মুহাররম ১৪২৯ || জানুয়ারি ২০০৮

শোয়াইব - ঢাকা

১১৫০. প্রশ্ন

আমি একজন সাধারণ ব্যবসায়ী। আমার ওপর কোন বছর যাকাত ফরয হয়, আবার কোন বছর ফরয হয় না। কিন্তু আমি প্রতি বছর কুরবানী করি। সেদিন আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব বললেন, যে বছর আপনার ওপর যাকাত ফরয হয় না সে বছর আপনার কুরবানী করা লাগবে না। এখানে আমার প্রশ্ন হলো, আসলে ইমাম সাহেবের কথা ঠিক কি না? বাস্তবে কতটুকু সম্পদ থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হয়? বিস্তারিত জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।

উত্তর

উক্ত ইমাম সাহেবের কথাটি ঠিক নয়। কারণ, যাকাত ও কুরবানী উভয়টি পৃথক পৃথক ইবাদত এবং উভয়ের নেসাবের হিসাবের ধরনও ভিন্ন। একটি ফরয না হয়ে থাকলে অপরটি করতে হয় না, এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং যার কাছে কুরবানীর দিনগুলোতে সাড়ে ৫২ তোলা রূপার মূল্য পরিমাণ প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ থাকবে তার ওপর কুরবানী ওয়াজিব। উল্লেখ্য, কুরবানীর নেসাবের ক্ষেত্রে সোনা-রূপার অলংকার, ব্যবসায়িক পণ্যের সাথে সাথে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জমি ও প্রয়োজনের অতিরিক্ত আসবাবপত্র, এসব কিছুর মূল্য ধর্তব্য হবে।

-বাদায়েউস সানায়ে ৬/২৮০, তাবয়ীনুল হাকায়েক ৬/৩, আলবাহরুর রায়েক ৮/১৭৪, আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯২

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন