মুহাম্মাদ আব্দুল হক চৌধুরী -
৯২১. প্রশ্ন
গত ঈদুল-আযহার নামাযের পূর্ব মুহূর্তে আমাদের ইমাম নামাযের নিয়তসহ নিয়ম কানুন বলে দেন। তিনি বলেন, প্রথম তিনবার আল্লাহু আকবার বলে তাকবীর দিয়ে হাত ছেড়ে চতুর্থ বারে হাত বাঁধতে হবে। আমি তাতে দ্বিমত পোষন করি এবং বলি যে, প্রথম তাকবীরের সাথে সাথেই হাত বাঁধতে হবে এবং সানা পড়ার পর তিন বার হাত ছেড়ে ছেড়ে তাকবীর দিতে হবে এবং পরবতীর্তে হাত বেঁধে ইমাম সূরা ফাতিহা এবং অন্য সূরা পড়বেন। ইমাম সাহেব আমার প্রস্তাবে সম্মত না হয়ে তার প্রস্তাবিত উপায়ে নামায আদায় করেন। আমাদের নামায হয়েছে কি না তা জানার জন্য বিভিন্ন আলেমের নিকট জিজ্ঞাসা করি। তাদের কেউ বলেছেন, নামায হয়েছে; কেউ বলেছেন, নামায হয়নি। এমতাবস্থায় আমাদের নামায হয়েছে, কি না? জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
ঈদের নামাযে প্রথম তাকবীর হল তাকবীরে তাহরীমা। এই তাকবীরের পর সানা পড়তে হয়। তাই প্রথম তাকবীরের পর হাত বাঁধা সুন্নত। এর পরবর্তী দুই তাকবীর বলে হাত ছেড়ে দিবে তৃতীয় তাকবীরের পর, যা তাকবীরে তাহরীমার তাকবীরসহ হিসাব করলে চতুর্থ তাকবীর হয়, আবার হাত বাঁধবে। এসকল তাকবীরের মধ্যে উক্ত নিয়মে হাত বাঁধা ও হাত ছাড়া সুন্নত। প্রথম তাকবীর তথা তাকবীরে তাহরীমার পর হাত না বাঁধা ভুল। তদ্রূপ তাকবীরে তাহরীমার পর তৃতীয় তাকবীর বলে হাত বাঁধা নিয়ম। এখানে হাত না বেঁধে ছেড়ে দেওয়া ভুল। অনেকে তাকবীরের পর হাত ছেড়ে দিয়ে পরে বাঁধে-এটা ঠিক নয়। সুতরাং প্রথম তাকবীরের পর হাত না বেঁধে যদি ছেড়ে দেয় তাহলে নামায আদায় হয়ে যাবে, তবে সুন্নত ছেড়ে দেওয়ার কারণে অনুত্তম হবে।
উল্লেখ্য, কোনো বিষয়ে না জেনে কথা বলা দোষনীয়। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।