সফর ১৪৪৫ || সেপ্টেম্বর ২০২৩

মায়মূন শাবীব - লালমাটিয়া, ঢাকা

৬২৬৯. প্রশ্ন

জনৈক ব্যক্তি একটি বেসরকারি প্রাইভেট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে নিয়োজিত আছেন। সেই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য বিভাগেও তার ক্লাস আছে। তার প্রতিষ্ঠানের নিয়ম হল, অনাবাসিক শিক্ষকদেরও সকাল সাতটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছাত্রদের পড়ালেখা ও অন্যান্য বিষয়ের তদারকি করতে হয়। তার সাথেও এ মর্মে চুক্তি হয়েছিল যে, তিনি প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের পাঠদান করবেন এবং ছাত্রদের পড়ালেখার সময় অর্থাৎ সকাল সাতটা  থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত ছাত্রদের পড়ালেখার তদারকি করবেন। কিন্তু তিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে না জানিয়ে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও বিভিন্ন সময় ক্লাস নেন। এই বিষয়টি প্রতিষ্ঠানের প্রধান জানেন না, বা জানলেও তিনি খুব ভালো মানের শিক্ষক হওয়ার কারণে তাকে কিছু বলতে পারেন না। কিন্তু বিষয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধানের একেবারেই পছন্দ নয়। অবশ্য ঐ ব্যক্তি তার প্রতিষ্ঠানের কোনো ক্লাস বাদ দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস নেন না; বরং তার ক্লাস শেষ হওয়ার পর দুপুরের পর থেকে রাতের সময়ের মধ্যে তিনি অন্য প্রতিষ্ঠানে ক্লাস নিতে যান। এই সময়ে তার প্রতিষ্ঠানে তার কোনো ক্লাস থাকে না। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনেক অনুরোধ করার কারণেই মূলত তিনি সে সকল প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন সময় গিয়ে ক্লাস নিয়ে থাকেন।

সম্মানিত মুফতী সাহেবের নিকট জানার বিষয় হল, ঐ ব্যক্তির জন্য তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস নেওয়া বৈধ হবে কি? এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান জানতে চাই।

উত্তর

প্রশ্নের বিবরণ মতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তার দায়িত্ব দুটি। একটি হল, ছাত্রদের পাঠদান করা, আর দ্বিতীয়টি হল, সকাল সাতটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ছাত্রদের পড়াশোনাসহ সার্বিক বিষয়ের তদারকি করা। তাই যদিও তার দুপুরের পূর্বেই ক্লাস শেষ হয়ে যায়, কিন্তু তার ওপর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অর্পিত দ্বিতীয় দায়িত্বটি অর্থাৎ ছাত্রদের তদারকি করার দায়িত্বটি থেকে যায়। সুতরাং তার এই দায়িত্ব ফেলে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস নেওয়া জায়েয হবে না। এক্ষেত্রে যদি একান্তই অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে গিয়ে তার ক্লাস নিতে হয় তাহলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সুস্পষ্ট অনুমতি নিতে হবে।

-কিতাবুল আছল ৩/৫৬১; আলমুহীতুর রাযাবী ৬/৫৬১; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/১৪৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/৫০০; দুরারুল হুক্কাম শরহু মাজাল্লাতিল আহকাম ১/৪৫৪

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন