصل الحرارة إلى سطح الجلد، فتنحل مسام السطح عن الصوف، بل ذلك الترك يمنع من جودة انقلاع الشعر، فالأولى في السميط أن يطهر بالغسل ثلاثا لتنجس سطح الجلد بذلك الماء، فإنهم لا يحترسون فيه عن المنجس.
—আলবাহরুর রায়েক ১/২৩৯; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাল মারাকী, পৃ. ৮৬, রদ্দুল মুহতার ১/২১১, ৩৩৪