যিলকদ ১৪৪২ || জুন ২০২১

খাদিজা - যাত্রাবাড়ী

৫৪০৩. প্রশ্ন

দুই বছর আগে হজ্বের সফরে তাওয়াফে যিয়ারত করার পর সায়ী করার আগেই আমার ঋতুস্রাব শুরু হয়। তখন আমি এ অবস্থাতেই সায়ী করি।

জানার বিষয় হল, ঋতুস্রাব চলা অবস্থায় সায়ী করার দ্বারা কি আমার সায়ী সহীহ হয়েছে? জানালে উপকৃত হব।

উত্তর

প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে আপনার সায়ী সহীহ হয়েছে। কেননা সায়ীর জন্য ঋতুস্রাব থেকে পবিত্র হওয়া জরুরি নয়; বরং ঋতু¯্রব চলা অবস্থায় সায়ী করা জায়েয। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনÑ

إذَا طَافَتْ بِالْبَيْتِ ، ثُمّ حَاضَتْ قَبْلَ أَنْ تَسْعَى بَيْنَ الصّفَا وَالْمَرْوَةِ ، فَلْتَسْعَ بَيْنَ الصّفَا وَالْمَرْوَةِ.

যদি বাইতুল্লাহ শরীফের তাওয়াফ করার পর সায়ী করার পূর্বেই ঋতুস্রাব শুরু হয়, তাহলে (ঋতুস্রাব অবস্থায়ই) সাফা-মারওয়ার মাঝে সায়ী করে নেবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ১৪৫৮৩)

অন্য বর্ণনায় আছে, হযরত আয়েশা ও উম্মে সালামাহ রা. বলেনÑ

إذَا طَافَتِ الْمَرْأَةُ بِالْبَيْتِ، ثُمّ صَلّتْ رَكْعَتَيْنِ، ثُمّ حَاضَتْ، فَلْتَطُفْ بَيْنَ الصّفَا وَالْمَرْوَةِ.

যদি ঋতুস্রাব শুরু হয়, তাহলে (ঋতুস্রাব অবস্থায়ই) সাফা-মারওয়ার মাঝে সায়ী করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ১৪৫৮২)

উল্লেখ্য, কাফেলার সাথে সায়ী আদায়ের আবশ্যকতা বা অন্য কোনো ওযর না থাকলে সায়ীও পবিত্র অবস্থায় করা উচিত।

Ñআলমাবসূত, সারাখসী ৪/৫১; বাদায়েউস সানায়ে ২/৩১৯; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৪৭; গুনইয়াতুন নাসিক, পৃ. ১৩৪

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন