সালাহুদ্দীন আহসান - মাদানীনগর, ঢাকা
৫৮৪৬. প্রশ্ন
কয়েক বছর আগে একবার শাবান মাসের ২৯ তারিখ দিবাগত রাতে রমযানের চাঁদ ওঠার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরের দিন আমাদের এলাকার অনেকেই এ নিয়তে রোযা রাখে যে, যদি আজকে রমযান হয় তাহলে তো রমযানের রোযাই হয়ে গেল, আর যদি শাবানের ৩০ তারিখ হয় তাহলে নফল রোযা হিসাবে রেখে ফেলব। পরের দিন সকালবেলা আমরা জানতে পারি যে, রমযানের চাঁদ ওঠেনি। আজ শাবানের ৩০ তারিখ। তখন যারা রোযা রেখেছিল তাদের অনেকেই রোযা ভেঙে ফেলে। মুহতারামের কাছে জানতে চাই, যারা উক্ত নিয়তে রোযা রেখে ভেঙে ফেলেছে তাদেরকে উক্ত রোযার কাযা করতে হবে কি না?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত পরিস্থিতিতেও ২৯ শাবানের পরের দিন ‘রমযানের রোযা অথবা নফল রোযা’ এভাবে নিয়ত করে রোযা রাখাটা মাকরূহ ও গুনাহ হয়েছে। কেননা ঐ তারিখ এভাবে রোযা রাখা নিষিদ্ধ। এক্ষেত্রে তারা যেহেতু উভয় নিয়তই করেছে; এককভাবে শুধু নফলের নিয়ত ছিল না, তাই ঐ দিন রমযান না হওয়ায় যারা রোযা ভেঙে ফেলেছে তাদেরকে এর কাযা করতে হবে না।
-আলফাতাওয়া মিন আকাবীলিল মাশায়িখ, পৃ. ১৩৬; ফাতাওয়া খানিয়া ১/২০৭; শরহুল জামিয়িস সাগীর, পৃ. ২২৮; ফাতাওয়া ওয়ালওয়ালিজিয়া ১/২৩০; ফাতহুল কাদীর ২/২৪৪; আলবাহরুর রায়েক ২/২৬৫