আনাস আবদুল্লাহ - রেইসকোর্স, কুমিল্লা
৬৫৯৫. প্রশ্ন
কয়েকদিন আগে এক মসজিদে মাগরিবের নামায পড়ি। মাগরিবের দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম সাহেবের সূরা নির্ধারণে দেরি হয়ে যায়। তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় তিনি চুপ ছিলেন। এভাবে যথারীতি তিনি নামায পড়িয়ে ফেলেন। নামায শেষ হওয়া মাত্র একজন দাঁড়িয়ে বলেন, সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়েছিল। যেহেতু সাহু সিজদা করেননি, তাই নামায দোহরাতে হবে। জানার বিষয় হল, ওই ব্যক্তির কথা কি ঠিক?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমাম যদি সূরা ফাতেহার পর আমীন এবং কেরাতের শুরুতে بسم الله الرحمن الرحيم বলে থাকেন, আর এগুলো পড়ার সময় বাদ দিয়ে মধ্যবর্তী সময়ে তিন তাসবীহ (তিনবার سبحان ربي العظيم বা سبحان ربي الأعلى) বলা পরিমাণ বা এর চেয়ে বেশি সময় চুপ থাকেন, তাহলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।
কিন্তু যদি আমীন ও বিসমিল্লাহ পড়ার সময়সহ তিন তাসবীহ পরিমাণ সময় ইমামের শব্দ শোনা না যায়, সেক্ষেত্রে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না। কেননা, মুক্তাদির নিকট এক্ষেত্রে তিন তাসবীহ পরিমাণ চুপ থাকা মনে হলেও বাস্তবে তা তিন তাসবীহের চেয়ে কম।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ইমামের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত না করে এমন ঘোষণা দেওয়া ঠিক হয়নি। এ ধরনের অনুচিত কাজ অনেক সময় ফেতনা সৃষ্টির কারণ হয় এবং মুসল্লি-সাধারণের মাঝে এর দ্বারা ইমামের প্রতি অনাস্থা সৃষ্টি হয়। যা মোটেও কাম্য নয়।
* >حاشية الطحطاوي على مراقي الفلاح< ص ২৫৮ : قوله: (وجب عليه سجود السهو) إذا شغله التفكر عن أداء واجب بقدر ركن ... وهو مقدر بثلاث تسبيحات، ثم إن محل وجوب سجود السهو إذا لم يشتغل حالة الشك بقراءة ولا تسبيح، أما إذا اشتغل بهما فلا سهو عليه.
–কিতাবুল আছল ১/১৯৮; আলআজনাস, নাতিফী ১/১১৪; ফাতহুল কাদীর ১/৪৩৮; মারাকীল ফালাহ. পৃ. ২৫৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩