যিলকদ ১৪৪৩ || জুন ২০২২

জামিলা খাতুন - ঢাকা

৫৭০৬. প্রশ্ন

আমি এক মহিলা মাদরাসার শিক্ষিকা। আমাদের মাদরাসায় আমিই হিফজের একমাত্র শিক্ষিকা। আর কেউ না থাকায় হায়েযের দিনগুলোতেও আমাকে মাদরাসায় ছাত্রীদের পড়া শুনতে হয়। সিজদার আয়াত আসলে ঐ পৃষ্ঠা বাদ দিয়ে অন্য পৃষ্ঠা শুনি। কখনো আগে থেকে খেয়াল না করলে সিজদার আয়াতও শুনে ফেলি। এভাবে অনেকদিন কেটে যায়। সেদিন এক শিক্ষিকার সাথে এ বিষয়ে কথা হয়। সে বলল, হায়েয অবস্থায় সিজদার আয়াত শুনলে কিছুই হয় না। আরে, এ অবস্থায় তো নামাযই মাফ। আমার কথা বিশ^াস না হলে বড় কোনো আলেমকে জিজ্ঞাসা কর।

তাই মুহতারামের নিকট জানতে চাই, ঐ শিক্ষিকার কথা কি ঠিক? এ অবস্থায় আমার জন্য করণীয় কী?

উত্তর

উক্ত শিক্ষিকা ঠিক বলেছেন। ঋতুমতি নারী সিজদার আয়াতের তিলাওয়াত শুনলে তার উপর সিজদা ওয়াজিব হয় না।

-মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা, হাদীস ৪৩৪৮; কিতাবুল আছল ১/২৭২; মুখতারাতুন নাওয়াযিল ১/৩৬৩; আযযাখিরাতুল বুরহানিয়া ২/২৯৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/১৩২; জামিউর রুমুয ১/২৪১; আদ্দুররুল মুখতার ২/১০৬

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন