সফর ১৪৪৬ || আগস্ট ২০২৪

মাসুম বিল্লাহ - যশোর

৬৫৩৮. প্রশ্ন

আমার চাচা একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক। গত বছর ঈদুল আযহার এক সপ্তাহ আগে তিনি কুরবানীর একটি পশু ক্রয় করেন। কিন্তু ঈদের আগের দিন কোম্পানির পক্ষ থেকে ক্যাম্পেইনের উদ্দেশ্যে তাকে ছয় দিনের সফরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তার অনুপস্থিতিতে পশুটি কুরবানী করার মতো বাড়িতে কেউ ছিল না। কুরবানীর পাঁচ দিন পর তিনি সফর থেকে ফিরে আসেন। তখন তিনি এক হুজুর থেকে জানতে পারেন যে, তিনি যেহেতু কুরবানীর সময় মুসাফির ছিলেন, তাই তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল না। ফলে তিনি পশুটি বিক্রি করে দেন। জানতে চাই, এক্ষেত্রে কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সদকা না করে বিক্রি করে দেওয়া কি বৈধ হয়েছে?

উত্তর

হাঁ, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার চাচা যেহেতু কুরবানীর দিনগুলোতে মুসাফির ছিলেন, তাই তার জন্য কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশুটি বিক্রি করে দেওয়া নাজায়েয হয়নি। কেননা কুরবানীর দিনগুলোতে কিংবা অন্তত এর শেষ সময়ে কেউ মুসাফির অবস্থায় থাকলে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব থাকে না। তবে মনে রাখতে হবে, কারো ওপর কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার পরও কুরবানী না করার জন্য যদি এ মাসআলাকে বাহানা হিসেবে অবলম্বন করে, তবে তা খুবই অন্যায় ও গুনাহের কাজ হবে।

-আলআজনাস, নাতিফী ১/৫০৮; বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৭; রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন