মুহাম্মাদ মাহবুবুল আলম - চান্দিনা, কুমিল্লা
১৬৭৩. প্রশ্ন
কিছুদিন আগে আমি মার্কেট থেকে ২০০/-টাকা দিয়ে একটি চামড়ার মানিব্যাগ ক্রয় করি। ব্যাগটির মূল্য পরিশোধ করে দোকান থেকে বিদায় নিয়ে যখন কিছু দূর চলে আসি তখন শুনি বিক্রেতা উঁচু গলায় আমাকে ডাকছে। ডাক শুনে কাছে গেলে সে বলল, হুজুর! মাফ করবেন। আমি ব্যাগটির দাম ভুল বলে ফেলেছি। তার প্রকৃত মূল্য হল ২৪০/-টাকা। যদি বিশ্বাস না করেন তাহলে চার্ট দেখুন। অতঃপর সে আমাকে মূল্য তালিকার কাগজ দেখাল। তাতে এর ক্রয়মূল্য ২২০/-টাকা লিখা ছিল। সে আমার কাছে ২৪০/-টাকা দাবি করল। কিন্তু আমি তাতে কিছুতেই রাজি না হওয়ায় সে বলল, তাহলে হুজুর এর কেনাদামটা তো দিবেন। অবশেষে তার অনুনয় বিনয় দেখে আমি তাকে ২০/-টাকা দিলাম। প্রশ্ন হল, এক্ষেত্রে অতিরিক্ত বিশ টাকা দেওয়া কি আমার জন্য জরুরি ছিল? না দিলে কি আমি গুনাহগার হতাম?
উত্তর
প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে যেহেতু উভয়ের সম্মতিতে বিক্রেতার চাওয়া দামই চূড়ান্ত হয়েছে এবং ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে এছাড়া এক্ষেত্রে বিক্রেতাকে কোনো প্রকার ধোঁকাও দেওয়া হয়নি তাই পরবর্তীতে আপনার জন্য অতিরিক্ত টাকা দেওয়া জরুরি ছিল না। তবে বিক্রেতার বক্তব্য অনুযায়ী যেহেতু সে ভুলে কেনাদামের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি করেছে তাই তার আবদার রক্ষার্থে অতিরিক্ত বিশ টাকা দিয়ে ভালই করেছেন।
-শরহুল আশবাহ হামাবী ১/২৫৭; তাকমিলা ফাতহুল মুলহিম ১/৩৭৯-৩৮০; আলবাহরুর রায়েক ৬/১১৫; তাবয়ীনুল হাকায়েক ৪/৭৯; আদ্দুররুল মুখতার ৫/১৪২-১৪৩