শহীদুল ইসলাম - বরিশাল
৬৬২১. প্রশ্ন
মুহতারাম, আমি একটি মসজিদে ইমামতি করি। সাধারণত আমি ছুটিতে গেলে কিংবা অনুপস্থিত থাকলে গ্রামের একটি ছেলেকে নামাযের দায়িত্ব দিয়ে যাই। সে কোনো বিনিময় ছাড়াই আগ্রহের সাথে নামায পড়ায়। তার সাথে কখনো কোনো বিনিময়ের কথা হয়নি। তবে ছেলেটি দরিদ্র হওয়ায় আমি সময়ে সময়ে তাকে বিভিন্ন কিছু হাদিয়া হিসেবে কিংবা যাকাতের নিয়তে দিয়ে থাকি। জানার বিষয় হল, আমি কি তাকে যাকাত দিতে পারব? এর দ্বারা যাকাত আদায় হবে কি?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বিষয়টি যদি এমন হয় যে, আপনি তাকে হাদিয়া না দিলেও সে আপনার জায়গায় নামায পড়াচ্ছে এবং এতে তার কোনো দাবি বা আপত্তি থাকে না, তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি তাকে যাকাতের টাকাও দিতে পারবেন। এর দ্বারা আপনার যাকাত আদায় হয়ে যাবে।
তবে এক্ষেত্রে সে যেন কখনো এটাকে নামায পড়ানোর হাদিয়া হিসেবে মনে না করে— এজন্য তাকে স্পষ্টই বলে দেওয়া উচিত যে, এটি নামায পড়ানোর হাদিয়া হিসেবে নয়; বরং এমনিতেই তাকে সহায়তা করা হচ্ছে। যাতে করে সে একে বিনিময় ভেবে ইমামতির দায়িত্ব পালন না করে। কেননা কাউকে বিনিময় হিসেবে যাকাতের টাকা দিলে তা দ্বারা যাকাত আদায় হয় না। তাই আপনি যদি আপনার স্থলে নামায পড়ানোর জন্য তাকে আলাদা কিছু হাদিয়া দিয়ে দেন, তাহলে সেটিই হবে নিরাপদ। সেক্ষেত্রে তাকে যাকাতের অর্থ দেওয়ার সময় বলে দিলেই হবে যে, এটি নামায পড়ানোর জন্য নয়। ইমামতির জন্য পৃথকভাবে যা দেওয়া হয়েছে, এটি তার থেকে আলাদা।
* >جواهر الفتاوى< للكرماني، ص ১৪১ : معلم له خليفة في المكتب، ولم يستأجره بشيء، ولم يشترط له شيئا، وهو يعلم الصبيان ويكتب أحوالهم، فإنه يجوز للمعلم دفع الزكاة إليه، إلا أن يكون بحيث لو لم يعطه لم يعمل له في مكتبه ذلك؛ لأنه حينئذ يكون في مقابلة العمل، فلا يقع عن الزكاة.
—খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৪৩; আলজাওহারাতুন নাইয়িরা ১/১৬৯; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ৩/৪৬৩; আদ্দুররুল মুখতার ২/৩৫৬; হাশিয়াতুত তাহতাবী আলাদ্দুর ১/৪৩২