মুহাম্মাদ সাজ্জাদ হুসেন - মহেশখালী, কক্সবাজার
৬১৫৫. প্রশ্ন
আমার এক আত্মীয় নিজ টাকা দিয়ে এক ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল সেল দেয়। যত বেশি সেল দিতে পারে তত বেশি লাভ হয়। আমি ২ লক্ষ টাকা দিয়ে তার সাথে ব্যবসায় শরীক হতে চাইলে সে এ শর্তে রাজি হয় যে, মাস শেষে ব্যবসায়িক খরচ বাদ দিয়ে লভ্যাংশের যতটুকু ইচ্ছা দেবে। কোনো শতকরা হার নির্ধারণ করেনি। আমিও উক্ত চুক্তিতে তার সাথে রাজি হয়ে যাই। এভাবে কয়েক মাস গত হয়। সে যতটুকু লভ্যাংশ দেয় আমি তা খুশি মনে নিয়ে নিই।
এখন জানার বিষয় হল, শতকরা হার নির্ধারণ ছাড়া উক্ত চুক্তিতে ব্যবসা জায়েয হবে কি না? যদি জায়েয না হয় তাহলে এতদিন অর্জিত লভ্যাংশের শরয়ী বিধান কী? জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
কারো ব্যবসায় অর্থ দিয়ে শরীক হতে চাইলে লভ্যাংশের শতকরা হার নির্ধারণ করে নেওয়া আবশ্যক। লভ্যাংশের হার নির্ধারণ না করে অনির্দিষ্ট হারে লাভ দেওয়া জায়েয নয়। তদ্রূপ লভ্যাংশের যতটুকু ইচ্ছা দেবে— এভাবে চুক্তি করাও নাজায়েয।
সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে শতকরা হারে লভ্যাংশ নির্ধারণ না করে ব্যবসা পরিচালনাকারীর ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয়ার কারণে উক্ত চুক্তিটি ফাসেদ হয়ে গেছে। এখন আপনি যদি সঠিকভাবে উক্ত ব্যবসায় শরীক হতে চান, তাহলে পূর্বের চুক্তিটি বাতিল করে দিয়ে শতকরা হারে লভ্যাংশ নির্ধারণ করতঃ নতুন করে চুক্তিতে আবদ্ধ হবেন।
আর প্রশ্নোক্ত চুক্তিটি যেহেতু ফাসেদ হয়েছে তাই এতদিন ঐ ২ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা করে যা লাভ অর্জিত হয়েছে তার পুরোটার মালিক আপনি। আর ব্যবসা পরিচালনাকারী এত দিনের ন্যায্য পারিশ্রমিক পাবে।
—কিতাবুল আছল ৪/১২৮; আলমাবসূত, সারাখসী ২২/২৭; আলমুহীতুর রাযাবী ৬/১৩৯; আলমুহীতুল বুরহানী ১৮/১২৮; আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৮