আবুল বাশার - বি. বাড়িয়া
৫৫১৩. প্রশ্ন
আমি একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করি। এখানে ছাত্রদের সাপ্তাহিক বক্তৃতা মজলিস হয়। বক্তৃতায় অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের থেকে ১৫/২০ টাকা করে নেওয়া হয়। তারপর যারা ১ম, ২য়, ৩য় হয় তাদেরকে এই টাকা দিয়ে ইলমী কিতাব পুরস্কৃত করা হয়। কয়েক বছর যাবত এ পদ্ধতিই আমরা অবলম্বন করে আসছি। এ বছর আমাদের প্রতিষ্ঠানে একজন নতুন শিক্ষক আসেন। তিনি আমাদের বলেন, এ পদ্ধতি বৈধ নয়। হুজুরের কাছে জানতে চাই, ঐ শিক্ষকের কথা কি সঠিক? আর সঠিক হয়ে থাকলে এক্ষেত্রে বৈধ পন্থা কী হবে? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
উত্তর
হাঁ, ঐ শিক্ষক ঠিক বলেছেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের থেকে টাকা উঠিয়ে সেই টাকা দিয়ে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা জায়েয নয়। কেননা এটা শরীয়ত নিষিদ্ধ কিমারের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এ উদ্দেশ্যে প্রতিযোগীদের থেকে চাঁদা ওঠানো যাবে না এবং এভাবে পুরস্কারও দেওয়া যাবে না। বৈধভাবে পুরস্কার দিতে চাইলে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ছাড়া অন্যদের অনুদান থেকে ব্যবস্থা করতে হবে। অবশ্য এক্ষেত্রে প্রতিযোগীদের কেউ স্বেচ্ছায় অনুদান দিতে চাইলে তাও নেওয়া যাবে।
-মুআত্তা ইমাম মুহাম্মাদ, বর্ণনা ৮৫৯; শরহু মুখতাসারিত তাহাবী ৭/৩৭০; আলমুহীতুল বুরহানী ৮/১৪; আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪০২; ফিকহুন নাওয়াযিল ৩/২১৭