শাওয়াল ১৪৪৩ || মে ২০২২

তানিয়া সুলতানা - মিরপুর, ঢাকা

৫৬৮৪. প্রশ্ন

আমি এক বাসায় কাজ করি। গত রমযানে একদিন কাজ শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম। সময়টা ছিল দুপুর। গরমও ছিল প্রচণ্ড। কাজের বাসা থেকে আমাদের বাসার পথও বেশ দীর্ঘ। একে তো কাজের ক্লান্তি। তারপর আবার গরমের মধ্যে এত লম্বা পথ হেঁটে বাসায় ফিরতে ফিরতে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ি। বাসায় এসে ইচ্ছাকৃত এক গ্লাস পানি পান করে ফেলি। পরে আমি বেশ অনুতপ্ত হই। কারণ, আমি চাইলেই রোযা পূর্ণ করতে পারতাম; হয়ত সামান্য কষ্ট হত। ঘটনাক্রমে ঐ দিন আছরের পরই আমার হায়েয শুরু হয়ে যায়। ঘটনাটা মসজিদের ইমাম সাহেবকে জানালে তিনি বলেন, ঐ দিনের রোযা কাযা করে নিলেই চলবে কাফফারা লাগবে না। জানার বিষয় হল, ঐ ইমাম সাহেব কি ঠিক বলেছেন? সত্যিই কি আমার ঐ দিনের রোযার কাফফারা লাগবে না?

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার ঐ দিনের রোযা ভেঙ্গে ফেলা নাজায়েয হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেত্রে কাযা ও কাফ্ফারা উভয়টি আবশ্যক হয়ে যায়। তবে ঐ দিন যেহেতু পরবতীর্তে আপনার হায়েয এসে গেছে তাই এক্ষেত্রে আপনাকে উক্ত রোযার কাযা আদায় করলেই চলবে। কাফফারা লাগবে না।

উল্লেখ্য, রোযা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের অন্যতম। তাই শরয়ী ওযর ছাড়া রোযা ভেঙে ফেলা মারাত্মক গুনাহ।

-কিতাবুল আছল ২/১৫৩; মাবসূত, সারাখসী ৩/৭৫; আলহাবিল কুদসী ১/৩১৫; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৭; আলজাওহারাতুন নাইয়িরা ১/১৮১

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন