শান্ত - বনশ্রী, ঢাকা
৫৬২৩. প্রশ্ন
আমাদের এলাকার এক লোকের কাছে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক জোড়া খুব দামি কুকুর আছে। কুকুরগুলো মূলত সে কিনেছে নিজের ঘর পাহারা দেওয়ার জন্য। গত কয়েক দিন আগে ঐ কুকুরগুলো কয়েকটা বাচ্চা দিয়েছে। আর আমাদের এলাকাটা যেহেতু একটু গ্রামের দিকে এবং সেখানে বসতিও কম তাই পাহারার জন্য সেখানে আলাদা লোকও পাওয়া যায় না। এজন্য আমাদের এলাকার কিছু লোক চাচ্ছে, ঐ কুকুরগুলো বড় হলে কিনে নেবে। কারণ, ঐ জাতের কুকুর পাহারার কাজ ভালো করে। জানার বিষয় হল, ঐ ব্যক্তির জন্য কি কুকুরগুলো বিক্রি করা এবং তার মূল্য দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ হবে?
উত্তর
প্রশ্নের বর্ণনা অনুযায়ী কুকুরগুলো যেহেতু পাহারার কাজ ভালো করে আর পাহারার জন্য কুকুর রাখা এবং ক্রয়-বিক্রয় করা বৈধ, তাই পাহারার প্রয়োজনে কুকুরগুলো ক্রয়-বিক্রয় করা এবং মালিকের জন্য তার মূল্য ভোগ করা জায়েয হবে।
প্রকাশ থাকে যে, সখের বশবর্তী হয়ে কিংবা বিজাতীয় ফ্যাশন অবলম্বনে কুকুর রাখা বা লালন-পালন করা জায়েয নয়। হাদীসে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন-
لاَ تَدْخُلُ المَلاَئِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلاَ تَصَاوِيرُ.
যে ঘরে কুকুর থাকে অথবা কোনো ধরনের (প্রাণীর) ছবি থাকে সেখানে রহমতের ফিরিশতা প্রবেশ করে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস ৫৯৪৯)
তাই পাহারা বা শিকারের প্রয়োজন ছাড়া কুকুর পালা যাবে না।
-কিতাবুল আছল ৫/৪১৫; আলমাবসূত, সারাখসী ১১/২৩৪; ফাতাওয়া খানিয়া ২/১৩৩; ফাতহুল কাদীর ৬/২৪৫; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/১১৪; ইলাউস সুনান ১৪/৪৩১