জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৬ || ডিসেম্বর ২০২৪

ইমরান জামিল - মুহাম্মদপুর, ঢাকা

৬৬১৮. প্রশ্ন

গতকাল আমি মসজিদে এশার নামায পড়ে বাসায় এসে বিতির আদায় করি। পরদিন ফজর নামায পড়তে মসজিদে যাওয়ার পর জানতে পারি যে, ইমাম সাহেব এশার নামায ভুলে ওযুহীন অবস্থায় পড়িয়েছিলেন। স্মরণ হওয়ার পর আবার সবাইকে নিয়ে নামায কাযা করে নিয়েছেন। একথা শুনে আমি আমার এশার নামায কাযা করে নিই। তবে বিতির যেহেতু ওযু অবস্থায়ই পড়েছি, তাই তা কাযা করিনি। জানার বিষয় হল, আমার এ কাজ কি সঠিক হয়েছে? এক্ষেত্রে আমার জন্য কি এশার নামাযের সাথে বিতিরও কাযা করা জরুরি?

উত্তর

না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনাকে বিতির নামায কাযা করতে হবে না। কেননা, এশার নামাযের পর বিতির আদায়ের পরে যদি এশার নামায ফাসেদ বলে সাব্যস্ত হয় আর বিতির নামায সহীহভাবে আদায় করা হয়ে থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে এশার নামাযের সাথে বিতিরও পুনরায় পড়া জরুরি নয়; বরং ঐ বিতির নামায সহীহ হিসেবেই বহাল থাকবে। ওয়াক্তের ভেতরই এশার নামাযটি আদায় করে নিলে এর সাথে শুধু এশার নামায পরবর্তী সুন্নত পুনরায় আদায় করতে হবে।

* كتاب >الأصل< ১/১২৫ : قلت: أرأيت رجلاً صلى العشاء وهو على غير وضوء فنام، ثم استيقظ سَحَراً فأوتر وهو لا يعلم أنه حيث صلى العشاء كان على غير وضوء، فقام وأوتر، فلما فرغ من الوتر وسلم ذكر أنه صلى العشاء وهو على غير وضوء، فقام وصلى العشاء، أيجزيه وتره ذلك أم يعيد؟ قال: يجزيه، ولا يعيد في قول أبي حنيفة.

মিরাজুদ দেরায়া ১/৪৯০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ২/৪৫০; ইমদাদুল ফাত্তাহ, পৃ. ১৮১; রদ্দুল মুহতার ১/৩৬১

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন