মুহাররম ১৪৪৫ || আগস্ট ২০২৩

শাপলা আক্তার - রাজশাহী

৬২৩২. প্রশ্ন

আমার ছোট ভাইয়ের একটি ফলের বাগান আছে। আমার দুই ছেলে মাঝেমাঝে সেখান থেকে ফল পেড়ে খায়। আমার ভাই ওদেরকে ফল পাড়তে নিষেধ করে। আমিও নিষেধ করি; কিন্তু ওরা আমাদের কথা শোনে না। কিছুদিন আগে আমার ভাই আমার বাসায় বেশ কিছু ফল নিয়ে আসে। তখন সে আমার ছেলেদের ফল পাড়ার বিষয়ে কথা তোলে। এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমাদের মাঝে অনেক বাক-বিতণ্ডা হয় এবং একপর্যায়ে আমি বলে ফেলি যে, তুই এই ফল নিয়ে যা। আমি তোর গাছের ফল খাব না। তোর এই ফল আমার জন্য হারাম। এই কথা বলার পর সে আমার কাছে মাফ চাইতে শুরু করে এবং খুব অনুনয়-বিনয় করে উক্ত ফলগুলো রেখে যায়। পরবর্তীতে আমিও এই ফল খাই। হুজুরের কাছে জানতে চাই, তোর এই ফল আমার জন্য হারাম’— আমার এই কথা বলার পর উক্ত ফল খাওয়াতে কোনো অসুবিধা হয়েছে? এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান জানতে চাই।

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী তোর এই ফল আমার জন্য হারাম’— এই কথা বলার দ্বারা কসম সংঘটিত হয়েছে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত

أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ فِي الْحَرَامِ: يَمِينٌ يُكَفِّرُهَا.

তিনি বলেন, হালাল কিছুকে নিজের ওপর হারাম করা কসমের অন্তর্ভুক্ত। এরপর সেই কাজ করলে কাফফারা দিতে হবে। (সহীহ মুসলিম, বর্ণনা ১৪৭৩)

সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে ঐ কথা বলার পর উক্ত ফল খাওয়ার কারণে আপনার ওপর একটি কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হয়েছে। আর এক্ষেত্রে কাফফারা হল, দশজন মিসকীনকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খাবার খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে এক জোড়া করে কাপড় দেওয়া। আর যদি এগুলোর সামর্থ্য না রাখেন, তাহলে লাগাতার তিন দিন রোযা রাখতে হবে।

মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৮৪৯৬; আলমাবসূত, সারাখসী ৮/১৩৪; ফাতহুল কাদীর ৪/৩৭১; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯২; ফাতাওয়া সিরাজিয়া, পৃ. ৫৮

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন