আবু সাঈদ - বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী
৬৪৫৯. প্রশ্ন
কয়েক বছর আগে আমার বড় ভাই আব্বুর সাথে দোকানে সময় দেওয়া শুরু করে। এরপর থেকে তারা দুইজন মিলেই দোকান চালাত। কিছুদিন আগে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আব্বু ও ভাইয়ের মধ্যে খুব মনোমালিন্য ও কথা কাটাকাটি হয়। ইতিপূর্বেও এসব বিষয়ে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল। পরে তা মীমাংসা হয়ে গেছে। কিন্তু এবার ভাইয়া কোনোভাবেই আব্বুর সাথে এক দোকানে থাকতে রাজি হচ্ছে না; বরং সে নিজে আলাদা দোকান দিতে চাচ্ছে। তার কাছে যেহেতু আলাদা দোকান দেওয়ার জন্য কোনো অর্থ নেই, তাই সে আব্বুর দোকান থেকে নতুন দোকানের জন্য মূলধন দাবি করছে। কিন্তু আব্বু এতে রাজি না। কারণ এই দোকান পুরোটা আব্বুর নিজের। এর মূলধনে ভাইয়ার কোনো অংশ নেই। তার শুধু শ্রম আছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ভাইয়া নিজ স্ত্রীসহ আব্বুর সাথেই আছে। আব্বুই তাদের খরচাদি বহন করছেন। আব্বু ভাইয়াকে বলছেন, তুমি আরো কিছুদিন আমার সাথে থাকো। আস্তে আস্তে আমি তোমাকে দোকানের ব্যবস্থা করে দেব। ভাইয়া এতেও রাজি না। অবশেষে ভাইয়া বলছে, আমি যে এতদিন দোকানে শ্রম দিয়েছি এর পারিশ্রমিক আমাকে দিয়ে দেন।
হুজুরের কাছে জানতে চাই, এক্ষেত্রে আব্বু কি ভাইয়াকে কোনো পারিশ্রমিক দিতে বাধ্য? যদি দিতে বাধ্য হন, তাহলে তার পরিমাণ কী? এ ব্যাপারে তো পূর্বে কোনো আলোচনা বা চুক্তি কিছুই হয়নি।
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনার ভাই যেহেতু পিতার সংসারে তার ভরণপোষণাধীন ছিল এবং পিতার ব্যবসায় তার নিজস্ব কোনো মূলধনও ছিল না এবং সে পিতার বেতনভুক্ত কর্মচারীও ছিল না, তাই এক্ষেত্রে সে যে এতদিন তার পিতার দোকানে শ্রম দিয়েছে এর বিনিময়ে সে কোনো পারিশ্রমিকের হকদার হবে না। সুতরাং পিতার জন্য এক্ষেত্রে তাকে পারিশ্রমিক দেওয়া জরুরি নয়। অবশ্য পিতা যদি স্বেচ্ছায় তাকে কিছু দিতে চায়, তবে সেটা তার ব্যক্তিগত বিষয়।
-ফাতাওয়া বায্যাযিয়া ৫/৩৭৮; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৩২৯; রদ্দুল মুহতার ৪/৩২৫; তানকীহুল ফাতাওয়াল হামিদিয়া ২/১৭; দুরারুল হুক্কাম শরহু মাজাল্লাতিল আহকাম ৩/৪২০