মুহাররম ১৪৪৬ || জুলাই ২০২৪

নজীর আহমাদ - কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ

৬৫০৪. প্রশ্ন

গত ধানের মৌসুমে আমি ৯০০ টাকা দরে ৪০ মন ধান কিনে রেখেছি। আমার ইচ্ছা হল কয়েক মাস পরে যখন ধানের দাম বেড়ে যাবে তখন আমি ধানগুলো বিক্রি করে দেব। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশে ফাল্গুন-চৈত্র মাসে ধানের দাম বেড়ে যায়। তখন আমি ধানগুলো বিক্রি করার ইচ্ছা করেছি।

আমি শুনেছি, শরীয়তে ইহতিকার তথা পণ্য মজুদ করে রাখা নিষেধ। এখন আমার জানার বিষয় হল, আমার এ কাজ কী শরীয়ত-নিষিদ্ধ ইহতিকার-এর আওতায় পড়বে, নাকি এভাবে ব্যবসা করা আমার জন্য বৈধ হবে? বিষয়টির সমাধান জানিয়ে উপকৃত করবেন।

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনি যে পরিমাণ ধান কিনে রেখেছেন এর পরিমাণ যেহেতু সামান্য, যার কারণে বাজার প্রভাবিত হয় না এবং এলাকায় ধানের সংকট সৃষ্টি হয় না, তাই তা শরীয়ত-নিষিদ্ধ ইহতিকার তথা মজুদকরণের আওতায় পড়বে না। কিন্তু যদি একই এলাকায় বহু মানুষ এ পরিমাণ ধান (বা অন্য কোনো খাদ্যদ্রব্য) কিনে মজুদ করে রাখে যার দ্বারা এলাকায় ধানের সংকট দেখা দেয় এবং বাজারে ধানের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, তাহলে তখন তা অন্যায় ও গুনাহের কাজ হবে। হাদীস শরীফে এসেছে

مَنِ احْتَكَرَ فَهُوَ خَاطِئٌ.

যে ব্যক্তি পণ্য মজুদ করে রাখবে সে গুনাহগার হবে। (সহীহ মুসিলম, হাদীস ১৬০৫)

শরহু মুখতাসারিত তাহাবী, জাস্সাস ৮/৫৪৬; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৩০৮; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৮/৬০; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৯৮

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন