খালেদ - চট্টগ্রাম
৬৩৬৭. প্রশ্ন
আমার মামা ২৫তম রোযার দিন সুবহে সাদিকের কিছু আগে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। আমাদের বাড়ি গ্রামে হওয়ায় এবং রমযান মাস হওয়ায় দিনে শুরুতে কোনো ডাক্তার ডাকতে পারিনি। আমরা বিভিন্ন উপায়ে হুঁশ ফেরানোর চেষ্টা করেছি; কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তবে তাঁকে কোনো পানীয় বা খাদ্য খাওয়ানো হয়নি। বিকেলে ডাক্তার এসে পরীক্ষা করে দেখতে পায় যে, প্রেশার ফল্ট করার কারণে তিনি বেহুঁশ হয়েছেন। তাই তাঁকে তখন ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। মাগরিবের কিছু পরে তিনি হুঁশ ফিরে পান। এরপর অবশিষ্ট দিনগুলোর রোযা তিনি সুস্থতার সাথে আদায় করেন। রোযার পর এখন তিনি সুস্থ। প্রশ্ন হল, তাকে কি ঐ দিনের রোযার কাযা করতে হবে?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যদি এমন হয় যে, বেহুঁশ হওয়ার আগে আপনার মামার ঐ দিনের রোযা রাখার ইচ্ছা ছিল (আর এমনটিই স্বাভাবিক), তাহলে যেহেতু তাকে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত কোনো কিছু খাওয়ানো হয়নি, তাই তার ঐ দিনের রোযা আদায় হয়ে গেছে। তা আর কাযা করতে হবে না। কেননা রাতে অর্থাৎ সূর্যাস্ত থেকে সুবহে সাদিকের ভেতর পরবর্তী দিন রোযা রাখার নিয়ত থাকা অবস্থায় যদি কেউ পূর্ণ দিন বেহুঁশও থাকে এবং দিনে তাকে কিছু খাওয়ানো না হয়, তাহলে তার রোযা আদায় হয়ে যায়। সারাদিন বেহুঁশ থাকা রোযা সহীহ হওয়ার জন্য প্রতিবন্ধক নয়।
―কিতাবুল আছল ২/১৫১; আলমাবসূত, সারাখসী ৩/৭০; বাদায়েউস সানায়ে ২/২২৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ২/২০৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৯৫