রমযান ১৪২৯ || সেপ্টেম্বর ২০০৮

মুহাম্মদ আতীকুর রহমান - খুশবু বিরানি হাউস <br> ১৮/২ বাবু বাজার, ঢাকা-১১০০

১৩৭১. প্রশ্ন

মাওলানা আবদুল মালেক সাহেব প্রণীত প্রচলিত জাল হাদীস কিতাব পাঠ করে দেখতে এবং বুঝতে পারলাম যে, আমরা যারা তাবলীগে গিয়ে বয়ান করি ঐ বয়ানে অনেক জাল হাদীস বলে থাকি। এর থেকে বাঁচার উপায় বাতলে দিবেন।

উত্তর

এ থেকে বাঁচার উপায় এটিই যে, কোনো বর্ণনার ব্যাপারে হাদীস বিশেষজ্ঞ থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত সহীহ বলে জানা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত মনে যতই আগ্রহ সৃষ্টি হোক না কেন তা বর্ণনা না করা।

ধরুন! আপনি নিজের ব্যাপারে এরূপ অপরিহার্য করে নিতে পারেন যে, আমি রিয়াযুস সালেহীন বা মুন্তাখাব আহাদীস (হযরতজী মাওলানা ইউসুফ রাহ. কৃত)-এর বাইরের কোনো হাদীস বলব না।

ভালোভাবে বুঝে নিন, যদি কোনো রেওয়ায়েতের ব্যাপারে তা সহীহ বলে জানা  না থাকা সত্ত্বেও অতি আগ্রহের কারণে তা আপনি বর্ণনা করেন, তবে ঘটনাক্রমে তা সহীহ হলেও আপনি গুনাহগার হবেন। কেননা আপনি তো তা না জেনে বর্ণনা করেছেন।

হাদীস শোনানোর ছওয়াব অর্জনের আগে তাহকীক ছাড়া তা শোনানোর গুনাহ থেকে বাঁচার ব্যাপারে যত্নবান হওয়া জরুরি। শরীয়ত ও সুস্থবিবেকের দাবি হল, উপকার লাভের চেয়ে ক্ষতি থেকে বাঁচা অগ্রগণ্য।

এই সংখ্যার অন্যান্য প্রশ্ন-উত্তর পড়ুন