মুহাররম ১৪৪৬ || জুলাই ২০২৪

মুহাম্মাদ বেলাল হোসেন - মুরাদনগর, কুমিল্লা

৬৫০৮. প্রশ্ন

আমি আলহামদু লিল্লাহ প্রতি বছর একটি গরু কুরবানী করি। তার গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগের কিছু অংশ এলাকার গরিব-মিসকীনকে দেই আর কিছু অংশ আমার গরিব আত্মীয়-স্বজনদেরকে দেই। এখন জানার বিষয় হল, কুরবানীর পশুর গোশত কি সমান তিন ভাগে ভাগ করা আবশ্যক, নাকি কেউ চাইলে পুরো গোশত নিজেই রেখে দিতে পারবে? আর আমি কি আমার গরিব আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় বেড়াতে গেলে আমার দেওয়া উক্ত গোশত খেতে পারব?

উত্তর

কুরবানীর পশুর গোশত তিন ভাগ করে এক ভাগ নিজের ও নিজ পরিবার-পরিজনের জন্য রাখা, আরেকভাগ আত্মীয়-স্বজনদেরকে দেওয়া এবং আরেকভাগ গরিব-মিসকীনদেরকে দেওয়া মুস্তাহাব।

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কুরবানীর গোশতের তিন ভাগের এক ভাগ পরিবার-পরিজনকে দিতেন। আরেকভাগ গরিব আত্মীয়-স্বজনদেরকে দিতেন। আরেকভাগ দানপ্রার্থীদেরকে দান করে দিতেন। (আলমুগনী, ইবনে কুদামা ১৩/৩৭৯)

কুরবানীর গোশত এভাবে তিন ভাগে ভাগ করা মুস্তাহাব; জরুরি নয়। সুতরাং পরিবারের প্রয়োজনে কেউ চাইলে উক্ত বণ্টনের ভেতর কমবেশ করতে পারবে। এতে কুরবানীর কোনো সমস্যা হবে না।

আর আপনার কোনো গরিব আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় গেলে, তারা যদি আপনাকে আপনার দেওয়া কুরবানীর গোশত দ্বারা মেহমানদারি করে, তা খেতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই।

সহীহ মুসলিম, বর্ণনা ১৯৭২; তুহফাতুল ফুকাহা ৩/৮৭; ফাতাওয়া সিরাজিয়্যা, পৃ. ৮৯; বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৪; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৪৮৬; রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৮

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন