রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ || অক্টোবর ২০২৩

ফাহাদ - লিসবন, পর্তুগাল

৬২৯৭. প্রশ্ন

আমি পরিবারসহ পর্তুগাল বসবাস করি। আমি পড়াশোনা করতাম। আব্বুর চাকরি দিয়েই আমাদের পরিবার চলত। কিছুদিন আগে হঠাৎ আব্বু মারা যান। এখন পড়াশোনার পাশাপাশি আমাকে পরিবারের প্রয়োজনে হোম ডেলিভারির কাজ করতে হয়। সেখানে প্রায়ই বিভিন্নজন মদ বিয়ার বা এজাতীয় হারাম পানীয় অর্ডার করে। অর্ডারকারীরা সাধারণত অমুসলিমই হয়ে থাকে।

জানার বিষয় হল, অমুসলিমদের কাছে এসব হারাম বস্তু ডেলিভারি করা কি জায়েয? দয়া করে জানালে কৃতজ্ঞ হব।

উত্তর

মদ ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ও হারাম। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনÑ

لَعَنَ اللهُ الْخَمْرَ، وَشَارِبَهَا، وَسَاقِيَهَا، وَبَائِعَهَا، وَمُبْتَاعَهَا، وَعَاصِرَهَا، وَمُعْتَصِرَهَا، وَحَامِلَهَا، وَالْمَحْمُولَةَ إِلَيْهِ.

অর্থাৎ আল্লাহর লানত মদের ওপর, তা যে পান করে তার ওপর, যে পান করায় তার ওপর, যে বিক্রি করে তার উপর এবং যে খরিদ করে তার ওপর, যে তা নিংড়ায় তার ওপর এবং যার নির্দেশে নিংড়ায় তার ওপর, যে তা বহন করে এবং যার জন্য বহন করে সকলের ওপর। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৬৭৪)

তাই অমুসলিমদের কাছেও মদ ডেলিভারি করা জায়েয হবে না। আপনাকে শরীয়তসম্মত কোনো চাকরি অথবা জীবিকা নির্বাহের জন্য কোনো হালাল উপায় অনুসন্ধান করতে হবে। এমন কোনো চাকরির ব্যবস্থা হয়ে গেলে এ চাকরিটি ছেড়ে দিতে হবে। এর আগ পর্যন্ত যদি জীবিকা নির্বাহের জন্য আপাতত এ চাকরিটি করতে হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে এর জন্য তাওবা-ইস্তিগফার করতে থাকবেন। এবং হালাল রোযগারের ব্যবস্থা হওয়া মাত্রই এ চাকরিটি ছেড়ে দেবেন।

Ñকিাতবুল আছল ৪/১৭; আলমুহীতুর রাযাবী ৬/৫৩৭; আলমুহীতুল বুরহানী ১১/৩৪৫; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩৯১; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৯১

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন