জামিল মাহমুদ - হাটহাজারী, চট্টগ্রাম
৬৬১৬. প্রশ্ন
আমি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসার কাজে আমাকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সফর করতে হয়। চার রাকাত বিশিষ্ট ফরয নামাযে তো আমি কসর করে থাকি। এখন জানার বিষয় হল, ফরয নামাযের আগ-পরের সুন্নতের ক্ষেত্রে আমার কী করণীয়? এগুলো না পড়লে কি কোনো সমস্যা হবে?
উত্তর
সাধারণ অবস্থার তুলনায় সফর অবস্থায় সুন্নতের হুকুম কিছুটা শিথিল হয়ে যায়। তাই সফর চলা অবস্থায় এবং তাড়াহুড়া, ব্যস্ততা ও ক্লান্তির সময় সুন্নত না পড়ার সুযোগ আছে। বিশেষ করে সহযাত্রীদের অপেক্ষমাণ অবস্থায় সুন্নত না পড়াই উত্তম। তবে মুসাফির যখন কোনো জায়গায় অবস্থান করে এবং স্থীর অবস্থায় থাকে; তার মধ্যে অসুস্থতা বা ক্লান্তি ইত্যাদির ওযর না থাকে, তখন যথাসম্ভব সুন্নতে মুআক্কাদা পড়ে নেওয়াই উত্তম।
তবে ফজরের সুন্নতের হুকুম এর থেকে ভিন্ন। বিশেষ কোনো সমস্যার আশঙ্কা না থাকলে যথাসম্ভব সর্বাবস্থায় তা আদায় করা উচিত। হাদীস শরীফে এসেছে, আয়েশা রা. বলেন—
أَمَّا مَا لَمْ يَدَعْ صَحِيحًا، وَلاَ مَرِيضًا فِي سَفَرٍ، وَلاَ حَضَرٍ غَائِبًا، وَلاَ شَاهِدًا، تَعْنِي النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَرَكْعَتَانِ قَبْلَ الْفَجْرِ.
অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুস্থ, অসুস্থ এবং আবাসে ও সফরে কখনো ফজরের আগের দুই রাকাত সুন্নত ছাড়তেন না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৩৯৫০)
* >المحيط البرهاني< ২/৩৮৪ : وتكلموا فى الأفضل في السنن، فقيل: هو الترك ترخصا، وقيل: هو الفعل تقربا. وكان الشيخ الإمام الفقيه أبو جعفر رحمه الله تعالى يقول: بالفعل في حالة النزول، والترك فى حالة السير.
* >التجنيس والمزيد< ২/১৭০ : والمختار أنه إن كان حال أمن وقرار يأتي بها.
—আলমাবসূত, সারাখসী ১/২৪৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২০৪; শরহুল মুনইয়া, পৃ. ৫৪৫; আলবাহরুর রায়েক ২/১৩০; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৩১