মুহাররম ১৪৪৪ || আগস্ট ২০২২

কাজী মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম - বুসন্ধরা আবাসিক এলাকা

৫৭৯০. প্রশ্ন

ঢাকা এয়ারপোর্ট সংলগ্ন কাওলা এলাকায় একটি মার্কেটে আমার দোকানের পজিশন আছে। বর্তমানে আমি তাতে ব্যবসা করছি। কিন্তু ব্যবসায় তেমন লাভ হচ্ছে না। বিভিন্ন ইসলামী ব্যাংক ও জেনারেল ব্যাংক ভাড়া নেওয়ার জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করছে। আমি বিভিন্ন সময়ে সুদের বিরুদ্ধে আলেমদের বয়ান শুনেছি। তাই একজন মাওলানা সাহেবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, সুদি ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া তাকওয়ার খেলাফ আর ইসলামী ব্যাংকের কাছে ভাড়া দিলে কোনো সমস্যা নেই। আমার ভাই আলেম। তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, ইসলামী ব্যাংকের কাছে ভাড়া না দিয়ে সাধারণ দোকান ভাড়া দিতে। এখন আমি বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি। সাধারণ ব্যাংক অথবা ইসলামী ব্যাংকের কাছে ভাড়া দেওয়া যাবে কি? মুফতী সাহেবের কাছে শরীয়তের আলোকে সমাধান চাচ্ছি।

উত্তর

সুদী ব্যাংকের কাছে দোকান ভাড়া দেওয়া না জায়েয। কেননা, এর দ্বারা সুদী কারবারে সহযোগিতা করা হয়। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

وَ تَعَاوَنُوْا عَلَی الْبِرِّ وَ التَّقْوٰی ۪ وَ لَا تَعَاوَنُوْا عَلَی الْاِثْمِ وَ الْعُدْوَانِ .

আর তোমরা নেকী ও তাকওয়ায় পরস্পর সহযোগিত কর।  গুনাহ ও সীমালঙ্ঘনে একে অপরকে সহযোগিতা করো না। -সূরা মায়েদা (৫) : ২

দ্বিতীয়ত, সুদী ব্যাংকগুলোর আয়ের প্রধান উৎস সুদের টাকা। সুতরাং জেনেবুঝে এই হারাম টাকা গ্রহণ করা বৈধ হবে না। আর আমাদের দেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো শরীয়া ভিত্তিক বলে দাবি করলেও বাস্তব পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, এদের বিনিয়োগ কার্যক্রমগুলোতে অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথভাবে শরয়ী নীতিমালা পালিত হয় না। যার দরুন তাদের ঐসমস্ত আয়ের টাকাগুলোও হালাল হয় না। তাই যতদিন পর্যন্ত এসব ব্যাংকে শারীয়াহ পরিপালনের বিষয়টি নিশ্চিত না হবে ততদিন পর্যন্ত এসব ব্যাংকের কাছে দোকান ভাড়া দেওয়া থেকে বিরত থাকা নিরাপদ হবে।

-গামযু উয়ূনিল বাসাইর ১/৩৪৫; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৮৫; জাওয়াহিরুল ফিকহ, মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ. ২/৪৫৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন