মুহাম্মদ আতীকুর রহমান - খুশবু বিরানি হাউস <br> ১৮/২ বাবু বাজার, ঢাকা-১১০০
১৩৭২. প্রশ্ন
কোন উদ্দেশ্যে, কখন, কোথায়, কোন বাহানায় কতটুকু যোগ্যতাসম্পন্ন লোক/আলেম হলে জাল হাদীস বর্ণনা করতে পারে? একজন বড় মাপের আলেম বললেন, মানুষকে হেদায়েতের উদ্দেশ্যে ঘটনা হিসাবে জাল হাদীস/ইসরাঈলিয়্যাত বর্ণনা করা যায়। অথচ উপরোক্ত কিতাবে দেখতে পেলাম কোনো বাহানায় জাল হাদীস বলা যাবে না। এ ব্যাপারে বিস্তারিত উত্তর দিয়ে শংকামুক্ত করবেন।
উত্তর
কারো জন্য কোনো বাহানা বা নেক নিয়তেও মওযু ও ভিত্তিহীন রেওয়ায়েত বর্ণনা করা জায়েয নয়। হ্যাঁ, বর্ণনাটি যে মওযু ও ভিত্তিহীন তা বলার জন্য তা আলোচনায় আনা জায়েয। এ ছাড়া বলায় বা লেখায় সেগুলো আনা কখনোই জায়েয নয়।
এ কথা ঠিক নয় যে, কাউকে হেদায়েত করার উদ্দেশ্যে মওযু ও জাল রেওয়ায়েত, কিচ্ছা-কাহিনী আকারে বর্ণনা করা যায়। যা জাল তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বরাতে বর্ণনা করাই হারাম। নবীজির পবিত্র সত্তাকে কিচ্ছা-কাহিনীর বিষয়বস্ত্ত বানানো কত বড় ভয়াবহ ব্যাপার এবং কত জঘণ্য অপরাধ,তা কোনো মুমিনকে বুঝিয়ে বলার দরকার নেই।
তবে যে সব ইসরাঈলী রেওয়ায়েত বা কাহিনী যাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বরাতে বা তাঁর সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি যদি সেগুলো উপদেশমূলক হয় এবং কুরআন-হাদীস পরিপন্থী না হয় সেগুলো বর্ণনা করার অবকাশ রয়েছে। এতটুকু সুযোগের কথা হাদীসদ্বারা প্রমাণিত।