মুহাররম ১৪২৮ || ফেব্রুয়ারি ২০০৭

ডাঃ আবু ইজহার - হবিগঞ্জ, সিলেট

৯০৩. প্রশ্ন

আমি ইফতেখার আলম নামক এক ব্যবসায়ীর সাথে এ মর্মে চুক্তি করি যে, আমি তাকে কিছু মেশিন ভাড়া দিব। প্রতি ৫টি মেশিনের মাসিক ভাড়া ৩ হাজার টাকা করে দিবে। পরবর্তীতে আমি ওই ব্যক্তিকে ২০টি মেশিনের মূল্য বাবদ কয়েক কিস্তিতে মোট ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করি। ওই ব্যক্তি সে টাকা দিয়ে মেশিন ক্রয় করে যথারীতি ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এ পর্যন্ত সে কখনো কোনো ভাড়া পরিশোধ করেনি। এখন শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে আমি বিগত দিনের ভাড়া পাই কি না? তার সাথে কারবার নিস্পত্তি করতে চাইলে সেটা কীভাবে করতে হবে? বিস্তারিত জানালে ভাল হয়।

উত্তর

প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী আপনাদের ওই ভাড়া চুক্তিটি শরীয়তসম্মত হয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে ভাড়ার হিসাব ধর্তব্য হবে মেশিন কিনে তা ব্যবহারের উপযোগী হওয়ার পর থেকে। অর্থাৎ ইফতেখার আলম সাহেব যেদিন ভাড়া চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন সেদিন কিংবা টাকা গ্রহণের দিন থেকে ভাড়ার হিসাব হবে না; বরং মেশিন ব্যবহারের উপযোগী হয়ে তার কাছে পৌঁছার পর থেকে এটি কার্যকরী হবে। মনে রাখতে হবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ভাড়া পরিশোধ না করা মারাত্মক গুনাহ। এতে ওয়াদা খেলাফের গুনাহের সাথে সাথে বান্দার হক নষ্ট করার জুলুমও রয়েছে। তাই অবিলম্বে সমুদয় ভাড়া পরিশোধ করে দেওয়া জরুরি।

বর্তমানে মেশিনের মালিক কিংবা ভাড়াটে ভাড়াচুক্তি নিস্পত্তি করতে চাইলে চুক্তিনামার শর্তানুযায়ী অথবা উভয় পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে তা করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সকল মেশিন যথাযথভাবে মালিককে ফেরত দিতে হবে। আর মেশিনের মালিক রাজি হলে উভয়ের সম্মতিতে নির্ধারিত মূল্যে ভাড়াটে ওই মেশিনগুলো খরিদ করে রেখেও দিতে পারে।

-আদ্দুররুল মুখতার ৬/৫-৬; আলবাহরুর রায়েক ৭/২৯৭; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৩/১০৬; ফাতাওয়া বাযযাযিয়া ২/১৪; বুহুস ১/২১২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন