জুমাদাল উলা ১৪৪৬ || নভেম্বর ২০২৪

রবিউল ইসলাম - হাজারীবাগ, ঢাকা

৬৫৯০. প্রশ্ন

কিছুদিন আগে আমি ফ্রিজ থেকে গরুর গোশত নামিয়ে বালতিতে ভিজিয়ে রাখি। গোশতের রক্ত দ্বারা বালতির পানি লাল হয়ে যায়। গোশত ধোয়ার সময় এ পানি আমার জামায় লাগে। এ জামা পরেই আমি ঐ দিনের মাগরিবের নামায আদায় করি।

মুহতারামের নিকট জানার বিষয় হল, এ পানি লাগার কারণে কি আমার জামা নাপাক হয়ে গিয়েছিল? এ জামা পরে আমি যে নামায পড়েছি তা কি আদায় হয়েছে?

উত্তর

না, গোশতের রক্তমিশ্রিত ঐ পানি লাগার কারণে আপনার জামা নাপাক হয়নি। সে জামাটি পরে আপনি যে নামায পড়েছেন তা আদায় হয়ে গেছে।

প্রকাশ থাকে যে, রক্ত দুই প্রকারের :

১. প্রবাহিত রক্ত, যা পশুপাখি জবাইয়ের সময় নির্গত হয় কিংবা মানুষ বা জীবিত পশুপাখির শরীরের কোনো অংশ কেটে যাওয়ার কারণে বের হয় এবং তা গড়িয়ে পড়া পরিমাণ হয়। এ প্রকারের রক্ত হারাম ও নাপাক।

২. মানুষ বা পশুপাখির শরীর থেকে নির্গত সামান্য রক্ত, যা গড়িয়ে পড়া পরিমাণ নয় এবং পশুপাখি জবাইয়ের পর এর গোশত ও শিরায় বিদ্যমান রক্ত। এগুলো প্রবাহিত রক্ত নয়। তাই তা হারাম ও নাপাক নয়। আর মাছের রক্ত প্রবাহিত হলেও তা হারাম ও নাপাক নয়। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে রক্তটি দ্বিতীয় প্রকারের অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য, নামাযে পবিত্রতার সঙ্গে পরিচ্ছন্নতাও কাম্য। অতএব প্রশ্নোক্ত পানি নাপাক না হলেও তা যেহেতু ময়লা পানি, তাই যথাসম্ভব তা ধুয়ে পরিষ্কার করে নামায পড়াই ভালো ছিল।

* >شرح مختصر الكرخي< للقدوري ১/১৮০-১৮১: فأما دم السمك فطاهر في قول أبي حنيفة ومحمد، ... وقالوا فيما يبقى في العروق واللحم من الدم إنه طاهر، وإن أصاب الثوب منه أكثر من قدر الدرهم جازت الصلاة معه، لأنه ليس بدم مسفوح، كدم البق، ولأنه أبيح أكله به.

তাফসীরে তাবারী ৫/৩৭৯; আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়িখ, পৃ. ৩১; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৪৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/৪৬; আলবাহরুর রায়েক ১/২২৯; রদ্দুল মুহতার ১/৩১৯

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন