জুমাদাল উলা-জুমাদাল আখিরাহ ১৪৪৫ || ডিসেম্বর ২০২৩

আযাদ - বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী

৬৩২৬. প্রশ্ন

আমাদের বাড়ি থেকে ঈদগাহ ভালোই দূরে। এবার ঈদের নামাযে যাওয়ার পথে পাশ দিয়ে দ্রুত গতিতে অতিক্রমকারী সিএনজির কারণে রাস্তার কাদাপানি আমার জামায় পড়ে। বাড়ি থেকে জামা পরিবর্তন করে আসতে আসতে ঈদের নামায শেষ হয়ে যায়। পরে শুধু খুতবা শুনি। হুজুরের কাছে জানতে চাই, ঈদের নামায ছুটে গেলে করণীয় কী?

উত্তর

ঈদের নামাযের জন্য জামাত শর্ত। তা একাকী আদায় করা যায় না। তাই নিজ এলাকায় ঈদের নামায ছুটে গেলে আশেপাশে কোথাও ঈদের জামাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলে সেখানে শরীক হওয়ার চেষ্টা করবে। যদি ঈদের জামাত পাওয়া না যায়, তাহলে আর তা আদায়ের সুযোগ নেই। এক্ষেত্রে নিজের ত্রুটির জন্য তাওবা ইস্তেগফার করবে। আর সম্ভব হলে এর পরিবর্তে চার রাকাত বা দুই রাকাত নফল নামায পড়ে নিতে পারে। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেন-

مَنْ فَاتَهُ الْعِيدُ فَلْيُصَلِّ أَرْبَعًا.

কারো ঈদের নামায ছুটে গেলে চার রাকাত (নফল) নামায পড়ে নেবে।’ (ঢ়মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৫৮৫০)

মুহাম্মাদ ইবনুল হানাফিয়্যাহ রাহ. বলেন-

يُصَلِّي رَكْعَتَيْنِ.

(ঈদের নামায ছুটে গেলে) দুই রাকাত (নফল) নামায পড়ে নেবে (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ৫৮৫৬)

তবে এটি ঈদের নামায হিসেবে গণ্য হবে না।

উল্লেখ্য, রাস্তার কাদাপানিতে স্পষ্ট কোনো নাপাকী দেখা না গেলে তা অপবিত্র নয়। তাই এক্ষেত্রে সহজে ময়লা ধোয়া সম্ভব হলে ধুয়ে নেওয়া উচিত ছিল। অন্যথায় জামা পরিবর্তন না করে ঐ জামা পরেই ঈদের নামায পড়ে নেওয়া করণীয় ছিল।

কিতাবুল আছল ১/৫২; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬২৪; আলবাহরুর রায়েক ২/১৬২; আদ্দুররুল মুখতার ২/১৭৫;

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন