শাবান-রমযান ১৪২৯ || আগস্ট ২০০৮

মুহাম্মদ আবু বকর - খিলগাও, ঢাকা

১৩৪৯. প্রশ্ন

গত কিছুদিন পূর্বে প্রায় মসজিদে ঘোষণা করা হয়েছে, ঘুর্ণিঝড়ে বিধ্বস্তদের জন্য অন্ন, বস্ত্র ও নগদ টাকা নিয়ে এগিয়ে আসুন। ইমাম-মুয়াজ্জিন বা অমুক ব্যক্তির নিকট জমা দিন। যথাস্থানে যথা সময়ে যথাযথভাবে পৌছে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ।

এখন জিজ্ঞাসা হল, সংগৃহীত তহবিলে রদবদল করা যাবে কি না? যথা নগদ টাকা দ্বারা চাল ক্রয় বা বস্ত্র বিক্রি করা যাবে কি না? লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোথাও কোথাও কোনো ট্রাস্টে জমা দেওয়ার আহবান হচ্ছে, কোথাও মসজিদ ভিত্তিক মাইকে সংগ্রহ করা হচ্ছে। আমরা স্বউদ্যোগে জনগণ থেকে উঠিয়ে ট্রাস্টে কিংবা অন্যদেরকে দিতে পারব কি না?

উত্তর

ত্রাণ সামগ্রী বা নগদ টাকা ও জমাকৃত পণ্য সামগ্রী যদি দুর্গত এলাকার লোকদের জন্য উপযোগী হয় এবং তা পৌঁছানোও সম্ভব হয় তবে জমাকৃত পণ্য ও টাকা সেভাবেই পৌঁছে দেওয়া কর্তব্য।

আর যদি জমাকৃত সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য উপকারী না হয় কিংবা সংগৃহীত পণ্য দুর্গত এলাকায় পৌঁছানো সম্ভব না হয় তবে তা বিক্রি করে প্রয়োজনীয় দ্রব্য বা নগদ টাকা পৌঁছানোর অবকাশ আছে। তদ্রূপ উক্ত এলাকার জন্য কোনো বিশেষ দ্রব্য বা খাদ্যদ্রব্যের প্রয়োজন থাকলে তাও নগদ টাকার বিনিময়ে ক্রয় করে নেওয়া জায়েয।

হ্যাঁ, কোনো দাতা থেকে যদি এ শর্ত মেনে গ্রহণ করা হয় যে, তার প্রদত্ত টাকা বা সাহায্য সামগ্রী হুবহু ক্ষতিগ্রস্থদের নিকট পৌঁছানো হবে তবে যথাসম্ভব তা সেভাবেই পৌঁছে দেয়া জরুরি হবে। দুর্গত এলাকায় টাকা বা সাহায্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য যাদেরকে মনোনিত করা হবে তাদের আমানতদারী সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। তাই কোনো ট্রাস্টের কর্তৃপক্ষ হোক বা মসজিদ ভিত্তিক প্রতিনিধি হোক তারা যদি আমানতদার হয় তাহলে নিজেদের উদ্যোগে জমাকৃত টাকা বা সাহায্য সামগ্রী তাদেরকে দিতে কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আমানতদার না হলে যারা সংগ্রহ করবে তাদেরকে নিজ দায়িত্বে পৌঁছে দিতে হবে।

-মাজাল্লাতুল আহকামিল আদলিয়া মাদ্দা ১৪৬৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/২৯১; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৩/৫৬৭; রদ্দুল মুহতার ৫/১৫৩

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন