যিলহজ্ব ১৪৪৫ || জুন ২০২৪

আকরামুজ্জামান - বাঘারপাড়া, যশোর

৬৪৮৭. প্রশ্ন

হুজুর! হজ্বের সময় আমি বারো তারিখের কংকর ঐ দিন আসরের পর নিক্ষেপ করি। আমি জানতাম, তেরো তারিখ কংকর না মারলেও সমস্যা নেই। তাই আমি ও আমার দুই বন্ধু ঐ দিন রাতে এশার পর ধীরেসুস্থে মিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হই। মক্কায় পৌঁছার পর আমাদের কাফেলার এক সাথী বললেন, সূর্যাস্তের পর আপনাদের মিনা থেকে বের হওয়া ঠিক হয়নি।

প্রশ্ন  হল, ঐ ব্যক্তির কথা কি ঠিক? সঠিক হয়ে থাকলে এর কারণে কি আমাদের ওপর কোনো জরিমানা ওয়াজিব হয়েছে?

উত্তর

ঐ ব্যক্তি ঠিকই বলেছেন। প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর আপনাদের মিনা ত্যাগ করা ঠিক হয়নি। কেননা মিনায় অবস্থানকারীর ১২ তারিখ সূর্যাস্ত হয়ে গেলে সুন্নত হল, রাতে মিনায় থেকে যাওয়া, পরের দিন ১৩ তারিখ কংকর নিক্ষেপ করে মিনা ত্যাগ করা। ১২ তারিখ সূর্যাস্ত হয়ে যাওয়ার পর মিনা ত্যাগ করা মাকরূহ।

আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. বলেন-

مَنْ غَرَبَتْ لَهُ الشَّمْسُ مِنْ أَوْسَطِ أَيَّامِ التَّشْرِيقِ وَهُوَ بِمِنًى، لا يَنْفِرَنَّ حَتَّى يَرْمِيَ الْجِمَارَ مِنَ الْغَدِ.

কেউ যদি আইয়ামে তাশরীকের মাঝের দিনে (অর্থাৎ ১২ তারিখ) সূর্যাস্তের সময় মিনায় থাকে, তাহলে সে যেন পরের দিন রমী না করে মিনা ত্যাগ না করে। (মুআত্তা মুহাম্মাদ, বর্ণনা ৬১৬)

অবশ্য এ কারণে কোনো জরিমানা আসবে না।

তাই যিলহজ্বের ১৩ তারিখ কেউ যদি কংকর নিক্ষেপ করতে না চায় তার জন্য উচিত হল, ১২ তারিখ সূর্যাস্তের আগেই মিনা থেকে রওয়ানা হওয়া।

কারো যদি ১২ তারিখ দিবাগত রাতে মিনায় থাকা অবস্থায় ফজরের ওয়াক্ত হয়ে যায়, তাহলে তার ওপর ঐ দিন অর্থাৎ ১৩ তারিখ কংকর নিক্ষেপ করা ওয়াজিব হয়ে যায়। এক্ষেত্রে ঐ দিনের কংকর নিক্ষেপ না করলে তার ওপর দম আবশ্যক হবে।

-শরহু মুখতাসারত তাহাবী, ইসবীজাবী ২/৭০৯; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২৯৭; আলবাহরুল আমীক ৪/১৮৮৯; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৮৪; মানাসিকে মোল্লা আলী আলকারী, পৃ. ২৪৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন