আফিফ আবদুল্লাহ - ঢাকা
৫৬৬৬. প্রশ্ন
আমি সৌদি প্রবাসী। ১০ বছর যাবৎ সৌদিতে আছি। সম্প্রতি গ্রামে একটি ভবন নির্মাণের ইচ্ছা করেছি। সে উদ্দেশ্যে আমি আমার ভাগিনার একাউন্টে ৭ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছি। কিছু ঝামেলার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছিল। তাই টাকাটা প্রায় দেড় বছর যাবৎ একাউন্টে পড়ে আছে। কিছুদিন আগে জানতে পারলাম, ভাগিনা আমার অনুমতি ছাড়াই সেখান থেকে দেড় লক্ষ টাকা ব্যবসায় খাটিয়েছে এবং কিছু লাভও করেছে। জানার বিষয় হল, তার জন্য কি কাজটা জায়েয হয়েছে? এখন করণীয় কী?
উত্তর
আপনার প্রেরিত ৭ লক্ষ টাকা ভাগিনার কাছে আমানত হিসাবে ছিল। আপনার অনুমতি ছাড়া সেখান থেকে দেড় লক্ষ টাকা ব্যবসায় খাটানো জায়েয হয়নি। আমানতের খেয়ানত হয়েছে। সুতরাং ঐ টাকা দিয়ে সে যা লাভ করেছে তার জন্য তা ভোগ করা জায়েয হবে না। বরং গরীব-মিসকীনদের সদকা করে দিতে হবে।
-মাবসূত, সারাখসী ১১/১১১; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/৩৭২; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/৪০৭; ফাতহুল কাদীর ৬/১০৪; মাজমাউল আনহুর ৩/৪৭৩