রবিউল আখির ১৪৪৫ || নভেম্বর ২০২৩

যাহিদ মালিক - আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ

৬৩১১. প্রশ্ন

আমার বাবা বৃদ্ধ ছিলেন। গত বছর রমযানের কদিন আগে তিনি ব্যবসায়িক কাজে পাঁচ দিনের জন্য ঢাকা থেকে রাজশাহী সফরে যান। যেহেতু সফরে রোযা না রাখার অনুমতি আছে এবং শারীরিকভাবেও তার কিছুটা দুর্বলতা ছিল, তাই তিনি প্রথম তিনটি রোযা রাখেননি। চতুর্থ দিন রোযা রাখেন এবং সেদিন তারাবীহের নামাযের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং এ রাতেই সফরে থাকা অবস্থায় তার ইন্তেকাল হয়ে যায়।

মুহতারামের কাছে জানার বিষয় হল, এক্ষেত্রে কি বাবার প্রথম তিন দিনের রোযার ফিদইয়া দিতে হবে? যদি দিতে হয়, তাহলে এক রোযার পরিবর্তে কী পরিমাণ টাকা দিতে হবে?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু তিনি মুকীম হওয়ার আগেই সফর অবস্থাতেই ইন্তেকাল করেছেন, তাই সফর অবস্থায় তার ছুটে যাওয়া ঐ তিনটি রোযার ফিদয়া আদায় করা জরুরি নয়, কেননা সফর অবস্থায় রোযা রাখা ফরয নয়, এবং মুকীম হওয়ার পর ঐ রোযাগুলোর কাযা করার সময় পাওয়ার আগেই মারা গেলে  তার ওপর এর কাযার বিধানও আরোপিত হয় না। তাই এক্ষেত্রে ঐ রোযাগুলোর ফিদইয়া দেওয়াও ওয়াজিব নয়।

ইবনে জুরাইজ রাহ. বলেন, আমি আতা রাহ.-কে জিজ্ঞাসা করলাম, কেউ যদি রমযান মাসে সফর অবস্থায় কয়েকটি রোযা না রাখে, অতঃপর সেই সফরেই তার ইন্তেকাল হয়ে যায় (তার ক্ষেত্রে কী বিধান?) তিনি বলেন-

لَيْسَ عَلَيْهِ شَيْءٌ، وَلَا يُطْعَمُ عَنْهُ.

তার ওপর কিছুই জরুরি নয় এবং তার পক্ষ থেকে (ফিদইয়া স্বরূপ) আহারও করাতে হবে না। (মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক, বর্ণনা ৭৬৫২)

-কিতাবুল আছল ২/১৬৫; বাদায়েউস সানায়ে ২/২৬৩; তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/১৯১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪২৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন