মাও. সাদুদ্দীন - শিক্ষক, জামেয়া মাদানিয়া, ফেনী
১২২০. প্রশ্ন
কোন ব্যক্তি জনৈক ব্যবসায়ীকে বিশ্বস্থতার খাতিরে বাইয়ে মুযারাবার জন্য কিছু টাকা দিল। দেওয়ার সময় ওই ব্যবসায়ী টাকার মালিককে লভ্যাংশের কত ভাগ দেবেন, তা বলেন নাই। বরং তা জিজ্ঞেস করার পর তিনি বললেন, অমুক ব্যক্তি আমার নিকট কয়েক লাখ টাকা বাইয়ে মুযারাবার জন্য দিয়েছে আমি তাকে ব্যবসায়ের লভ্যাংশ থেকে হিসেব করে প্রতি মাসে প্রতি ১ লক্ষ টাকায় প্রায় ১৮/১৯ শত টাকা করে দিয়েছি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে লভ্যাংশের কত ভাগ টাকার মালিককে দেবে তা উল্লেখ না করে বর্ণিত সুরতে ব্যবসায়ীকে মুযারাবার শর্তে টাকা দিয়ে লভ্যাংশ গ্রহণ করা এবং ওই ব্যবসায়ীর জন্য এইভাবে বাইয়ে মুযারাবার জন্য টাকা নিয়ে ব্যবসা করা জায়েয হবে কি না? দলিল-প্রমাণসহ জানিয়ে বাধিত করবেন।
উত্তর
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী উক্ত কারবার সহীহ হয়নি। কারণ মুযারাবা চুক্তি বৈধ হওয়ার জন্য বিনিয়োগকারী এবং ব্যবসায়ী উভয়ের লাভের পরিমাণ নির্ধারণ করা জরুরি। যেমন বিনিয়োগকারী পাবে নীট মুনাফার ৬০% এবং ব্যবসায়ী পাবে ৪০% ইত্যাদি। সম্ভাব্য অর্জিত মুনাফার অংশ নির্ধারিত না করে নির্দিষ্ট অংক বা বিনিয়োগকৃত টাকার শতকরা হার হিসাবে দেওয়ার শর্ত করলে কারবার সহীহ হয় না। সুতরাং প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রেও যেহেতু নির্দিষ্ট অংকে মুনাফা দেওয়ার কথা হয়েছে, তাই উক্ত কারবার বৈধ হয়নি। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ী ব্যক্তি পুরনো চুক্তি ভেঙ্গে দেবে এবং তার ব্যবসার অবস্থা মূল্যায়ন করে অর্জিত মুনাফার কতভাগ লাভ বিনিয়োগকারীকে দিতে আগ্রহী তা ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেবে। সে সম্মত হলে নতুনভাবে চুক্তি করে নেবে।
-আদ্দুররুল মুখতার ৫/৬৪৮, শরহুল মাজাল্লাহ ৪/৩৩৩, আলবাহরুর রায়েক ৭/২৬৪, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৪/২৮৭