রবিউল হক - কাকরাইল, ঢাকা
৯৪৩. প্রশ্ন
তাবলীগের একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। জাহাজে বিভিন্ন দেশে তার সফর হয়ে থাকে। একবার সুইজারল্যান্ড সফর হল। এক আরব তাকে ২০০ (দু’শ) ডলার দিয়ে বলল, আমি একবার বাংলাদেশ সফর করেছি। আমার সঙ্গে মাওলানা আব্দুল্লাহ নামে এক ভাই সময় লাগিয়েছেন; তাকে আমার পক্ষ থেকে এই ২০০ ডলার হাদিয়া পৌঁছে দিবেন। মাওলানা আব্দুল্লাহ বাংলাদেশের কোন শহরের অধিবাসী তাও তিনি উল্লেখ করেছেন।
খেঁাজ নিয়ে দেখা গেল, বাংলাদেশের সেই শহরে আব্দুল্লাহ তিনজন। তিনজনই আলেম। তারা সবাই সাল লাগিয়েছেন। আরবদের সঙ্গে সময়ও লাগিয়েছেন। ওই আরবকে তিনজনের কেউ চিনতে পারেননি। ওই আরব হাদিয়া দেওয়ার সময় নিজের কোনো নাম-ঠিকানা দেয়নি। এখন এই ২০০ ডলারের হুকুম কী হবে?
উত্তর
উক্ত বর্ণনা অনুযায়ী যদি কোনোক্রমেই সঠিক মালিক নির্ণয় করা সম্ভব না হয় এবং ডলারদাতা থেকেও তা জানার কোনো সুযোগ না থাকে, তবে ওই ডলারগুলো শরীয়তের দৃষ্টিতে ‘লুকতা’-এর হুকুমের অন্তভুর্ক্ত হবে। অর্থাৎ দাতার পক্ষ থেকে গরীব লোকদেরকে তা দান করে দিতে হবে। ওই মাওলানা সাহেবরা গরীব হলে তাদেরকেও দেওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, ব্যাপক যাচাই-বাছাইয়ে যদি একথা প্রমাণিত হয় যে, ওই শহরে শুধু এ তিনজন আব্দুল্লাহ। এর কোনো একজনই ওই হাদিয়ার মালিক, তবে সেক্ষেত্রে এ পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে যে, উক্ত তিনজনকে একত্র করে তাদের সকলের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন নিয়ে তাদের কাউকে ওই টাকা দিয়ে দিবে অথবা তাদের সম্মতিতে এ তিনজনের মধ্যে টাকাগুলো ভাগ করে দিবে।
-সহীহ বুখারী ১/২৭৮; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক ১/১৩৭; আদ্দুররুল মুখতার ৪/২৮৩, ২৭৬; আলবাহরুর রায়েক ৫/১৪৯; আননাহরুল ফায়েক ৩/২৮৩