তাহমীদ - ওয়েব থেকে প্রাপ্ত
৪২১২. প্রশ্ন
হুযুরের কাছে কয়েকটি বিষয় জানতে চাচ্ছি-
১. আমার পাশের দোকানে এক হিন্দু কর্মচারী থাকে। তার সাথে আমার বেশ খাতির জমে গেছে। সে আমাকে দেখলেই পুরো মুসলিমের মতই সালাম দেয়। এখন তাকে উত্তর কীভাবে দিব? আর মাঝে মাঝে ম্যাসেজে সালাম লেখে, তার উত্তরে কী লিখব?
২. আমার এক সাথীর কাছে শুনেছি, নাভির নিচের পশম ৪০ দিনের বেশি কাটা না হলে নামায মাকরূহ হয়। এ কথা কতটুকু সঠিক? আসলে এক্ষেত্রে কী নিয়ম তা বিস্তারিত জানালে খুশি হব।
উত্তর
১. অমুসলিমরা সালাম দিলে উত্তরে শুধু ‘ওয়াআলাইকুম’ বলার কথা হাদীস শরীফে এসেছে।
হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন,
إِذَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ أَهْلُ الكِتَابِ فَقُولُوا : وَعَلَيْكُمْ.
আহলে কিতাব তোমাদেরকে সালাম দিলে তোমরা ‘ওয়াআলাইকুম’ বলবে। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬২৫৮
অনুরূপভাবে ম্যাসেজে সালাম পাঠালে উত্তরে ‘ওয়াআলাইকুম’ লিখতে পারেন। -আলমুহীতুল বুরহানী ৮/২০; রদ্দুল মুহতার ৬/৪১২; কেফায়াতুল মুফতী ১২/২২৫
২. নাভির নিচের পশম প্রতি সপ্তাহে পরিষ্কার করা মুস্তাহাব। আর তা জুমার দিনে করা অতি উত্তম। সপ্তম দিনে সম্ভব না হলে প্রতি ১৫ দিনে একবার। এর চেয়েও বিলম্ব হলে সর্বোচ্চ ৪০ দিন যেন অতিক্রম না হয়। কেননা এর চেয়ে বিলম্ব করা মাকরূহ।
হযরত আনাস রা. বর্ণনা করেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الْأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الْإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لَا نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً.
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নখ ও গোঁফ কাটা এবং বগলের চুল উপড়ানো ও নাভির নিচের পশম পরিষ্কারের জন্য সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন যে, তা যেন চল্লিশ রাতের অধিক (অপরিষ্কার অবস্থায়) রাখা না হয়। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৫৮
তাই এসব পরিষ্কারে ৪০ দিনের বেশি বিলম্ব করবে না। তবে এ কারণে নামায মাকরূহ হওয়ার কথা ঠিক নয়। -আদ্দুররুল মুখতার ৬/৪০৭; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩৫৭; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী পৃ.২৮৬