রবিউল আখির ১৪৪৬ || অক্টোবর ২০২৪

আবদুল্লাহ - ঢাকা

৬৫৮০. প্রশ্ন

আমি কয়েকটি ফ্যামিলি ফ্ল্যাটের মালিক। ভাড়াটেদেরকে ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার সময় দুই মাসের ভাড়ার সমপরিমাণ টাকা জামানত হিসাবে আমার কাছে রাখা হয়। ভাড়াটে যদি প্রতি মাসের ভাড়া ও বিল যথারীতি আদায় করে, তাহলে বাড়ি ছাড়ার সময় ঐ জামানতের টাকা ভাড়াটেকে পুরোপুরি ফেরত দেওয়া হয় এবং আমার কোনো পাওনা থাকলে সে টাকা থেকে সমন্বয় করা হয়। এই ভাড়াচুক্তি এক বছরের জন্য করা হয়। প্রয়োজনে আবার নবায়ন করা হয়। সকল ভাড়াটেদের জামানতের টাকার মোট পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা। এই টাকা আমি আমার নিজস্ব টাকার সাথে সুদমুক্ত একাউন্টে জমা রাখি। ভাড়াটে বাড়ি ছাড়ার সময় ঐ জামানতের টাকা তাকে পরিশোধ করে দিতে হবে। এই হিসাবে আমি ঐ টাকা বাদ দিয়ে বাকি টাকার যাকাত দীর্ঘদিন যাবৎ পরিশোধ করে আসছি।

 

কিছুদিন পূর্বে একজন আমাকে বললেন যে, আপনি যেহেতু ঐ জামানতের টাকা থেকে নিজ প্রয়োজনে খরচ করার অধিকার রাখেন, কাজেই আপনি ঐ টাকার মালিক গণ্য হবেন এবং ঐ টাকার যাকাত আপনাকেই আদায় করতে হবে। কারণ কোনো টাকা যাকাত বহির্ভূত হতে পারে না।

উল্লেখ্য, দশ বছর পূর্বে এই জামানতের টাকা প্রায় অর্ধেক ছিল। কাজেই ঐ জামানতের টাকার যাকাত আদায় করার দায়িত্ব আমার ওপর আসবে, নাকি ভাড়াটের ওপর আসবে? আমাকে আদায় করতে হলে কত বছরের জন্য করতে হবে?

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী ভাড়াটিয়াদের থেকে গৃহীত ঐ টাকাগুলো যেহেতু আপনি তাদের থেকে জামানত (সিকিউরিটি মানি) হিসেবে নিয়েছেন এবং জামানতের টাকা হিসেবে সেগুলো সংরক্ষণ করে রেখে দিয়েছেন, আপনি তা খরচও করেননি, তাই আপনি ঐ টাকার মালিক হননি; বরং এর মালিক টাকাদাতা ভাড়াটিয়াগণ। আপনার কাছে টাকাগুলো আমানতস্বরূপ আছে। তা আপনার নিজে ভোগ করা বা নিজ প্রয়োজনে খরচ করাও বৈধ নয়। অতএব ঐ টাকার যাকাত আপনার ওপর আসবে না; বরং টাকাগুলোর যাকাত এর মালিকগণ প্রত্যেকে আলাদা আলাদাভাবে (যদি তা এককভাবে বা তার অন্য যাকাতযোগ্য সম্পদের সাথে মিলে নেসাব পরিমাণ হয়) প্রদান করবেন।

Ñকিতাবুল আছল ৩/১৭৫; আলমাবসূত, সারাখসী ২১/১২২, ১৫/১১৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৪৩৫

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন