সফর ১৪৪৩ || সেপ্টেম্বর ২০২১

মাহবুবুর রহমান - কুষ্টিয়া

৫৫০৯. প্রশ্ন

আমার একটা লেপ-তোশকের দোকান আছে। কিছু লেপ-তোশক তৈরি করে বিক্রয়ের জন্য দোকানে রেখে দিই। আবার কেউ অর্ডার দিলে আমি নিজের থেকে সব সরঞ্জাম দিয় তার পছন্দমত লেপ-তোশক তৈরি করে দিই। মাঝেমধ্যে এমন হয় যে, কারো অর্ডার অনুযায়ী পণ্য তৈরি করে রাখার পর অন্য ক্রেতা এসে তা পছন্দ করে ফেলে এবং তা কেনার জন্য জোরাজুরি শুরু করে। তখন অনিচ্ছা সত্ত্বেও তার কাছে বিক্রি করতে হয়। তবে বিক্রি করার পর মূল অর্ডার দাতার জন্য সময়মত অনুরূপ আরেকটি পণ্য বানিয়ে দিই। কয়েকদিন যাবত মনের মধ্যে খটকা লাগছে যে, অর্ডারদাতার জন্য পণ্য তৈরি করার পর তার অনুমতি ছাড়া অন্যজনের কাছে বিক্রি করা কি আমার জন্য বৈধ হয়? পূর্বে এভাবে যত পণ্য বিক্রি করেছি তার অর্থ কি আমার জন্য হালাল হবে? হুজুরের কাছে অনুরোধ, বিষয়টি সম্পর্কে জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর

অর্ডারকৃত পণ্য প্রস্তুত করার পর অর্ডারদাতা তা দেখে চূড়ান্ত করার আগ পর্যন্ত তাতে তার মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় না; বরং তা দোকানীর মালিকানায় থাকে। সুতরাং এসময় অন্য কাস্টমারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া নাজায়েয নয়। তখন অর্ডারদাতাকে সময়মত অনুরূপ মানসম্পন্ন আরেকটি পণ্য বানিয়ে দিতে হবে। সুতরাং বিগত দিনে এভাবে বেচা-কেনা করে থাকলে তা জায়েয হয়েছে। এবং এ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ আপনার জন্য হালাল হয়েছে।

প্রকাশ থাকে যে, দোকানীর জন্য কারো অর্ডারি পণ্য অন্যত্র  বিক্রি করার ক্ষেত্রে মূল শর্তই হল সময়মত যথাযথ মান রক্ষা করে অর্ডারদাতার জন্য তার পণ্য বানিয়ে  দিতে পারা। কিন্তু যদি তা সম্ভব না হয় তাহলে অন্যত্র বিক্রি করা অন্যায় হবে। ওয়াদা ভঙ্গের গুনাহ হবে।

-কিতাবুল আছল ৩/৪৩৮; আলমাবসূত, সারাখসী ১৫/৯০; আলমুহীতুল বুরহানী ১০/৩৬৬; বাদায়েউস সানায়ে ৪/৪৪৪; ফাতহুল কাদীর ৬/২৪২; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/২০৮; রদ্দুল মুহতার ৫/২২৪

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন