জুমাদাল উলা ১৪৪৪ || ডিসেম্বর ২০২২

আহমাদুল্লাহ - বরিশাল

৬০১১. প্রশ্ন

আমাদের এলাকার একটি প্রচলন আছে। মায়্যেতের দাফন শেষে উপস্থিত লোকদেরকে নিয়ে দুআ করা হয়। আমি আমাদের ইমাম সাহেবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এতে অসুবিধার কিছু নেই। আমি জানতে চাচ্ছি, ইমাম সাহেবের উত্তরটি কি সঠিক?

উত্তর

হাঁ, ইমাম সাহেব ঠিক বলেছেন। কেননা দাফন শেষে কিবলামুখী হয়ে দুআ করার কথা হাদীসে এসেছে। উসমান রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন-

كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِذَا فَرَغَ مِنْ دَفْنِ الْمَيِّتِ وَقَفَ عَلَيْهِ، فَقَالَ: اسْتَغْفِرُوا لِأَخِيكُمْ، وَسَلُوا لَهُ بِالتَّثْبِيتِ، فَإِنَّهُ الْآنَ يُسْأَلُ.

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মায়্যেতের দাফন থেকে ফারেগ হতেন তখন তিনি বলতেন, তোমরা তোমাদের ভাইয়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর এবং দৃঢ়তার জন্য দুআ কর। এখনি তাকে প্রশ্ন করা হবে। (সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩২১৩)

ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ যুল বিজাদাইন রা.-এর দাফনের ক্ষেত্রে বলেন-

فَلَمَّا فَرَغَ مِنْ دَفْنِهِ اسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ رَافِعًا يَدَيْهِ يَقُولُ: اللهُمَّ إِنِّي أَمْسَيْتُ عَنْهُ رَاضِيًا فَارْضَ عَنْهُ.

অতঃপর যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার দাফন থেকে ফারেগ হলেন, তখন কেবলামুখী হয়ে হাত উঠিয়ে বললেন, হে আল্লাহ! আমি তার প্রতি সন্তুষ্ট আপনিও তার উপর রাজি হয়ে যান। (হিলইয়াতুল আউলিয়া ১/১২২)

সুতরাং এসব হাদীসের আলোকে ফকীহগণ বলেছেন, দাফনের পর কবরকে সামনে না রেখে কেবলামুখী হয়ে দুআ করা উত্তম। তাই এক্ষেত্রে লক্ষণীয় হল, কবর সামনে নিয়ে দুআ মুনাজাত করা যাবে না।

-আলজাওহারাতুন নায়্যিরা ১/১৪১; আলবিনায়া ৩/২৬২; আদ্দুররুল মুখতার ২/২৩৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৬৬, ৫/৩৫০

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন