মুহাররম ১৪৪৬ || জুলাই ২০২৪

নাবিলা - ফুলগাজী, ফেনী

৬৫০৯. প্রশ্ন

গত কুরবানীর ঈদের পরের দিন আমার বিবাহ হয়। বিয়ের আগে আমার মালিকানাধীন কোনো সম্পদ ছিল না। বিবাহের সময় উপহার ও মোহর বাবত তিন ভরি স্বর্ণ ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা আমার মালিকানায় আসে। কয়েকদিন আগে আমার শ্বশুরবাড়ির এক মহিলা আমাকে বললেন, তুমি যেহেতু কুরবানীর সময়ের ভেতরেই নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছ, তাই এই বছর তোমার ওপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল। জানতে চাই, ঐ মহিলার কথাটি কি ঠিক? বাস্তবেই কি এ বছর আমার ওপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল?

উত্তর

হাঁ, উক্ত মহিলা ঠিকই বলেছেন। কুরবানীর নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অর্থাৎ দশ যিলহজ্ব ফজর থেকে বার যিলহজ্ব সূর্যাস্তের ভেতর নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেলেই কুরবানী ওয়াজিব হয়ে যায়। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনি যেহেতু কুরবানীর সময়ের মধ্যেই নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়ে গেছেন, তাই এ বছর আপনার ওপর কুরবানী ওয়াজিব ছিল। কিন্তু আপনি যেহেতু কুরবানী করেননি, তাই এখন আপনার করণীয় হল, কুরবানীর উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করে দেওয়া।

বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২০৩; আলমুহীতুর রাযাবী ৬/৫৫; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩০৯; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২১

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন