জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৬ || ডিসেম্বর ২০২৪

আলীমুর রহমান - যশোর

৬৬৩০. প্রশ্ন

গোশতের দোকানে গরু-ছাগলের পায়ার অনেক চাহিদা থাকে। সবসময় এগুলো পাওয়া যায় না। দোকানে গেলে অনেক সময় দোকানদার পাশে বাঁধা গরু বা ছাগল দেখিয়ে বলে, আপনি চাইলে এইটার পায়া নিতে পারেন। দাম এত টাকা। তখন আমি টাকা দিয়ে আসি। জবাইয়ের পর প্রস্তুত করে সে আমাকে সেগুলো দেয়।

জানার বিষয় হল, এভাবে আমার জন্য পশুর পায়া কেনা কি বৈধ হবে? আমরা তো জানি, পশু জবাইয়ের আগে এর গোশত, চামড়া ইত্যাদির ক্রয়-বিক্রয় নাজায়েয। কিন্তু এক্ষেত্রে তো পশু জবাইয়ের আগেই এর পায়া কেনার জন্য আমি তাকে টাকা দিয়ে দিয়েছি। এতে কি কোনো সমস্যা আছে?

 

উত্তর

গোশত বিক্রেতার সাথে জবাইয়ের আগে পশুর পায়ার দরদাম করা এবং জবাইয়ের পর ওগুলো আপনার কাছে ঐ দামে বিক্রি করবে এটা নিশ্চিত করে অগ্রীম টাকা প্রদান করা জায়েয আছে। এটি ক্রয়-বিক্রয়ের কথাবার্তা বা ওয়াদা হিসাবে ধর্তব্য; চূড়ান্ত ক্রয়-বিক্রয় নয়।

এক্ষেত্রে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হবে জবাইয়ের পর পায়াগুলো আপনাকে হস্তান্তরের মাধ্যমে। তাই প্রশ্নোক্ত পদ্ধতিটি পশু জবাইয়ের আগে এর গোশত ইত্যাদি বিক্রির অন্তর্ভুক্ত নয়।

* >الفتاوى الولوالجية< ৩/১৪৯: دفع دراهم إلى خباز فقال: اشتريت منك مائة مَنّ من خبز، وجعل يأخذ كل يوم خمسة أمنان، فالبيع فاسد، وما أكل فهو مكروه؛ لأنه اشترى خبزا غير مشار إليه، فكان المبيع مجهولا. ولو أعطاه الدراهم، وجعل يأخذ منه كل يوم خمسة أمنان، ولم يقل في الابتداء : اشتريت منك، يجوز، وهذا حلال، وإن كان نيته وقت الدفع الشراء؛ لأنه بمجرد النية لا ينعقد البيع، وإنما ينعقد البيع الآن بالتعاطي، والآن المبيع معلوم، فينعقد البيع صحيحا.

ফাতাওয়া খানিয়া ২/১১৬; আলবাহরুর রায়েক ৫/২৭৪; রদ্দুল মুহতার ৪/৫১৬; শরহুল মাজাল্লাহ, আতাসী ২/৪০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন